Friday 06 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

ভিড় নেই আতর-টুপির দোকানে


২৪ মে ২০২০ ১৭:০৩

ঢাকা: দরজায় কড়া নাড়ছে ঈদুল ফিতর, মুসলিম সম্প্রদায়ের বৃহৎ ধর্মীয় উৎসব। এ উৎসবের অন্যতম একটি অনুষঙ্গ আতর, টুপি ও জায়নামাজ। প্রতি বছর এই সময়ে সুগন্ধি আতর, টুপি ও জায়নামাজের দোকানে থাকে উপচে পড়া ভিড়, কিন্তু এবার করোনার কারণে এসব দোকানে নেই বেচাকেনার ভিড়। ফাঁকা, ক্রেতাশূন্য এসব দোকান।

রোববার (২৪ মে) রাজধানীর বেশ কয়েকটি মার্কেট ঘুরে দেখা যায় আতর, টুপির দোকানে ক্রেতাদের কোন ভিড় নেই। তবে ফুটপাতের দোকানগুলোতে কিছু ক্রেতা দেখা গেছে।

কয়েকটি দোকান ঘুরে দেখা যায়, আতর ও বিভিন্ন রকমের টুপি সাজানো রয়েছে। দেশি টুপির পাশাপাশি বাহারি নকশার বিদেশি টুপিও রয়েছে। তবে ক্রেতাদের উপস্থিতি একেবারেই কম। নেই কোন হাঁকডাকও।

আতর দোকানি সুজন খান বলেন, ‘করোনার কারণে লোকজন বাইরেই বের হয় না। বেচা কিনা কি হইবো। প্রতিবছর রোজার শেষ দিনে যে ভিড় থাকে আজকে তার কিছুই নাই।’

আরেক আতর-টুপির দোকানদার কবির হোসেন বলেন, ‘একান্ত প্রয়োজন ছাড়া মানুষ ঘর থেকে বের হয় না। মানুষের মনে আতঙ্ক। ঈদ হলো খুশির বিষয়। মানুষের মনে যদি খুশিই না থাকে তাহলে কি কিনবো? তারপরও টুকটাক কিছু বেচা-বিক্রি হচ্ছে।’

কবির হোসেন জানান, চীনা টুপি ১০০ থেকে ২০০ টাকা, পাকিস্তানি টুপি ১৫০ থেকে ৬০০, ভারতীয় টুপি ২০ থেকে ৬০০ এবং দেশে তৈরি টুপি ১০ থেকে ১০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। টুপির ডিজাইন, আকার দেখে ভিন্ন রকম দাম।

আতরেরও রয়েছে বিভিন্ন রকম দাম। দোবাইর মেকাত, হারামাইন, জান্নাতুল ফেরদাউস আতরের চাহিদা বেশি। তবে সৌদি আরবের তৈরি লর্ড আতরের দাম অনেক বেশি। এক শিশি আতরের দাম প্রায় ১২ হাজার টাকা।

১০০ মিলিলিটারের সুলতান একহাজার ৮০০ থেকে ২ হাজার টাকা, আলফারেজ দুই হাজার টাকা, সিলভার একহাজার ৮০০ টাকা, ওপেন একহাজার ৫০০ টাকা, ইগুবস একহাজার ৬০০ টাকা, বস একহাজার ৫০০ টাকা এবং ম্যাডার রোজ ব্র্যান্ডের আতর একহাজার ৬০০ টাকায় বিক্রি করেন দোকানি।

এছাড়া প্রতি শিশি সৌদির রয়্যাল ম্যারেজ ৫০ টাকা, ওয়ান ম্যান শো ১২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। সাফসাফা ২০০, দুবাইয়ের সুলতান ২২০ টাকা, ভারতের কোবরা ২৫০ টাকা, বোম্বে দরবার ৩০০ টাকা, নূর ৩০০ টাকা এবং ইরানি গাউজ আতর ১২০ টাকা করে বিক্রি হচ্ছে।

আর দেশীয় আতর আলিফ, ম্যাগনেট, লাভ মি, সালমা, সুইটরোজ, আল নাইম ফিগো আতরের দাম ১০০ থেকে ১৫০ টাকা শিশি।

ইসলাম ধর্ম অনুযায়ী ঈদের দিন আতর ব্যবহার করা সুন্নত। এ কারণে ঈদে সবাই আতর ব্যবহার করে নামাজ পড়তে যায়। কিন্তু এবার বৈশ্বিক মহামারি করোনার কারণে বদলে গেছে সব চিরচেনা দৃশ্য।

আতর উপচে পড়া ভিড় করোনাভাইরাস ক্রেতাশূন্য টুপি


বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ
সম্পর্কিত খবর