আম্পানে মোংলায় প্রাণহানি নেই, ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা
২১ মে ২০২০ ১৭:২২
মোংলা (বাগেরহাট): ঘূর্ণিঝড় আম্পান ব্যাপক তাণ্ডব চালিয়েছে বাগেরহাটসহ মোংলায়। আর তাণ্ডব আতঙ্কে নির্ঘুম রাত কাটিয়েছে উপকূলবাসী। প্রায় সারারাত ধরেই চলে এই তাণ্ডব। এতে ভেঙে গেছে কাঁচা ঘড়বাড়ি, ভেসে গেছে চিংড়ির ঘের, জোয়ার আর বৃষ্টির পানিতে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২১ মে) মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের হারবার মাস্টার কমান্ডার ফকর উদ্দিন জানিয়েছেন, বন্দরে অবস্থানরত ১১টি বাণিজ্যিক জাহাজের পণ্য ওঠানামার কাজ বন্ধ রয়েছে। তিনি দাবি করেন, স্টিভিডরসগনের সুবিধা মতো সময় পণ্য খালাস কাজে শ্রমিক পাঠানো জন্য অনুমতি দেওয়া হয়েছে।
বাগেরহাটের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক ( সার্বিক) মো. কামরুল ইসলাম জানান, বাগেরহাট জেলায় প্রায় ২ লাখ ৬৮ হাজার মানুষ আশ্রয়কেন্দ্রে অবস্থান করায় প্রাণহানির কোনো ঘটনা ঘটেনি। বাগেরহাট জেলার জন্য ২০০ মেট্রিক টন চাল, নগদ ৩ লাখ টাকা, শিশু খাদ্যের জন্য ২ লাখ টাকা , গো-খাদ্যের জন্য ২ লাখ টাকা এবং ২ হাজার প্যাকেট শুকনা খাবার বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।
মোংলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. রাহাত মান্নান জানান, মোংলাতে কোনো প্রাণহানির ঘটনা ঘটেনি। এমনকি কেউ আহতও হয়নি। কানাইনগর এলাকায় একটি বেড়িবাঁধ আংশিক ভেঙে ভেতরে পানি প্রবেশ করেছে। বহু মাছের ঘের পানিতে তলিয়ে ঘেছে। তবে কি পরিমাণ ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে তা নিরূপনের কাজ চলছে।
এর বাইরে পানি উন্নয়ন বোর্ডের ৩৫/১ পোল্ডারের শরণখোলা উপজেলার সাউথখালী ইউনিয়নের বগী এলাকার বেড়িবাঁধ ভেঙে কয়েকটি এলাকা প্লাবিত হয়েছে। এছাড়া বাগেরহাট জেলার সবকটি উপজেলায় প্রায় ১৮ ঘণ্টা বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন রয়েছে।
এদিকে মোংলার ১০৬টি সাইক্লোন শেল্টারে আশ্রয় নেওয়া ৮ হাজারের বেশি মানুষকে নিজ হাতে রান্না করে খাবার বিতরণ করেছেন উপজেলা চেয়ারম্যান আবু তাহের হাওলাদার।