ভিড় বেড়েছে কাঁচাবাজার ও মাংসের দোকানে
২৩ মে ২০২০ ১৬:০৪
ঢাকা: ঈদের বাকি আর একদিন। তাই শেষ সময়ে ভিড় বেড়েছে কাঁচাবাজারে। করোনা সংক্রমণের কারণে এবার বন্ধ ছিল শপিংমল। ঈদের নতুন পোশাক গায়ে না জড়ালেও ঘরে কিছু ভালো খাবার রান্না তো আর বন্ধ করা যায় না— এ কারণেই কাঁচাবাজারে ক্রেতাদের ভিড়। তবে মাংসের দোকানে ভিড় ছিলো সব থেকে বেশি।
শনিবার (২৩ মে) রাজধানীর বাজার ঘুরে এসব জানা গেছে।
বাজারে সবজির দাম তেমন না বাড়লেও শশা আর টমেটোর দাম কিছুটা বেড়েছে। মসলার দামও কিছুটা বেড়েছে। আর লাইনে দাঁড়িয়ে কিনতে দেখা গেছে গরুর মাংস।
কাঁচাবাজার ঘুরে দেখা যায়, গত সপ্তাহে যে টমেটো কেজি ৩০ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে সেই টমেটো এখন ৫০ টাকা কেজি। শশার দাম বেড়েছে কেজিতে ২০ টাকা। বাকি সব সবজির দাম প্রায় একই রকম আছে। করল্লা ৪০ টাকা, কচুর লতি ৪০ টাকা, পটল ৩০ টাকা, কাঁকরোল ৪০ টাকা, ধুন্দল ৪০ টাকা, চালকুমড়ো ৩০ থেকে ৪০ টাকা, কাঁচামরিচ ৫০ টাকা, শশা ৫০ টাকা কেজি, ফুলকপি প্রতি পিস ৪০ থেকে ৫০ টাকা বিক্রি হচ্ছে।
এছাড়া লাউ মাঝারি সাইজের প্রতি পিস ৪০ টাকা। লেবুর হালি ১০ থেকে ২০ টাকা হালি দরে বিক্রি হচ্ছে। তবে বাজারে নতুন আসা কচুরমুখী বিক্রি হচ্ছে ৮০টাকা কেজি দরে।
মুদি দোকানদার জসিম বলেন, ‘নিত্যপণ্যের জিনিসের দাম আগের মতই আছে। কোনো কিছুরই দাম বাড়েনি।’ তিনি জানান, চালের দাম কেজিতে কিছুটা কমেছে। মিনিকেট চাল খুচরা বিক্রি হচ্ছে কোম্পানি ভেদে ৫৬ থেকে ৬০ টাকা। বাসমতি ৬১ টাকা, নাজিরশাহীর ৬৫ টাকা, আর মোটা চাল বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৪৫ টাকা কেজি দরে। পোলাও চাল ১০০ থেকে ১১০ টাকা কেজি দরে।
বাজারে ৫ থেকে ১০ টাকা পর্যন্ত কমেছে ডালের দাম। কেজিতে ৫ টাকা দাম কমে প্রতি কেজি ডাবলি ডাল বিক্রি হচ্ছে ৪৫ টাকা, অ্যাংকর ৫০ টাকা। কেজিতে ১০ টাকা কমে প্রতিকেজি দেশি মসুর ডাল বিক্রি হচ্ছে ১২০ টাকা, মসুর (মোটা) ৮০ টাকা।
মাছ বিক্রেতা রিয়াদ হোসেন জানান, বড় সাইজ ইলিশ মাছ কেজি বিক্রি হচ্ছে ১০০০ থেকে ১১০০ টাকা। ছোট সাইজ বিক্রি হচ্ছে ৭০০ থেকে ৯০০ টাকা কেজি দরে। তেলাপিয়া ১৬০ টাকা কেজি। চিংড়ি আকার অনুসারে ৫০০ থেকে ৯০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। রুই-কাতলা ৩০০ থেকে ৩৫০ টাকা কেজি।
তবে ঈদকে সামনে রেখে ব্রয়লার মুরগির দাম কেজি প্রতি ৩০টাকা বেড়েছে। গরুর মাংস ৬০০ টাকা কেজি ও ব্রয়লার মুরগি ১৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
বাজার সংশ্লিষ্টরা বলছেন, রোজার শেষ সময়ে ঈদকে সামনে রেখে কাঁচাবাজারে ভিড় বেড়েছে। যেখানে সামাজিক দূরত্বের কোনো বালাই নেই। স্বাভাবিক দিনের মতই বাজার করছেন সাধারণ মানুষ। তবে ব্যক্তিপর্যায়ে কেউ সচেতন থাকলেও বাজারে গেলে তা রক্ষা করা কঠিন হয়ে পড়ে। এ অবস্থায় প্রশাসনের প্রতি বাজার মনিটরিংয়ে জোরালো পদক্ষেপ নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।