প্লাজমা দিলেন সিএমপির করোনাজয়ী পুলিশ সদস্য
২৮ মে ২০২০ ২১:০৪
চট্টগ্রাম ব্যুরো: করোনা জয় করে ফেরা চট্টগ্রামের প্রথম পুলিশ সদস্য অরুণ চাকমা নিজের শরীরের প্লাজমা দিয়েছেন দুজন চিকিৎসকের জন্য। করোনাভাইরাসে আক্রান্ত দুই চিকিৎসকের শরীরে এই প্লাজমা দেওয়া হবে।
বৃহস্পতিবার (২৮ মে) বিকেলে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে অরুণের শরীর থেকে প্লাজমা সংগ্রহ করা হয়।
সিএমপির অতিরিক্ত উপকমিশনার (সদর) মইনুল ইসলাম সারাবাংলাকে জানান, সিএমপির ট্রাফিক বিভাগের উত্তর জোনে কর্মরত কনস্টেবল অরুণ চাকমা (৪০) গত ১৯ এপ্রিল করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত হন। তিনি নগরীর আন্দরকিল্লায় চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। ৩ মে তিনি চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতাল থেকে সুস্থ হিসেবে ছাড়পত্র পান।
পুলিশ কর্মকর্তা মইনুল জানান, চলতি সপ্তাহে কনস্টেবল অরুণ কাজে যোগ দিয়েছেন। বৃহস্পতিবার সকালে তিনি নগরীর প্রবর্তক মোড়ে দায়িত্ব পালন করছিলেন। এসময় তার শরীর থেকে প্লাজমা সংগ্রহের বিষয়টি জানানো হলে তিনি রাজি হন। ডিউটি শেষে বিকেলে তিনি নিজেই হাসপাতালে গিয়ে প্লাজমা দেন।
কনস্টেবল অরুণের কাছ থেকে সংগ্রহ করা প্লাজমা করোনায় আক্রান্ত হয়ে চমেক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন দু’জন চিকিৎসককে দেওয়া হবে বলে তিনি জানান।
কনস্টেবল অরুণ সিএমপির প্রথম আক্রান্ত সদস্য এবং সবার আগে সুস্থ হয়ে ফেরা। সিএমপির প্রথম প্লাজমাদাতাও এই কনস্টেবল।
করোনাজয়ী পুলিশ কনস্টেবল অরুণের শরীর থেকে প্লাজমা সংগ্রহের উদ্যোগ নেন সিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার আমেনা বেগম এবং করোনা মোকাবিলায় গঠিত স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের কমিটির চট্টগ্রাম বিভাগীয় সমন্বয়ক আ ম ম মিনহাজুর রহমান।
মিনহাজুর সারাবাংলাকে জানিয়েছেন, গত ২৬ মে চমেক হাসপাতালের অর্থোপেডিক বিভাগের এক সহকারী অধ্যাপককে প্রথম দফায় প্লাজমা দেওয়া হয়। অক্সিজেনের মাত্রা কমে যাওয়ায় তার শরীরে দ্রুততার সাথে ২৫০ মিলিলিটার প্লাজমা দেওয়া হয়।
এরপর থেকে তার শরীরের অবস্থা স্থিতিশীল থাকলেও আশঙ্কামুক্ত নন। এজন্য তাকে দ্বিতীয় দফায় শুক্রবার সকালে প্লাজমা দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসক নেতা মিনহাজুর।
চট্টগ্রামে একটি প্লাজমা ব্যাংক গড়ে তোলার উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে বলেও জানিয়েছেন তিনি।