করোনা প্রতিরোধে সরকারি কর্মকাণ্ডের সমন্বয় নেই: ফখরুল

ঢাকা: করোনা মহামারি প্রতিরোধে সরকারের কর্মকাণ্ডের কোনো সমন্বয় নেই বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

ঈদের দিন (২৫ মে) শেরেবাংলা নগরে প্রয়াত রাষ্ট্রপতি বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের কবর জিয়ারতের পর তিনি এ অভিযোগ করেন।

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘করোনা মোকাবিলায় সরকারের তরফ থেকে যে সমস্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে তা সামঞ্জস্যপূর্ণ ছিলো না, সমন্বয় ছিলো না এবং এখনো নেই। করোনাভাইরাসকে ন্যূনতম প্রতিরোধের কাছাকাছি আনতে সরকার ব্যর্থ হয়েছে।’

‘আমরা এই কথা বলি না যে, এটা তারা পুরোটাই পারবেন। কারণ, পুরোটা পারা সম্ভব নয়। নতুন একটা জিনিস। কিন্তু যে ইচ্ছ, যে প্রচেষ্টা থাকার কথা ছিল, সেটা নেই। সকলকে সাথে নিয়ে বিশেষ করে বিশেষজ্ঞ যারা তাদেরকে সাথে নিয়ে এটাকে মোকাবিলা করা তাদের পক্ষে সম্ভব হয়নি’— বলেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

সরকারের ব্যর্থতার কারণে করোনা আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বাড়ছে অভিযোগ করে তিনি বলেন, ‘আমরা দেখেছি, কয়েকবার বিভিন্ন সিদ্ধান্তের কারণে সারাদেশেই মানুষ ছড়িয়ে পড়েছে। বিশেষ করে ঈদের আগে এবং তারও আগে গার্মেন্টস ছুটি— সব মিলিয়ে এখন সারাদেশের মানুষই করোনাতে আক্রান্ত হয়ে পড়েছে। প্রতিদিন আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। বাড়ছে মৃতের সংখ্যাও।’

বেসরকারি হাসপাতালে করোনা চিকিৎসা হচ্ছে না অভিযোগ করে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘স্বাস্থ্য ব্যবস্থা কতটা ভঙ্গুর হয়ে পড়েছে দেখুন- এখন যারা দায়িত্বপূর্ণ লোক আছেন, গুরুত্বপূর্ণ লোক আছেন তারা কিন্তু অন্যান্য হাসপাতালে যাচ্ছেন না। তারা যাচ্ছেন সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে। এটা প্রমাণ করে সিভিল হেলথ ব্যবস্থা অর্থাৎ বেসামরিক স্বাস্থ্য ব্যবস্থা প্রায় ভেঙ্গেই পড়েছে। যার কারণে কারও আস্থা সেখানে থাকছে না।’

তিনি বলেন, ‘করোনাভাইরাসে লকডাউন করা হয় নাই কিন্তু ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। সাধারণ ছুটি ঘোষণা করার মধ্য দিয়ে মানুষ আসলে সাধারণ ছুটি ভোগ করছে। দুর্ভাগ্যজনকভাবে আমরা লক্ষ্য করেছি যে, এই বিষয়টাতে যে ধরনের গুরুত্ব দেওয়া প্রয়োজন ছিলো তা দিতে সরকার ব্যর্থ হয়েছে।’

‘কোথাও কোনো দায়িত্বের লেশ আমরা দেখতে পারছি না, সমন্বয় দেখতে পারছি না। একটা যে সেন্স অব রেসপনসেভিলিটি সেটা দেখতে পারছি না। আপনি পুরোটাই পারবেন-সেটা সম্ভব না এখন। কিন্তু আপনি করার চেষ্টা করছেন আন্তরিকভাবে সেটা ভিজিবল হতে হবে, সেটাই আমরা দেখছি না’— বলেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

খালেদা জিয়ার প্রতি অবিচার করা হয়েছে
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘প্রতিবছর দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া নিজেই এখানে আসেন জিয়ারত করতে। কিন্তু আপনারা জানেন, তিনি অসুস্থ। তার পক্ষে সম্ভব নয় এখানে আসা।’

তিনি বলেন, ‘যদিও মাত্র ৬ মাসের জন্য তাকে সাজা স্থগিত করে মুক্তি দেওয়া হয়েছে। আমরা মনে করি যে, এটা তার প্রতি সম্পূর্ণ অবিচার করা হয়েছে, ন্যায়বিচার করা হয়নি। তাকে সম্পূর্ণভাবে মুক্তি দেওয়া উচিত ছিলো এবং বিচারেও তার জামিন পাওয়া উচিত ছিলো, সেই জামিনও বর্তমান ব্যবস্থায় তিনি পাননি।’

খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা এখন কেমন জানতে চাইলে ফখরুল বলেল, ‘ইনশাল্লাহ উনি যেমন ছিলেন তার থেকে খারাপ হননি, স্থিতিশীল আছেন।’

অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, নজরুল ইসলাম খান, সেলিমা রহমান ও ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু।

করোনা মহামারি জিয়াউর রহমান টপ নিউজ বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল সরকারি কর্মকাণ্ড