Friday 22 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

সরকারের সঙ্গে বসতে চান গণপরিবহন মালিকরা


২৮ মে ২০২০ ০১:১৫

সাব্বির আহমেদ, সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট
ঢাকা: পরিবহন মালিকদের সঙ্গে কোন বৈঠক বা আলোচনা ছাড়াই গণপরিবহণ ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। বলা হয়েছে, ১ জুন থেকে সীমিত পরিসরে কঠোরভাবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে গণপরিবহন চলবে।

এখন মালিকরা সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বৈঠকের জন্য যোগাযোগ করছেন। সামাজিক দূরত্ব মেনে বাস চালাতে গেলে অর্ধেক যাত্রী নিতে হবে। এতে তেলের খরচ উঠবে না।

একই অবস্থা নৌপরিবহনেও। নৌ মালিকরা বলছেন, সামাজিক দুরত্ব মেনে লঞ্চ চালানো যাবে না। সেক্ষেত্রে কিভাবে তারা চালাবেন তা নিয়ে এখন পর্যন্ত কোন সরকারি কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বৈঠক হয়নি।

সড়ক ও নৌ এই দুই সেক্টরের সরকারি কর্তৃপক্ষের সঙ্গে গণপরিবহন চালানো কোন বৈঠক হয়নি। এমন পরিস্থিতিতে এখন মালিকরা সিদ্ধান্ত নিতে পারছেন না কিভাবে চলবে।

স্বাস্থ্যবিধি মেনে সীমিত সংখ্যক যাত্রী নিয়ে গণপরিবহনগুলো আগামী ৩১ মে থেকে ১৫ জুন পর্যন্ত সারা দেশে চলাচল করতে পারবে বলে বুধবার বিকেলে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন জানিয়েছেন।

তখন তিনি জানিয়েছিলেন, ৩১ মে থেকে অফিস খুলবে সীমিত পরিসরে। তখন তিনি এও বলেছিলেন, গণপরিবহণ আপাতত চালু হচ্ছে না, তা ১৫ জুন পর্যন্ত বন্ধই থাকছে।

সন্ধ্যায় প্রতিমন্ত্রী আবার বলেন, ‘৩১ মে থেকে ১৫ জুন পর্যন্ত সীমিত পরিসরে অফিস খোলা রাখাসহ বিভিন্ন বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী যেসব সিদ্ধান্ত দিয়েছিলেন, পরে সেখানে প্রধানমন্ত্রী এটা যোগ করেছেন যে, স্বাস্থ্যবিধি মেনে সীমিত আকারে এবং সীমিত সংখ্যক যাত্রী নিয়ে গণপরিবহন চলতে পারবে।’

দূরপাল্লার একজন বাস মালিক জানান, হুন্দাই ২৮ সিটের বাসে অর্ধেক যাত্রী নিয়ে চললে ভাড়া নতুন করে সমন্বয় করতে হবে। অন্যতায় তেলের টাকা উঠবে না।

বিজ্ঞাপন

এখন এই পরিস্থিতিতে ভাড়া কিভাবে নিধারণ হবে তা নিয়ে কতৃপক্ষের সঙ্গে আগেই বৈঠক হওয়া দরকার ছিল যা হয়নি।

সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির মহাসচিব খন্দকার এনায়েত উল্লাহ বলেন, ‘গণপরিবহন চলা নিয়ে সরকারের যে সিদধান্ত এসেছে তা নিয়ে মালিকর নিজেরা কাল পরশুর মধ্যে বৈঠকে বসবেন।

বাংলাদেশ বাস ট্রাক অনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সহ সাধারণ সম্পাদক রাকেশ ঘোষ বলেন, ‘সড়কপথে যাত্রী পরিবহন নিয়ে যে স্বাস্থবিধি প্রণয়ণ করা হয়েছে তা নিয়ে মালিকদের মধ্যে আলোচনা চলছে। দ্রুত একটি স্বিদ্ধান্ত আসবে। প্রয়োজনে সরকারের কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বৈঠকও হতে পারে।

গণপরিবহন পার্শ্ববর্তী ভারতেও ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। পশ্চিমবঙ্গে শুরুতে বেসরকারি মালিকরা নতুন করে ভাড়া সমন্বয় করেছিলেন পরে সরকারের নির্দেশে আগের ভাড়ায় যাত্রী টানতে হচ্ছে।

বেসরকার লঞ্চ মালিকদের সংগঠন অভ্যন্তরীণ নৌ পরিবহন মালিক সমিতির সহ সভাপতি শহিদুল ইসলাম বলেন, ‘বিআইডব্লউটিএ চেয়ারম্যানকে তারা বলেছেন মন্ত্রীর সঙ্গে তারা বসতে চান। কারণ লঞ্চে সামাজিক দূরত্ব মানতে হলে অর্ধেক যাত্রী নিতে হবে। এখন অর্ধেক নিয়ে চললে তেলের খরচ উঠবে না।’

যাত্রীদের বেশি ভাড়া দিয়ে যাওয়ার সক্ষমতা আছে মনে করেন এই নৌ মালিক। তিনি বলেন, ঢাকা থেকে বরিশাল লঞ্চে ২০০ টাকায় যাওয়া যায়। কিন্তু এই করোনা পরিস্থিতিতে মানুষ ১২০০টাকা দিয়ে বরিশাল গিয়েছেন।

সারাবাংলা/এসএ/জেএইচ

করোনা পরিবহন ভাড়া মালিকপক্ষ লকডাউন

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর