সব খুলে দেশকে চরম বিপদে ঠেলে দিচ্ছে সরকার: ফখরুল
৩০ মে ২০২০ ১৬:১১
ঢাকা: সব কিছু খুলে দিয়ে সরকার দেশকে চরম বিপদের দিকে ঠেলে দিচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। শনিবার (৩০ মে) বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের কবরে শ্রদ্ধা জানানোর পর তিনি এ অভিযোগ করেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আগামীকাল থেকে সাধারণ ছুটি থাকবে না, গণপরিবহন খুলে দেওয়া হবে। এসব বিষয়ে সরকার প্রথম থেকেই ভুল সিদ্ধান্ত নিয়েছে। মনে হয়েছে যে, সমন্বয় নেই কোথাও এবং তাদের সিদ্ধান্তগুলো সম্পূর্ণভাবে অদূরদৃষ্টি সম্পন্ন ও প্রজ্ঞাবিহীন।’
তিনি বলেন, ‘কোনো রকম চিন্তা ছাড়া একেবারে দায়িত্বজ্ঞানহীনভাবে এই সিদ্ধান্তগুলো নেওয়া হচ্ছে। আমরা মনে করি যে, এটা একেবারে ভুল সিদ্ধান্ত এবং এটার মধ্য দিয়ে আরও বিপদের দিকে ঠেলে দেওয়া হচ্ছে দেশকে।’
‘বিএনপির তরফ থেকে জনগণের প্রতি পরামর্শ কী’— এমন প্রশ্নের জবাবে দলটির মহাসচিব বলেন, ‘জনসাধারণের প্রতি আমাদের পরামর্শ হচ্ছে, আপনারা নিজেরা নিরাপদ থাকুন, সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখুন এবং ঘরে থাকুন।’
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘দেশের মানুষ আতঙ্কিত হয়ে উঠেছে। পরীক্ষা বাড়ার পাশাপাশি আক্রান্তের পরিমাণ বাড়ছে, মৃত্যুর পরিমাণও বাড়ছে। বিশেষজ্ঞদের নিয়ে গঠিত টেকনিক্যাল কমিটি পরামর্শ দিয়েছে যে, এই মুহূর্তে একসাথে সব কিছু খোলা উচিত হবে না। তাদের কথা না শুনে সব কিছু খুলে দিয়েছে। ফলে গোটা জাতি হুমকির মুখে পড়ে গেছে।’
বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের কথা স্মরণ করে তিনি বলেন, ‘আজকে করোনা সংকটময় মুহুর্তে এই নেতার কথা বার বার মনে হয়, এই ক্ষণজন্মা নেতা আজকে যদি নেতৃত্ব দিতে পারতেন তাহলে হয়তো বাংলাদেশের মানুষকে এতো কষ্ট পেতে হতো না।’
তিনি বলেন, ‘আজকে দেশে গণতন্ত্র নেই, মানুষের মৌলিক অধিকার হরণ করা হয়েছে, মানবিক অধিকার প্রতি মুহূর্তে লঙ্ঘিত হচ্ছে তখন এই এক দলীয় কাণ্ডজ্ঞান বিবর্জিত এবং জনগণের সঙ্গে সম্পর্ক নেই, জনগণের কোনো কল্যাণে তারা কাজ করতে পারে না। তারা বিভিন্ন ভুল সিদ্ধান্ত নিয়ে একটা জাতিকে বিপদের মধ্যে ঠেলে দিয়েছে।’
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ৩৯তম শাহাদাত বার্ষিকীতে বিএনপির পক্ষ থেকে আমাদের চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের পক্ষ থেকে এবং দলের পক্ষ থেকে আমরা আজকে মাজার এসে শ্রদ্ধাঞ্জলী নিবেদন করেছি, জিয়ারত করেছি, ফাতেহা পাঠ করেছি এবং তার রুহের মাগফেরাতের জন্য দোয়া করেছি।’
তিনি বলেন, ‘আমরা শপথ নিয়েছি এই দুর্দিনে আমরা জনগনের পাশে দাঁড়াবো। আমাদের পক্ষে যতটুকু সম্ভব ইতিমধ্যে আমরা দাঁড়িয়েছি, আরো দাঁড়াবো এবং একই সঙ্গে গণতন্ত্র উদ্ধার করবো। এইটাই হচ্ছে আজকের দিনে আমাদের শপথ।’
এ সময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, নজরুল ইসলাম খান, সেলিমা রহমান ও ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু।