Friday 06 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

ভর্তি না করে তাড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগ, হাসপাতালের গেটেই সন্তান প্রসব


২৬ মে ২০২০ ১৫:১৬

গাইবান্ধা: প্রসববেদনা নিয়ে ভর্তি হতে না পেরে গাইবান্ধার সাদুল্লাপুর হাসপাতালের গেটেই সন্তান প্রসব করছে রাশেদা বেগম। বর্তমানে নবজাতক শিশু সন্তান সুস্থ থাকলেও রক্তক্ষণের কারণে প্রসূতি মাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয়েছে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে।

সোমবার (২৫ মে) সন্ধ্যায় সাদুল্লাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মূল ফটকের নিচে এই ঘটনা ঘটে। প্রসূতি রাশেদা বেগম সাদুল্লাপুর উপজেলার দামোদরপুর ইউনিয়নের জামুডাঙ্গা বাঁধের মাথা এলাকার মো. বাদশা মিয়ার স্ত্রী। বাদশা মিয়া স্ত্রী ও তিন মেয়েকে নিয়ে দিনমজুরের কাজ করেন।

এদিকে, ঘটনার পর পরেই প্রসূতির স্বজন ও স্থানীয় লোকজন বিক্ষুদ্ধ হয়ে হাসপাতালের গেটে অবস্থান নেয়। এ সময় জড়িতদের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ করেন বিচার দাবি করেন তারা। পরে খবর পেয়ে রাত ৯টার দিকে সাদুল্লাপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নবীনেওয়াজ ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শাহারিয়ার খান বিপ্লব হাসপাতালে আসেন। এ সময় ঘটনা তদন্ত করে সুষ্ঠ বিচারের আশ্বাস দেন তারা।

স্বজনরা জানান, রাশেদা সোমবার বিকেলে নিজ বাড়িতে প্রসববেদনায় ছটফট করলে হাসপাতালে নেওয়া হয় তাকে। কিন্তু হাসপাতালের জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক মিঠুন কুমার বর্মণ, সেবিকা বাসনা রানী ও অফিস সহায়ক শিল্পী রানী তাকে ভর্তি না করে অন্য হাসপাতালে যেতে বলেন। এসময় করোনার ভয় দেখিয়ে তাদের তাড়িয়ে দেওয়া হয়। এতে নিরুপায় হয়ে হাসপাতালের প্রধান গেটে আসার পরপরই সন্তান প্রসব করেন রাশেদা।

স্বজনদের অভিযোগ, সেবা না পেয়ে হাসপাতালের গেটে একটি কাপড় পেঁচিয়ে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে সন্তান প্রসব হয় রাশেদার। অতিরিক্ত রক্তক্ষণে সজ্ঞাহীন হয়ে গেলে স্থানীয় লোকজন তাকে হাসপাতালে নেয়। ঘটনার সুষ্ঠ বিচারের দাবি করেছেন স্বজনরা।

হাসপাতালের জরুরি বিভাগের দায়িত্বরত চিকিৎসক ডা. মিঠুন কুমার বর্মণ প্রথমে কথা বলতে না চাইলেও, পরে তিনি প্রসূতি ওই নারীর নানা জটিলতার কথা বলে নিজের দায় এড়িয়ে যান। এছাড়া অভিযুক্ত সেবিকা বাসনা ও অফিস সহায়ক শিল্পী রানী ঘটনার পর আত্মগোপনে থাকায় তাদের বক্তব্য জানা সম্ভব হয়নি।

সাদুল্লাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. শাহীনুল ইসলাম বলেন, ‘ওই প্রসূতি নারীর নানা জটিলতা থাকায় তাকে সদর হাসপাতালে নেওয়ার জন্য স্বজনদের পরামর্শ দেওয়া হয়। কিন্তু হাসপাতাল থেকে যাওয়ার পথে গেটে সন্তান প্রসাব করেন তিনি। বর্তমানে নবজাতক ছেলে শিশুটি সুস্থ রয়েছে।’ প্রসূতি মাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে রংপুর মেডিকেলে কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে বলেও জানান তিনি।

সন্তান প্রসব হাসপাতালের গেট


বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ
সম্পর্কিত খবর