কৃষককে নগদ অর্থ সহায়তা দেওয়ার পরামর্শ
২২ মে ২০২০ ১৯:১০
ঢাকা: উৎপাদন অব্যাহত রাখতে কৃষককে নগদ অর্থ সহায়তা দেওয়ার পরামর্শ এসেছে। না হলে দেশের বেশ কিছু ফসলি জমি পতিত থাকতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। একইসঙ্গে বাজেটে কৃষি খাতে বরাদ্দ আরও বাড়ানোরও পরামর্শ এসেছে।
শুক্রবার (২২ মে) ‘করোনায় কৃষি ও খাদ্য নিরাপত্তা’ শীর্ষক এক ভার্চুয়াল সেমিনারে এসব কথা উঠে আসে। গণতান্ত্রিক বাজেট আন্দোলন ও খাদ্য নিরাপত্তা নেটওয়ার্ক এই সেমিনারের আয়োজন করে। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনটির সভাপতি ড. মো. জয়নুল আবেদীন ও সঞ্চালনায় ছিলেন সহ-সভাপতি রেজাউল করিম রানা।
খাদ্য সচিব ড. মোছাম্মৎ নাজমানারা খানুম, অর্থনীতিবিদ এম এম আকাশ, কৃষি মন্ত্রণালয়ের সাবেক সচিব আনোয়ার ফারুক ও গণতান্ত্রিক বাজেট আন্দোলনের সাধারণ সম্পাদক মনোয়ার মোস্তফা সেমিনারে যুক্ত ছিলেন।
সেমিনারে খাদ্য সচিব ড. মোছাম্মৎ নাজমানারা খানুম বলেন, ‘এক শপের মাধ্যমে কৃষকের উৎপাদিত খাদ্য পণ্য বিপণনের ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। আগামী দুই এক দিনে তা পূর্ণদমে চালু হবে। আমরা ৫০ শতাংশ চাল কিনতে পারলে বাজারে কিছুটা প্রভাব পড়তো, কিন্তু আমরা তো ৩ শতাংশ চাল কিনছি। পর্যাপ্ত ধান-চাল কিনতে না পারায় কৃষক ন্যায্যমূল্য পাচ্ছে না। কৃষককে সরাসরি অর্থ সহায়তা দিতে হবে, তার সঙ্গে আমিও একমত। অপ্রচলিত কৃষির জন্য সরকার ৪ শতাংশ সুদে ঋণ দিচ্ছে। আর প্রণোদনার অর্থ থেকে ৫ শতাংশ সার্ভিস চার্জ বা সুদে ঋণ পাওয়া যাচ্ছে।’
সাবেক কৃষি সচিব আনোয়ার ফারুক বলেন, ‘কৃষি বাজেটে বরাদ্দ ১০ শতাংশ থেকে ৩ শতাংশে নেমে এসেছে। বাজটের আকার বেড়েছে কিন্তু বাজেটে এখনও যে বরাদ্দ দেওয়া হয় তার পুরোটা ব্যবহার করা যাচ্ছে না। আমাদের স্টোরেজ ক্যাপাসিটি বাড়াতে হবে। খাদ্য মন্ত্রণালয়ের বরাদ্দ বাড়াতে হবে। লটারির মাধ্যমে সরকারিভাবে ধান কেনা মোটেই শোভনীয় নয়। আমি মনে করি এলাকাভিত্তিক বা সমবায়ভিত্তিকভাবে ধান কেনা যেতে পারে।’
অর্থনীতিবিদ এম এম আকাশ বলেন, ‘কৃষককে ক্যাশ সাপোর্ট বা নগদ অর্থ সহায়তা দিতে হবে। এটা না করলে কৃষক তার মাঠে ফসল ফলাতে পারবে না। প্রধানমন্ত্রী যে ঘোষণা দিয়েছেন এক চিলতে জমিও পতিত রাখা যাবে না, নগদ অর্থ না দিলে তা কিন্তু বাস্তবায়ন করা সম্ভব নয়। কারণ কৃষকের হাতে এখন অর্থ নেই।’ এসময় কৃষি ঋণে সুদের হার আরও কমানো ও কৃষিপণ্যের বিপণনে আরও জোর দেওয়ার আহ্বান জানান তিনি।