চট্টগ্রামে ইউপি সদস্য খুনের মামলায় চেয়ারম্যানসহ গ্রেফতার ২
২৬ মে ২০২০ ১৪:০৪
চট্টগ্রাম ব্যুরো: চট্টগ্রামের ফটিকছড়ি উপজেলায় ইউনিয়ন পরিষদের সদস্যকে গুলি করে খুনের ঘটনায় খিরাম ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সোহরাব হোসেনসহ দু’জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
মঙ্গলবার (২৬ মে) ভোরে চট্টগ্রাম নগরীর পাঁচলাইশ এলাকা থেকে ইউপি চেয়ারম্যান সোহরাব হোসেনকে গ্রেফতার করা হয়। চট্টগ্রামের হাটহাজারী সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবদুল্লাহ আল মাসুম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এছাড়া এলাকা থেকে আবুল বশর কোম্পানি নামে আরেকজনকে গ্রেফতারের কথাও জানিয়েছেন তিনি।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মাসুম সারাবাংলাকে বলেন, ‘হত্যাকাণ্ডের পর সোহরাব নগরীতে পালিয়ে এসে পাঁচলাইশে তার এক বন্ধুর বাসায় আত্মগোপন করেছিল। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে আজ (মঙ্গলবার) ভোরে ওই বাসায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। রাতে এলাকায় অভিযান চালিয়ে আবুল বশর কোম্পানিকে গ্রেফতার করা হয়। তাদের ফটিকছড়ি থানায় দায়ের হওয়া হত্যা মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতে পাঠানো হয়েছে।’
ঈদের নামাজ শেষে ফেরার পথে ইউপি সদস্যকে গুলি করে খুন
এর আগে, সোমবার (২৫ মে) সকাল ১০টার দিকে উপজেলার খিরাম ইউনিয়নের চৌমুহনী বাজারের পশ্চিমে নিজ বাড়ির সামনে ইউপি সদস্য মো. জব্বারকে (৪২) গুলি করে খুন করে দুর্বৃত্তরা। জব্বার খিরাম ইউনিয়ন পরিষদের পাঁচ নম্বর ওয়ার্ড থেকে নির্বাচিত সদস্য। তিনি ওই ওয়ার্ডের গোয়াচ বাড়ির আবুল কাশেমের ছেলে।
পুলিশের বক্তব্য অনুযায়ী, সোমবার সকালে ঈদের নামাজ শেষে ফেরার পথে জব্বারকে আক্রমণ করে সোহরাবের অনুসারী সন্ত্রাসীরা। এসময় জব্বার পালিয়ে নিজ বাড়িতে ঢুকে পড়ে। পরে তার সন্ত্রাসীরা তার বাড়ি ঘেরাও করে জব্বারকে টেনে বের করে বাড়ির সামনে গুলি করে হত্যা করে।
পুলিশ ও স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, চেয়ারম্যান সোহরাব ও জব্বারের সঙ্গে বিরোধের সূত্রপাত হয় মূলত ২০১৯ সালে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে। ওই নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পান মো. শহীদুল্লাহ। সাবেক ছাত্রলীগ নেতা সোহরাব বিদ্রোহী প্রার্থী হয়ে শহীদুল্লাহকে পরাজিত করেন। জব্বার শহীদুল্লাহর অনুসারী।
চেয়ারম্যান সোহরাব ও শহীদুল্লাহর অনুসারীদের মধ্যে নির্বাচনের পর থেকে কয়েক দফা সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ নিয়ে একাধিক মামলাও হয়েছে। গত ২০ মার্চ এলাকায় সোহরাব গুলিবিদ্ধ হয়েছিলেন।