‘আমলাতান্ত্রিক ভাইরাসের বিরুদ্ধেও প্রতিরোধ গড়তে হবে’

ঢাকা: ওয়ার্কাস পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন এমপি বলেছেন, ‘ত্রাণের তালিকায় ভুয়া নামের অন্তর্ভুক্তির জন্য কেবল স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের অভিযুক্ত করে আসল সত্যকে আড়াল করা হচ্ছে। করোনা ভাইরাসের সাথে আমলাতান্ত্রিক ভাইরাসের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়তে হবে।’

বৃহস্পতিবার (২১ মে) বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির ঢাকা মহানগরীর ঈদ-পূর্ব ত্রাণ প্রদান কর্মসূচি শেষে পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন এমপি একথা বলেন। ওয়ার্কার্স পার্টির এই ত্রাণ তৎপরতায় যারা সহযোগিতা করেছেন তাদের তিনি ধন্যবাদ জানান।

রাশেদ খান মেনন বলেন, ‘এবার এই ত্রাণ সহায়তায় সমস্ত দায়িত্ব আমলাদের হাতে। তারা একদিন দু’দিনের মাথায় তালিকা তৈরির নির্দেশ দিলে অসাধু ব্যক্তিরা এর সুযোগ নেবে সেটাই স্বাভাবিক। আর এর সাথে ঐ হুকুমদাতা আমলাদের যোগসাজস নাই তাই বা কে বলবে। সংসদ হিসেবে এই তালিকা তৈরির ব্যাপারে আমলাতান্ত্রিক হুকুমনামার আমার প্রত্যক্ষ অভিজ্ঞতার ভিত্তিতেই একথা বলছি। আসলে এ ধরনের তালিকা তৈরির ব্যাপারে পাকিস্তান আমলের আমলতান্ত্রিক পদ্ধতিই অনুসরণ করা হয়েছে।’

তিনি বলেন, সফটওয়ারে সব কালোকে সাদা করার দাবি ঠিক না। কারণ মানুষই এর পিছনে কাজ করে। জনপ্রতিনিধিদের পিছনে ঠেলে দিয়ে আমলাতন্ত্র যখন ড্রাইভারের সিটে বসে তখন এ ধরনের অন্যায় হবেই। এটা ঠিক যে ত্রাণের চাল আত্মসাতের জন্য বহু স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের বরখাস্ত করা হয়েছে।

কিন্তু যারা পেছন থেকে নাটাই ঘোরাচ্ছে তাদের বরখাস্ত করবে কে? আসলে রাষ্ট্রযন্ত্র যখন রাষ্ট্রকে দখল করে নেয় তখন এই বিপত্তি বাড়ে। করোনাভাইরাস মোকাবেলায় জীবন ও জীবিকার উভয় প্রশ্নে আমলাতান্ত্রিক সিদ্ধান্ত ও ব্যবস্থাই এর প্রমাণ। এটা হলো প্রধানমন্ত্রীকে সামনে রেখে বি-রাজনীতিকরণের প্রক্রিয়া। করোনাভাইরাসের সঙ্গে আমলাতান্ত্রিক ভাইরাসের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়তে হবে।”

মহানগর ওয়ার্কার্স পার্টির এই ত্রাণ কাজে নেতৃত্ব দেন মহানগর সভাপতি কমরেড আবুল হোসাইন, সাধারণ সম্পাদক কিশোর রায়, সম্পাদকমন্ডলীর সদস্য তৌহিদুর রহমান, জাহাঙ্গীর আলম ফজলু, নগর কমিটির সদস্য তাপস রায়, মুর্শিদা আক্তার নাহার প্রমুখ।

এদিন ওয়ার্কার্স পার্টি মহানগর হকার, গৃহকর্মী, অপ্রতিষ্ঠানিক খাতের শ্রমজীবী মানুষ, ওয়ার্কার্স পার্টির প্রাথমিক কমিটির সদস্যদের মধ্যে চাল, আলু, চিনি, ডাল, তেল ও সাবান বিতরণ করেন।