জয়পুরহাটে ঘূর্ণিঝড়ে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি, ৪ জনের মৃত্যু
২৭ মে ২০২০ ১১:০১
জয়পুরহাট: জয়পুরহাটে ঘূর্ণিঝড়ে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। এছাড়া ঝড়ে দেয়ালচাপায় একই পরিবারের তিনজন এবং ঘর ভেঙে পড়ে আরেকজন মারা গেছে।
মঙ্গলবার (২৬ মে) রাত ১১টার দিকে জেলার ওপর দিয়ে বয়ে যাওয়া প্রবল বেগের ঘূর্ণিঝড়ে এ ঘটনা ঘটে। জয়পুরহাটের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জাকির হোসেন ঝড়ে ক্ষয়ক্ষতি ও মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
নিহতদের মধ্যে ক্ষেতলাল উপজেলার খলিশাগাড়ি গ্রামের দিনমজুর জয়নাল আবেদিনের স্ত্রী শিল্পী বেগম (২৮) তার দুই সন্তান নেওয়াজ (৮) ও নিয়ামুল (৩) দেয়ালচাপা পড়ে মারা যান। এছাড়া কালাই উপজেলার হারুঞ্জা আকন্দপাড়া গ্রামের মৃত সালামত আলীর স্ত্রী মরিয়ম বেগমের (৭০) মৃত্যু হয় ঘর ভেঙে পড়ে।
বিভিন্ন সূত্রে জানা যায়, ঘূর্ণিঝড়ে প্রায় ৪০টি গ্রাম লণ্ডভণ্ড হয়েছে। এছাড়া দেয়ালচাপা পড়ে একই পরিবারের তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। আর ঘর ভেঙে পড়ে মারা গেছেন আরও একজন। এদিকে পোল্ট্রি খামারের সেড ভেঙ্গে প্রায় ৪০ হাজার মুরগী মারা গেছে। এছাড়া প্রায় দুই হাজার বাড়ি-ঘর ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের টিনের চাল উড়ে গেছে। শত শত গাছ ও বিদ্যুতের শতাধিক খুঁটি ওপড়ে গেছে। ফলে গত রাত সাড়ে দশটার পর থেকে জেলায় বিদ্যুত সরবরাহ বন্ধ রয়েছে।
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জাকির হোসেন জানান, মঙ্গলবার রাত সাড়ে দশটার পর জেলায় প্রবল বেগে আঘাত হানে ঘূর্ণিঝড়। ঝড়ে ক্ষেতলাল উপজেলার খলিশাগাড়ি গ্রামের দুই শিশুসহ এক নারী এবং কালাই উপজেলার হারুঞ্জা গ্রামের এক বৃদ্ধা মারা গেছে। এছাড়া সদরসহ কালাই ও ক্ষেতলাল উপজেলার অন্তত ৪০টি গ্রামের দুই হাজার ঘর-বাড়ি ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। ক্ষেতলালের তিলাবদুল এলাকায় পোল্ট্রি খামারের সেড ভেঙে ৪০ হাজার মুরগি মারা গেছে।
এদিকে ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্তদের জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সহযোগিতা করা হবে বলে জানান মোহাম্মদ জাকির হোসেন।