ভারতে পিপিই সংকটের কথা জানিয়ে চাকরিচ্যুত সেই চিকিৎসক পাগলাগারদে
২১ মে ২০২০ ১২:৫৩
ভারতে নভেল করোনাভাইরাস মোকাবিলায় হাসপাতালগুলোর যথাযথ প্রস্তুতি এবং স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের ফ্রন্টলাইনারদের সুরক্ষা সামগ্রীর (পিপিই) সংকটের কথা জনসম্মুখে বলে আলোচনায় আসা চিকিৎসক ডা. সুধাকর রাওকে মানসিক চিকিৎসা কেন্দ্রে পাঠিয়েছে কর্তৃপক্ষ। বৃহস্পতিবার (২১ মে) এ খবর জানিয়েছে বিবিসি।
এদিকে সামজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে ডা. সুধাকর রাও এর কয়েকটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। ওই ভিডিওতে দেখা যায়, ভারতের দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর নাসিরাপত্তনমের রাস্তায় নিজের গাড়িতে খালি গায়ে বসে আছেন সুধাকর। কিছুক্ষণ পরের একটি ভিডিওতে দেখা যায়, তিনি খালি গায়ে রাস্তায় শুয়ে পড়েছেন। অন্য আরেকটি ভিডিওতে দেখা যায় তার হাত বাধা অবস্থায় তাকে লাঠি দিয়ে আঘাত করছেন এক পুলিশের কনস্টেবল।
https://youtu.be/m3eV8KP0hN0
এর আগে, এপ্রিলে গণমাধ্যমের নজর কেড়েছিলেন ওই চিকিৎসক। পিপিই সংকটের কথা বলায় তাকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হয়। দ্বিতীয়বার রাস্তায় পুলিশি হয়রানির প্রতিবাদ জানানোয় তাকে মানসিক ভারসাম্যহীন আখ্যা দিয়ে কর্তৃপক্ষ মানসিক হাসপাতালে পাঠিয়েছে।
স্থানীয় গণমাধ্যমগুলো মনে করছে, পিপিই সংকট নিয়ে কথা বলে ক্ষমতাসীনদের রোষানলে পড়েছেন সুধাকর রাও।
তবে, ভিডিওতে যে পুলিশ কনস্টেবল ওই চিকিৎসককে আঘাত করেছিলেন, তাকেও বরখাস্ত করা হয়েছে বলে ভারতের পুলিশ সূত্রে জানিয়েছে বিবিসি।
অন্যদিকে পুলিশের হাতে আটক হওয়ার আগে ডা. সুধাকর রাও স্থানীয় সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, তার গাড়ির গতিরোধ করে, তাকে তল্লাশি করার নামে পুলিশ মারধর করেছে এবং তার সেলফোন ও ম্যানিবাগ ছিনিয়ে নিয়েছে। এর প্রতিবাদ করায় তিনি আটক হচ্ছেন।
এ ব্যাপারে সুধাকরের পরিবারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, তিনি পিপিই সংকট নিয়ে মুখ খোলার পর থেকেই অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিরা তাকে ফোনে হুমকি ধামকি দিয়ে আসছিল। সর্বশেষ, তাকে পাগলাগারদে পাঠানোর মধ্য দিয়ে ষড়যন্ত্র পরিপূর্ণ হলো।
পুলিশের পক্ষ থেকে অবশ্য বলা হয়েছে, রাস্তা থেকে মাতাল অবস্থায় সুধাকরকে আটক করা হয়েছে। পরে তিনি মানসিক ভারসাম্যহীন হিসেবে প্রমাণ হলে, তাকে মানসিক হাসপাতালে পাঠিয়েছে কর্তৃপক্ষ।