Wednesday 16 Jul 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

রেস্টুরেন্ট বন্ধ থাকলেও ভাড়া দিতে চাপ ইউনাইটেড গ্রুপের


২৮ মে ২০২০ ১৯:০৯
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

ঢাকা: রাজধানীতে তিনটি বড় ফুডকোর্ট চালায় ইউনাইটেড গ্রুপ। গুলশান, ধানমন্ডি ও মাদানী অ্যাভিনিউয়ের সাঁতারকুলে তিন ফুডকোর্ট জুড়ে দেশীয় উদ্যোক্তাদের প্রায় একশ রেস্টুরেন্ট রয়েছে। করোনাকালীন রেস্টুরেন্টগুলো বন্ধ থাকলেও এখন ভাড়া আদায়ে চাপ দিচ্ছে ইউনাইটেড গ্রুপ। ১০ জুনের মধ্যে ভাড়া পরিশোধ করতে রেস্টুরেন্ট উদ্যোক্তাদের নোটিশ পাঠিয়েছে তারা।

ধানমন্ডি ‘শেফস টেবিল’র কয়েকটি রেস্টুরেন্টের উদ্যোক্তা জানান, রেস্টুরেন্ট থেকে প্রতিমাসে ভাড়া এবং ইউটিলিটি বিল নেয় ইউনাইটেড গ্রুপ। সঙ্গে খাবার বিক্রি থেকেও কমিশন নেয় তারা। এমনকি লাভ নাও হলেও বিক্রির অংশ থেকে কমিশন দিতে হয় তাদের।

বিজ্ঞাপন

করোনার জন্য গেলো তিন মাস ধরে রেস্টুরেন্ট বন্ধ। এমন অবস্থায় ভাড়া ও ইউটিলিটির জন্য চাপ দিতে শুরু করেছে ইউনাইটেড গ্রুপ। গুলশান ‘শেফস টেবিল’র আরেকটি রেস্টুরেন্টের উদ্যোক্তার সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, রেস্টুরেন্ট খোলা থাকা অবস্থায় যদি লাভ নাও হয় তারপরও তারা বিক্রি থেকে একটা অংশ কমিশন নিয়ে যায়। অথচ এখন এই ক্ষতির সময় অংশীদার না হয়ে উল্টো ভাড়া-ইউলিটি চেয়ে বসেছে।

গুলশান ২ নম্বরের ৯০ নম্বর সড়কের গুলশান সেন্টার পয়েন্টের তৃতীয় তলায় ‘শেফস টেবিল’ নামে ফুডকোর্ট চালু হয় ২০১৮ সালে জুলাইয়ে। এখানে ২৮টি রেস্টুরেন্ট আছে। আর গত বছর ধানমন্ডিতে চালু হয় ‘শেফস টেবিল’। সেখানে আছে ১৮টি রেস্টুরেন্ট। আর নতুন চালু হওয়া সাঁতারকুলে রয়েছে ৩২টি।

সাঁতারকুলের এক রেস্টুরেন্ট উদ্যোক্তা জানান, এখনও এখানে ব্যবসা জমে উঠেনি। শুক্র ও শনিবার ছাড়া ক্রেতা আসে না। এছাড়া দিনের মধ্যে শুধু বিকেলে ক্রেতা সমাগম হয়। এমন অবস্থায় চালুর মাস দুয়েকের মধ্যে করোনা পরিস্থিতিতে এসে পড়ে। বন্ধ হয়ে যায় সব রেস্টুরেন্ট। এখন গেল তিনমাসের ভাড়া-ইউলিটি কীভাবে দেবেন তা নিয়ে দুশ্চিন্তায় আছেন তিনি। এদিকে মানবিক দিক বিবেচনায় তার রেস্টুরেন্টের ওয়েটার ও স্টাফদের বিল এখনও দিয়ে যাচ্ছেন তিনি।

উদ্যোক্তাদের এমন অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে ইউনাটেড গ্রুপ নিযুক্ত ‘শেফস টেবিল’র অপারেশন ম্যানেজার আজিজুর ইসলাম খান সারাবাংলাকে জানান, করোনাকালীন তারা ভাড়া এবং ইউটিলিটি দেওয়ার জন্য বলেছেন। তবে কোনো সময়সীমা বেঁধে দেননি।

এছাড়া রেস্টুরেন্ট থেকে লাভের অংশ নেন বলে স্বীকার করেন তিনি। তবে লাভ-ক্ষতি যাই হোক তারা কমিশন নিয়ে থাকেন- রেস্টুরেন্ট মালিকদের এমন দাবিকে নাকচ করে দেন তিনি। এছাড়া ১০ তারিখের মধ্যে বিল পরিশোধের চাপ দেওয়ার বিষয়টি অস্বীকার করে তিনি বলেন, ‘আমরা কোন সময়সীমা দেইনি। এভাবে প্রেসার দেওয়ার কিছু নেই। কীভাবে মালিকরা ভাড়া দেবেন, কীভাবে সেগুলো কালেক্ট করা যায়- সেটা নিয়ে আমরা এখনও আলোচনা করছি। আলোচনা করে সমাধান করব।’

তবে মালিকরা বলছেন, নোটিশে ১০ তারিখের মধ্যে পরিশোধ করারা কথা বলা হয়েছে। তিনটি ‘শেফস টেবিল’-এ প্রায় একশ রেস্টুরেন্টের বেশিরভাগ মালিক বড় ব্যবসায়ী নন। এদের মধ্যে ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাও রয়েছেন। এ অবস্থায় তারা বিপাকে পড়েছেন ইউনাটেড গ্রুপের কাছে। কিন্তু রাজধানীর বড় মার্কেট বসু্ন্ধরা ও যমুনা ফিউচার পার্কের রেস্টুরেন্ট ব্যবসায়ীদের এমন কোনো চাপ দেওয়া হয়নি বলে জানা গেছে।

ইউনাটেড গ্রুপ চাপ ভাড়া রেস্ট্ররেন্ট শেফ’স টেবিল

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর