‘দুর্যোগে নিরাপদ দূরত্বে অবস্থান করাই বিএনপির রাজনীতি’
২৭ মে ২০২০ ২১:৪৬
ঢাকা: আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘দুর্যোগে নিরাপদ দূরত্বে অবস্থান করাই বিএনপির রাজনীতি। অসহায় জনগণের পাশে না দাঁড়িয়ে গণমাধ্যমে কথামালার ফুলঝুরি বর্ষণ তাদের জননিন্দিত হাতিয়ার। দায়িত্বশীল রাজনৈতিক দল হিসেবে কর্মহীন মানুষের জন্য এবং ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের ধারে কাছে দেশের জনগণ তাদের দেখেনি। তারা রাজনৈতিক আইসোলেশনে থাকে এবং এখনো আছে।
বুধবার (২৭ মে) সরকারি বাসভবনে এক অনলাইন ব্রিফিংয়ে ওবায়দুল কাদের এ সব কথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘দেশের জনগণ এ কথা ভালো করেই জানেন আন্দোলন সংগ্রামে ব্যর্থ হয়ে বিএনপি নেতারা সবসময় ঝাঁজালো কিছু শব্দ চাতুর্যের মাধ্যম প্রয়োগ করে রাজনৈতিক ফায়দা হাসিলের অপচেষ্টা করে। মির্জা ফখরুল সাহেব সমন্বয়হীনতার কথা বলে কী বোঝাতে চেয়েছেন তা স্পষ্ট না করে বরাবরের মতো কথামালার চাতুরি দিয়ে জনগণকে বিভ্রান্ত করতে চেয়েছেন।’
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ দুর্যোগ মোকাবিলায় সক্ষমতা ও মানবিক প্রয়াস দেশবাসীর জানা। প্রতিটি দেশের বিভিন্ন দুর্যোগে শেখ হাসিনা ও তার দল আওয়ামী লীগ মানুষের পাশে সবার আগে দাঁড়িয়েছে। সরকারে থাকা অবস্থায় শেখ হাসিনার সরকার বারবার দুর্যোগ মোকাবিলায় যে সক্ষমতা দেখিয়েছে তা অতীতে ও বর্তমানে বিশ্বব্যাপী প্রশংসিত।
সরকার অর্থনৈতিক লোকসানের কথা জেনেও সাধারণ ছুটি ঘোষণা করেছে অর্থনীতির স্থিতি এবং ক্ষতি পুষিয়ে জনগণের কল্যাণে কয়েক স্তরের প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণা করেছে।
‘লকডাউন বা সাধারণ ছুটি বা যে নামেই বলা হোক এর উদ্দেশ্য হলো সামাজিক দূরত্ব মেনে চলা। সরকার জনগণকে সচেতন করে তোলাকে দুর্যোগ মোকাবিলার অন্যতম হাতিয়ার হিসেবে বিবেচনা করলেও মির্জা ফখরুল সাহেব সরকারের বিরুদ্ধে অবিরাম মিথ্যাচার করে যাচ্ছেন।’
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘বিএনপি রাজনৈতিকভাবে লকডাউন এ আটকে আছে। তারা সরকারের কোনো ইতিবাচক প্রয়াস খুঁজে পান না। আমরা আগেও বলেছি, সরকার চলমান করোনা সংকট মোকাবিলায় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ঘোষিত নীতি অনুসরণ করছে। করোনা পরীক্ষার টেস্ট কিট এর ব্যবহার বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা কর্তৃক অনুমোদিত নয় তবু সরকার জনস্বাস্থ্যের কথা বিবেচনা নিয়ে গণস্বাস্থ্য উৎপাদিত পরীক্ষার জন্য নির্দেশ দিয়েছে। কিট অনুমোদনের জন্য সুনির্দিষ্ট পদ্ধতি ও নিয়ম রয়েছে। সেই পদ্ধতি অনুসরণ করার জন্য ঔষধ প্রশাসন থেকে গণস্বাস্থ্যকে জানানো হয়েছে।’
এ ব্যাপারে কিট উদ্ভাবক বিজন চন্দ্র শীলের মিডিয়ায় সরকার ও প্রধানমন্ত্রীর ব্যাপারে প্রশংসা বিষয়টি তুলে ধরেন তিনি।
কাদের আরও বলেন, ‘সরকার যে কোনো গবেষণা এবং উদ্ভাবনকে উৎসাহিত করে এবং স্বাগত জানায়।’
দুর্যোগে নিরাপদ দূরত্বে অবস্থান করায় বিএনপির রাজনীতি দাবি করে তিনি বলেন, ‘অসহায় জনগণের পাশে না দাঁড়িয়ে গণমাধ্যমে কথামালার ফুলঝুরি বর্ষণে তাদের জননিন্দিত হাতিয়ার। দায়িত্বশীল রাজনৈতিক দল হিসাবে কর্মহীন মানুষের জন্য এবং ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের ধারে কাছে দেশের জনগণ তাদের দেখেনি। তারা রাজনৈতিক আইসোলেশনে থাকে এবং এখনো আছে।’
‘লকডাউনের নামে দেশ ও জনগণের জীবনকে স্তব্ধ করার পাশাপাশি জীবিকা রুদ্ধ করে অর্থনৈতিক স্থবিরতা সৃষ্টির অপকৌশল তাদের মনের কথা। শেখ হাসিনার সরকার দক্ষতা ও সাহসিকতার সঙ্গে অভিজ্ঞদের সঙ্গে আলোচনা করেই বিভিন্ন জীবন ও জীবিকার সাথে ভারসাম্য তৈরি করার কথা চেষ্টা করছে।’
ওবায়দুল কাদের আরও বলেন, ‘পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে বিরোধী দল রাজনৈতিক দলগুলো করোনার তহবিল গঠন হেল্পলাইনসহ নানা উদ্যোগ নিয়েছে। এসবের কোনোটাই বিএনপি করতে পারেনি। তবে কি দেশের জনগণের প্রতি তাদের কোনো দায়িত্ব নেই? অন্ধকার সুড়ঙ্গ দেখে ভয় পাওয়ার কোনো কারণ নেই, সুড়ঙ্গ শেষে রয়েছে আশার আলো।’
‘আমি সকলকে ধৈর্য ধারণের আহ্বান জানাচ্ছি। আহ্বান জানাই কঠোরভাবে সামাজিক দূরত্ব মেনে চলার। আপনারা মনে সাহস রাখুন। দুর্যোগের এই অমানিশায় আমাদের সঙ্গে আছেন একজন শেখ হাসিনা যিনি আলো হাতে আঁধারে কাণ্ডারী।’
আওয়ামী লীগ ওবায়দুল কাদের করোনা করোনা মোকাবিলা করোনাভাইরাস ঘূর্ণিঝড়