কোভিড-১৯ সংক্রমণের ‘পিক’ নিয়ে আসছে ঈদের ছুটি?
২৭ মে ২০২০ ২১:২১
ঢাকা: দেশে প্রথম করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) সংক্রমণ শনাক্তের ৮০ দিন পেরিয়ে গেছে। এখনো সংক্রমণ বাড়ছেই। দিন দিন নমুনা পরীক্ষা যত বাড়ছে, ততই বাড়ছে সংক্রমণ শনাক্তের সংখ্যা। বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক কেবল নয়, স্বাস্থ্যমন্ত্রী নিজেই বলেছেন, বাংলাদেশ এখন কোভিড-১৯ সংক্রমণের ‘পিক’ অর্থাৎ চূড়ার দিকে যাচ্ছে। সেই ‘পিক’ সময়টি কখন আসবে?
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ঈদুল ফিতরের ছুটির পর নমুনা পরীক্ষার বৃদ্ধির ধারাবাহিকতা অব্যাহত থাকলে কোভিড-১৯ সংক্রমণ শনাক্তের ‘পিক’ দেখা যেতে পারে। এর আগে পোশাক কারখানা খুলে দেওয়া বা শপিং মল ও দোকানপাট খুলে দেওয়ার পরে সংক্রমণ বেড়েছিল। ঈদের ছুটিতে বিপুলসংখ্যক মানুষের ঢাকা থেকে সারাদেশে ছড়িয়ে যাওয়া এবং ছুটির পর তাদের ঢাকা ফিরে আসার বিষয়টি ওইসব সময়ের চেয়ে আরও অনেক বেশি মানুষকে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকির মধ্যে ফেলবে। তারা সংক্রমিত হলে ঈদের ছুটি শেষ হওয়ার এক থেকে দুই সপ্তাহ পর তাদের সেই সংক্রমণ শনাক্ত হবে। সেক্ষেত্রে জুন মাসের প্রথম সপ্তাহ থেকে শুরু করে দ্বিতীয় সপ্তাহ পর্যন্ত সংক্রমণে থাকতে পারে ঊর্ধ্বগতি।
বিশেষজ্ঞরা আরও বলছেন, যদি সত্যি সত্যিই এ সময় সংক্রমণের মাত্রা এখনকার চেয়ে অনেক বেশি পরিমাণে শনাক্ত হতে থাকে, কার্যকর লকডাউন ছাড়া সে পরিস্থিতিতে নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হবে না। এ ক্ষেত্রে সরকারকে যেমন কঠোর থেকে কঠোরতর হতে হবে, তেমনি সাধারণ জনগণকেও অনেক বেশি সচেতনতার নজির রাখতে হবে। আর কোভিড-১৯ নমুনা পরীক্ষার পাশাপাশি চিকিৎসায় নিয়োজিত প্রতিষ্ঠানের সংখ্যাও বাড়াতে হবে। বাড়াতে হবে আইসিইউ ও ভেন্টিলেশনের সুযোগ। তা না হলে সংক্রমণের পাশাপাশি মৃত্যুর মিছিলও এই সময় বাড়তেই থাকবে।
বাংলাদেশের কোভিড-১৯ সংক্রমণের প্রবণতা থেকে দেখা যায়, সময়ের সঙ্গে সঙ্গে দেশে সংক্রমণ শনাক্তের মাত্রা বেড়েছে। এর মধ্যেও বিশেষ করে যেসব সময়ে সাধারণ ছুটিতে পালনীয় বিষয়গুলো শিথিল ছিল, সেই সময়গুলোতেই সংক্রমণের পরিমাণ ছিল বেশি। যেমন— এপ্রিলের প্রথম সপ্তাহে পোশাক কারখানা খোলা ও বন্ধ নিয়ে সিদ্ধান্তহীনতার সময় ৪ এপ্রিল গ্রাম থেকে পোশাককর্মীরা ফিরে আসেন ঢাকায়। আবার ২৬ এপ্রিলের পর সীমিত আকারে কারখানা খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। সবশেষ ঈদ সামনে রেখে ১০ মে থেকে দোকানপাট ও শপিং মল খোলা রাখার সিদ্ধান্ত নেয় সরকার। স্বাস্থ্য অধিদফতরের তথ্য বলছে, প্রতিটি ঘটনার এক থেকে দুই সপ্তাহ পর সংক্রমণ শনাক্তের মাত্রা ছিল বেশি।
অর্থাৎ, মানুষের চলাফেরার সুযোগ যত উন্মুক্ত হয়েছে, সংক্রমণ শনাক্তের পরিমাণ তত বেশি পাওয়া গেছে। ঢাকা থেকে বিভিন্ন জেলায় মানুষের যাওয়ার সুযোগ যত বেড়েছে, জেলাগুলোতেও সংক্রমণ ততই বেড়েছে।
এরকম পরিস্থিতিতে প্রথম সংক্রমণ শনাক্তের যখন ১১ সপ্তাহ পেরিয়েছে, তখন শুরু হয়েছে ঈদের ছুটি। এই ছুটিতে কেউ যেন ঢাকা থেকে গ্রামে যেতে না পারেন, সে বিষয়ে সরকারসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কঠোর অবস্থান ছিল। তবে শেষ মুহূর্তে সে নিষেধাজ্ঞা শিথিল করে দেওয়া হয়। জানানো হয়, ব্যক্তিগত গাড়িতে যে কেউ ঢাকা ছাড়তে পারবেন। এতে করে বিপুলসংখ্যক মানুষ ঢাকা ছেড়ে গ্রামে গেছেন স্বজনদের সঙ্গে ঈদ করতে। ঈদের ছুটি শেষে তারাও ফিরেও আসবেন রাজধানীতে। এই বিষয়টি সারাদেশেই করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ার বড় ঝুঁকি তৈরি করেছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
স্বাস্থ্য অধিদফতরের রোগ নিয়ন্ত্রণ বিভাগের সাবেক পরিচালক ডা. বেনজির আহমেদ সারাবাংলাকে বলেন, ঈদের ছুটির পরের দুই সপ্তাহ খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আমরা যেভাবে মানুষদের গ্রামে যেতে দেখেছি, তাতে আসলে সংক্রমণ বৃদ্ধির আশঙ্কা থাকেই। তাছাড়া দেশে এখন প্রচুর উপসর্গহীন রোগী পাওয়া যাচ্ছে। ফলে যে বিষয়টি অনেকেই বুঝতে পারছেন না, তিনি হয়তো লক্ষণ না থাকায় নিজেকে সুস্থ ভেবেই পরিবারের সঙ্গে ঈদ করে রাজধানীতে ফিরে আসছেন। কিন্তু গোটা প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে তিনি অনেককে সংক্রমণের ঝুঁকিতে ফেলছেন, গ্রামে সংক্রমণের ছাপ রেখে আসছেন। সবকিছু মিলিয়ে আসলে জুনের প্রথম সপ্তাহ থেকে শুরু করে দ্বিতীয় সপ্তাহে আমরা বুঝতে পারব, এই ঝুঁকিটা কত বেশি ছিল।
ডা. বেনজির বলেন, বাংলাদেশের বর্তমান প্রেক্ষাপটে ৮০ শতাংশ গ্রাম এখনো করোনামুক্ত। ঈদের বন্ধে এই গ্রাম, পাড়া, মহল্লা ধীরে ধীরে একটা চক্রের মধ্যে ঢুকবে। ধরুন, মোহাম্মদপুরে একজনের সংক্রমণ আছে। লকডাউন খুলে দেওয়ার পর তিনি গ্রামের বাড়িতে গেলেন, যেখানে আগে কোনো সংক্রমণ ছিল না। সেখানে তাকে ট্রেস করারও কোনো ব্যবস্থা নেই। এভাবে কিন্তু তিনি বাহকে পরিণত হলেন। আবার ঠিক একইভাবে ঢাকার বিভিন্ন এলাকার মধ্যে যখন লোকজনের যাতায়াত শুরু হবে, সেটাও বিভিন্ন এলাকায় ছড়াবে। এভাবে দেখা যাবে, লকডাউন শিথিল হলে বা উঠে গেছে আগের চেয়ে অনেক বেশি সংক্রমণের ঝুঁকি তৈরি হবে, সেটা শনাক্ত করতেও সময় লাগবে। এর অর্থ, আমরা একটি দীর্ঘস্থায়ী সংক্রমণ চক্রের মধ্যে ঢুকছি। এখন এই চক্রটা শেষ হতে কতদিন লাগবে এবং এই চক্রের প্রভাব কতটুকু, সেটি বড় ভাবনার বিষয়।
রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের (আইইডিসিআর) সাবেক প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা এবং বাংলাদেশ মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশনের (বিএমএ) কার্যকরী সদস্য ডা. মোশতাক হোসেনও জুনের প্রথম দুই সপ্তাহকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছেন।
তিনি সারাবাংলাকে বলেন, এর আগেও জনচলাচল যখনই বেড়েছে, তার প্রভাবে সংক্রমণ বেড়েছে। ঈদের ছুটির পর যখন রাজধানীতে সবাই ফিরবেন, এরও একটি প্রভাব পড়তেই পারে। পৃথিবীর অন্যান্য দেশের সংক্রমণের হার যদি বিবেচনা করা হয় দেখা যাবে, বড় কোনো ঘটনার পর নিয়ন্ত্রণহীন হয়ে পড়ে সংক্রমণের মাত্রা। ঈদের ছুটির এই বিষয়টিও আমাদের জন্য তেমন হতে পারে।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) সাবেক উপাচার্য ও কোভিড-১৯ মোকাবিলায় গঠিত জাতীয় পরামর্শক কমিটির সদস্য অধ্যাপক ডা. নজরুল ইসলাম সারাবাংলাকে বলেন, দেশের আটটি বিভাগের মধ্যে ঢাকা বাদে অন্যান্য বিভাগে সংক্রমণ একটু কম। ঢাকা বিভাগের সংক্রমণ অনেক বেশি। কারণ এখানের মানুষের চালচলনের ধরন দেশের অন্যান্য স্থানের চেয়ে আলাদা। এটিই আমাদের সংক্রমণ বাড়ার অন্যতম একটি কারণ। আমাদের গার্মেন্টস খুলে দেওয়াসহ লকডাউনের বিভিন্ন কার্যক্রম শিথিল হওয়ার পরে সংক্রমণ বাড়ছে— এটা আমরা দেখতে পাচ্ছি। এই পরিস্থিতি অবশ্যই ঈদের ছুটি কাটিয়ে যখন সবাই ফিরে আসবে, তখন সংক্রমণের মাত্রা বাড়তে পারে। এ ধারাটা বোঝা যাবে জুনের প্রথম সপ্তাহ থেকে দ্বিতীয় সপ্তাহের মধ্যেই। যেভাবে আমাদের এখান থেকে সবাই ঈদে বাড়ি গেছে বা ঈদের ছুটিতে স্বাস্থ্যবিধি না মানার প্রবণতা দেখা গেছে, তাতে সেই সময়ে রোগীর সংখ্যা বাড়লে অবাক হব না।
কোভিড-১৯ মোকাবিলায় গঠিত জাতীয় পরামর্শক কমিটির সদস্য ডা. ইকবাল আরসালান সারাবাংলাকে বলেন, এখনো আমাদের এখানে অনেক ধরনের সমন্বয়হীনতা রয়েছে। এগুলো কাটিয়ে উঠতে না পারলে হয়তো পরিস্থিতি মোকাবিলা করা অনেক বেশি কঠিন হয়ে পড়বে। স্বাস্থ্যবিধি না মেনে আমরা সাম্প্রতিক সময়ে যেভাবে মানুষজনকে বাইরে বের হতে দেখেছি, তার কারণে আমাদের এখানে জুনের দিকে সংক্রমণের মাত্রা বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা উড়িয়ে দেওয়া যায় না।
‘লকডাউন’কে আগের চেয়ে অনেক বেশি কার্যকর করতে না পারলে এ পরিস্থিতি থেকে উত্তরণের কোনো পথ নেই বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। তারা বলছেন, গণপরিবহন বন্ধ তো বটেই, সাধারণ মানুষের চলাচলেও কঠোর নিয়ন্ত্রণ আরোপ করতে হবে। জরুরি প্রয়োজন না থাকলে প্রত্যেকের ঘরে থাকা নিশ্চিত করতে হবে। যারা জরুরি প্রয়োজনের কথা বলে বের হবেন, তাদের প্রয়োজনটা সত্যিই জরুরি হতে হবে।
ডা. বেনজির বলেন, দেশের যে ৮০ শতাংশ গ্রামীণ জনপদ এখনো আক্রান্ত নয়, তাদের রক্ষা করতে হবে। তাহলেই কেবল এ পরিস্থিতি থেকে উত্তরণ সম্ভব। এখনো সেটার সুযোগ আছে, যদি আমরা এখনো কার্যকর লকডাউনের ব্যবস্থা করতে পারি। কারণ কোভিড-১৯ পরিস্থিতিতে চিকিৎসা কখনোই সমাধান হতে পারে না। আমাদের অবশ্যই রোগ প্রতিরোধে জোর দিতে হবে। আমাদের দেশের পক্ষে চিকিৎসাব্যবস্থার ওপর নির্ভর করে বেশি দূর আগানো যাবে না। সেক্ষেত্রে করোনার চিকিৎসা নয়, হাসপাতালে রোগী যেন কম আসে, সেদিকটা ভাবতে হবে।
ডা. মোশতাক মনে করছেন, ঈদের ছুটির বিষয়টি ‘সাইক্লোন’ হয়ে উঠতে পারে আমাদের জন্য। বিষয়টি ব্যাখ্যা করে তিনি বলেন, আপনি কোনো এলাকায় ঝড় মোকাবিলা করছেন। সেখানে ঝড়ের কারণে ফসলের ক্ষতি হতে পারে, হয়তো ঘরবাড়ি নষ্ট হতে পারে কিংবা সম্পদ ক্ষতিগ্রস্ত হবে। সেগুলোও কাটিয়ে ওঠা সম্ভব। কিন্তু যদি সাইক্লোন আসে, তবে সেক্ষেত্রে মানুষের প্রাণহানি হলে তা আর ফিরে পাওয়া যাবে না। আমাদের দেশের সংক্রমণে সেই সাইক্লোনটা আসতে দেওয়া যাবে না। একবার চলে এলে সেটাকে আর কিছুতেই নিয়ন্ত্রণ করা যাবে না। আর এজন্য যথাযথ পরিকল্পনা করে এগিয়ে যেতে হবে। একটা নির্দিষ্ট সময়ের জন্য কার্যকর লকডাউনে গিয়ে আমরা হয়তো কিছুটা সমাধান আশা করতে পারি। একইসঙ্গে যদি জনগণ স্বাস্থ্যবিধি মেনে সচেতন হয়ে ওঠে, তবে তা সংক্রমণের মাত্রাকে নিয়ন্ত্রণে রাখবে।
এ পরিস্থিতিতে সাধারণ ছুটিতে কিছু বিধিনিষেধ শিথিল করা হলেও তা দ্রুত সংশোধন করে কঠোর করার পক্ষে মত দেন ডা. মোশতাক। তিনি বলেন, এটা করতে পারলে দেখা যাবে, যেখানে ক্লাস্টার নেই সেখানে আমরা স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলাচল করতে পারব। কিন্তু বিপর্যয় যদি এর চেয়ে বাড়ে, তখন নিয়ন্ত্রণে আনা কঠিন হয়ে যাবে। তাই নমুনা পরীক্ষার পাশাপাশি হাসপাতালে চিকিৎসা ব্যবস্থা বাড়াতে হবে।
বিএসএমএমইউয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ডা. কামরুল হাসান খান সারাবাংলাকে বলেন, বাংলাদেশে বিভিন্ন পরিস্থিতিতে সংক্রমণের মাত্রা বেড়েছে। এটা আমরা তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষণ করলেই বুঝতে পারি। এই পরিস্থিতি আরও খারাপ হতে পারে জুন মাসের প্রথম দুই সপ্তাহে।
এ অবস্থা থেকে উত্তরণের জন্য সমন্বয়হীনতা কাটিয়ে ওঠার দিকে জোর দিলেন বিএসএমএমইউয়ের এই সাবেক উপাচার্য। তিনি বলেন, হাসপাতাল ব্যবস্থাপনা থেকে শুরু করে নমুনা পরীক্ষা বাড়ানোর কোনো বিকল্প নেই। একইসঙ্গে বলতে হবে, আমাদের জনগণকেও সচেতন করে তুলতে হবে। স্বাস্থ্যবিধি মানার বিষয়ে সচেতন করার পাশাপাশি কার্যকর লকডাউন বা গতিবিধি নিয়ন্ত্রণ এ ক্ষেত্রে কিছুটা সমাধান বয়ে নিয়ে আসতে পারে।
আর কোভিড-১৯ মোকাবিলায় গঠিত জাতীয় পরামর্শক কমিটির সদস্য ডা. ইকবাল আরসালান বলেন, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে করণীয় বিষয়ে আমাদের কিছু পরামর্শ আছে। আশা করছি এগুলোর বাস্তবায়ন হলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব হবে। তবে যদি স্বাস্থ্য অধিদফতর ও স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এখনো তাদের সমন্বয়হীনতা কাটিয়ে উঠতে না পারে, সেক্ষেত্রে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নাও থাকতে পারে।
ঈদুল ফিতর ঈদের ছুটি উপসর্গহীন করোনা সংক্রমণ করোনা সংক্রমণ করোনাভাইরাস কোভিড-১৯ সংক্রমণের ঝুঁকি