কাজ না থাকলে ঢাকামুখী হওয়ার দরকার নেই: নৌ প্রতিমন্ত্রী
৩১ মে ২০২০ ১৬:৫৪
ঢাকা: সবাই করোনা ঝুঁকিতে উল্লেখ করে নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, ‘কোন ধরণের কার্যক্রম না থাকলে কেউ যেন স্থানান্তর না হয়, কাজ না থাকলে ঢাকামুখী হওয়ার দরকার নেই।’ রোববার (৩১ মে) ঢাকা সদরঘাটে অভ্যন্তরীণ নৌযান/লঞ্চ চলাচল ও যাত্রী সুরক্ষার সার্বিক প্রস্তুতি পরিদর্শন এবং জীবানুনাশক টানেল উদ্বোধন করতে গিয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী বলেন, “আপনাদের-আমাদের সবারই করোনা ঝুঁকি রয়েছে। ঢাকা সদরঘাটে ‘জীবানুনাশক টানেল’ বসানো হয়েছে, শুধু সদরঘাট নয়, অন্যান্য বন্দরেও এ ধরণের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। স্বাস্থ্যবিধি মেনে লঞ্চে যাত্রী চলাচলে সর্বাত্মক চেষ্টা করব। নির্দেশনা মানতে সচেতনতা বাড়াতে হবে। লঞ্চ মালিক ও শ্রমিকদের এ বিষয়ে সচেতন থাকতে হবে। ভয় নয়, সচেতনতার মাধ্যমেই আমাদের করোনা জয় করতে হবে।’
সাধারণ ছুটির ৬০ দিন অতিক্রম করেছি। এ সময়ে বাংলাদেশে আইনশৃংখলার কোথাও কোন অবনতি ঘটেনি। এটা একটা বিরাট সাফল্য উল্লেখ করে খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, “এর মধ্যে ঘূর্ণিঝড় ‘আম্পান’ হয়েছে, মৌসুমী ঘূর্ণিঝড় হয়েছে এবং বিভিন্ন রকম কার্যক্রম থাকার পরও ৯৫ ভাগ মানুষ নির্দেশনা মেনে চলেছে। কিছু কিছু মানুষ মেনে চলেনি, তা ৫-৭ ভাগ হবে। কোথাও বিশৃংখলা হয়নি। স্বাস্থ্য উপদেষ্টা ও জাতীয় পরামর্শক কমিটির সুপারিশে সাময়িক ছুটি বাতিল করে সরকার ১৫ তারিখ পর্যন্ত একটি সময়সীমা বেঁধে দিয়েছে। গণপরিবহন সীমিত আকারে খোলার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে এবং সে সিদ্ধান্তের আলোকে নৌপথে লঞ্চ চলাচল শুরু হয়েছে।’
প্রতিমন্ত্রী বলেন, “লঞ্চ চলাচলে যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি গ্রহণ করেছি। বিআইডব্লিউটিএ মার্চের প্রথম সপ্তাহে স্বাস্থ্যবিধি মেনে লঞ্চে যাত্রী চলাচলে লিফলেট বিতরণ ও প্রচারণা চালিয়েছে। হ্যান্ডস্যানিটাইজার ও টেম্প্রাচার মাপার যন্ত্রের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছিল। মালিক-শ্রমিকদের সাথে আলোচনা হয়েছিল। স্বাস্থ্যবিধি মেনে লঞ্চে যাত্রি চলাচলের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলা। লকডাউনের কারনে সেটি বাস্তবায়ন সম্ভব হয়নি। বিআইডব্লিউটিএ দু’একদিন আগে লঞ্চ মালিক-শ্রমিকদের সাথে আরেকটি সভা করেছে। সভায় স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে যথাযথ গুরুত্ব আরোপ করা হয়েছে।’
আজ দুপুর পর্যন্ত স্বাস্থ্য ও নৌবিধি মেনে ঢাকা সদরঘাট থেকে চাঁদপুর, মুন্সিগঞ্জসহ বিভিন্ন রুটে ১৩টি লঞ্চ ছেড়ে গেছে। দুপুরের পর থেকে রাত পর্যন্ত দক্ষিণাঞ্চলের লঞ্চগুলো ছেড়ে যাবে বলেও জানান প্রতিমন্ত্রী।
এসময় বিআইডব্লিউটিএ’র চেয়ারম্যান কমোডর গোলাম সাদেক, বিআইডব্লিউটিসির চেয়ারম্যান খাজা মিয়া এবং নৌপরিবহন অধিদফতরের মহাপরিচালক কমোডর সৈয়দ আরিফুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।