আম্পানে ছিন্ন ভিন্ন পশ্চিমবঙ্গ, বাংলাদেশেও রেখে গেছে ধ্বংস লীলা
২১ মে ২০২০ ০৯:০৩
ঢাকা: সুপার সাইক্লোন আম্পানের মূল অংশ ভারতে তাণ্ডব চালালেও বাংলাদেশেও রেখে গেছে তার ধ্বংস লীলা। দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় জেলা সাতক্ষীরা ও খুলনা অঞ্চল দিয়ে ঢুকে যশোর, ঝিনাইদহ, নড়াইল, মাগুরা, গোপালগঞ্জ, রাজবাড়ী, সিরাজগঞ্জ ও জামালপুরের ওপর তাণ্ডব চালিয়েছে আম্পান।
প্রবল বর্ষণের মধ্যে দক্ষিণাঞ্চলের বেশ কয়েকটি জেলায় বাঁধ ভেঙে প্লাবিত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। ব্যাপক ক্ষয়-ক্ষতির আশঙ্কা করা হলেও এখন পর্যন্ত সারাদেশে গাছচাঁপা, দেয়ালচাঁপা ও নৌকাডুবিতে অন্তত ১০ জন প্রাণহানির খবর পাওয়া গেছে।
সাতক্ষীরা জেলায় বুধবার রাত ৮টার পর দ্বিতীয়বার আঘাত হানে আম্পান। প্রায় মধ্যরাত পর্যন্ত সমান গতিতে তাণ্ডব চালায় ঝড়টি। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে অসংখ্য কাঁচা ঘরবাড়ির। ভেঙেছে গাছ, বিদ্যুতের খুঁটি। এই জেলার আশাশুনি উপজেলার খোলপেটুয়া ও কপোতাক্ষ নদীর বেশ কিছু পয়েন্ট ভেঙে গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। প্লাবিত হয়েছে পটুয়াখালী শহরও।
তবে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের উপকূলবর্তী অঞ্চলে ছিন্নভিন্ন করে দিয়ে গেছে অতিপ্রবল ঘূর্ণিঝড় ‘আম্পান’। আম্পানের তাণ্ডবে লণ্ডভণ্ড পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে কলকাতা, উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পূর্ব মেদিনীপুরে, হাওড়া, হুগলী এবং পশ্চিম মেদিনীপুরের এলাকায়।
ঢাকা আবহাওয়া অফিসের আবহাওয়াবিদ মনোয়ার হোসেন সারাবাংলাকে বলেন, আম্পান ঘূর্ণিঝড়টি বেশ বড় একটি ঝড়। এর কেন্দ্রের ব্যাসেই এক থেকে দেড়শ কিলোমিটার। আর ঝড়টি প্রায় ৫০০ কিলোমিটার ব্যাসের। ফলে ঝড়ের মূল অংশ পশ্চিমবঙ্গে আঘাত করলেও বাংলাদেশ অংশে যে অংশটি ঢুকেছে, তার প্রভাব কম নয়।
আবহাওয়া অফিস ও আবহাওয়া বিষয়ক ওয়েবসাইটগুলোর তথ্য বলছে, ঘূর্ণিঝড় আম্পান ঝিনাইদহের পর মাগুরা, রাজবাড়ী, পাবনা, সিরাজগঞ্জ হয়ে জামালপুরের দিকে বেরিয়ে যেতে পারে। তবে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ বেশি হলে এটি দ্রুত আরও দুর্বল হয়ে নিম্নচাপে পরিণত হবে। সেক্ষেত্রে ভোর বা সকাল নাগাদ রাজশাহী ও এর আশপাশের এলাকায় আম্পানের প্রভাবে নিম্নচাপ দেখা দিতে পারে।