বরিশাল থেকে লঞ্চ চলাচল শুরু, স্বাস্থ্যবিধি না মানার অভিযোগ
৩১ মে ২০২০ ১৮:৪২
বরিশাল: দীর্ঘ দুই মাসেরও বেশি সময় পরে নদী বন্দরে ফিরল কর্মচাঞ্চল্য। সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী বরিশাল নদী বন্দর থেকে অভ্যন্তরীণ রুটে লঞ্চ চলাচল শুরু হয়েছে। তবে এই বন্দর থেকে নিয়মিত ৩০টি একতলা লঞ্চ চললেও প্রথম দিনে ২০টি লঞ্চ ছেড়ে গেছে।
যাত্রীদের অভিযোগ, অনেক লঞ্চেই স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করা হচ্ছে না। বিষয়গুলো দেখভালের জন্য প্রশাসনিকভাবে কোনো ব্যবস্থাও নেই পন্টুনে। তবে নদীর বন্দর কর্তৃপক্ষ বলছে, তারা স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণের বিষয়টি তদারকি করছে।
রোববার (৩১ মে) সকাল থেকেই শুরু হয় লঞ্চ চলাচল। যাত্রীরা জানান, করোনার প্রভাবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে হাত ধোয়ার উপকরণ, জীবানুনাশক প্রয়োগ ঠিকভাবে করা হচ্ছে না লঞ্চগলোতে। তাদের কেউ নিরাপদ দূরত্ব বজায় রেখে বসার কথাও বলছে না। লঞ্চ কর্তৃপক্ষ বা বন্দর কর্তৃপক্ষ থেকে বিষয়গুলো দেখভাল করা উচিত বলে মত তাদের।
সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, সকালে এমভি উপকূল এক্সপ্রেস-২ লঞ্চটি স্বাস্থ্যবিধি না মেনে যাত্রী তুলে ঘাট ত্যাগ করবে— এমন খবর জানাজানি হলে তাৎক্ষণিকভাবে নদী-বন্দর কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন। তারা যাত্রীদের নির্দিষ্ট দূরত্বে সরিয়ে বসানোর ব্যবস্থা করেন এবং মাস্ক পরতে বাধ্য করেন। এসময় বন্দর কর্তৃপক্ষ লঞ্চ পরিচালাকারীদের কঠোর হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, এ ধরনের কর্মকাণ্ড ফের দেখা গেলে লঞ্চ চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হবে।
বরিশাল নদী বন্দর কর্মকর্তা আজমল হুদা মিঠু সারাবাংলাকে বলেন, করোনা মহামারির প্রাদুর্ভাবের দীর্ঘদিন পর সরকারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী স্বাস্থ্যবিধি মেনে নৌযান চলাচলের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। আমরা প্রতিটি লঞ্চ ছাড়ার আগে যাত্রীরা মাস্ক পড়েছেন কি না এবং লঞ্চে হ্যান্ড স্যানিটাইজারসহ জীবাণুনাশকের ব্যবস্থা রয়েছে কি না, এগুলো পরিদর্শন করছি। যাত্রীরা সামাজিক দূরত্ব মানছে কি না, এগুলোও দেখভাল করছি। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলেই লঞ্চ চলাচলে অনুমতি দেবো। আমাদের নির্দেশনা যারা মানবে না, ওইসব লঞ্চের যাত্রা বন্ধ করে দেওয়া হবে। প্রয়োজনে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের সহযোগিতায় যাত্রী, লঞ্চের মাস্টার-ড্রাইভারসহ যারাই দায়িত্ব পালনে অবহেলা করবে, তাদের জেল-জরিমানার আওতায় আনা হবে।
জানা গেছে, বরিশাল-ঢাকা রুটে সন্ধ্যার পর চলাচলের জন্য তিনটি লঞ্চ প্রস্তুত আছে। একতলা লঞ্চে স্বাস্থ্যবিধি ব্যবস্থা যাথাযথভাবে অনুসরণ না করার অভিযোগ থাকলেও দ্বিতল লঞ্চগুলোর মধ্যে সুন্দরবনে সে ব্যবস্থা রয়েছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। ঢাকাগামী সুন্দরবন লঞ্চের সার্বিক দায়িত্বে থাকা মো. সিরাজ জানান, মালিক সবকিছুর ব্যবস্থা করে দিয়েছেন। লঞ্চে উঠতেই রয়েছে জীবাণুনাশক কক্ষ। বাকি সব স্বাস্থ্যবিধিও মেনে চলছি আমরা।
সুন্দরবন ছাড়া বাকি দু’টি দ্বিতল লঞ্চে অবশ্য জীবাণুনাশক কক্ষ বা এমন কোনো ব্যবস্থা নেই। এ বিষয়ে লঞ্চ দুইটির সংশ্লিষ্ট কারও সঙ্গেও যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।
বরিশাল নদী বন্দর লঞ্চ চলাচল স্বাস্থ্যবিধি স্বাস্থ্যবিধি না মানার অভিযোগ