Saturday 07 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

করোনা প্রতিরোধ-নিয়ন্ত্রণে আকাশপথে যেসব স্বাস্থ্যবিধি মানতে হবে


৩১ মে ২০২০ ২১:৩০

ঢাকা: কোভিড-১৯ এর সংক্রমণ এড়াতে সরকার ঘোষিত সাধারণ ছুটির মেয়াদ শেষ। রোববার (৩১ মে) থেকে সীমিত পরিসরে অফিস ও কলকারখানা খুলে দেওয়া হয়েছে। এসময় থেকে চলছে গণপরিবহনও। তবে কঠোরভাবে স্বাস্থ্যবিধি ও সামাজিক দূরত্ব মেনে চলার নির্দেশনা রয়েছে সরকারের পক্ষ থেকে।

সাধারণ ছুটি শেষ হয়ে গেলে অফিস-আদালত বা গণপরিবহনসহ বাসাবাড়িতেও যেসব স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে, সে বিষয়ে কারিগরি নির্দেশনা দিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদফতর। আকাশপথে যাত্রী পরিবহনের ক্ষেত্রে অধিদফতর যেসব নির্দেশনা দিয়েছে, সেগুলো তুলে ধরা হলো এখানে-

১। মহামারির সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনা করে ফ্লাইটে (আন্তর্জাতিক এবং অভ্যন্তরীণ) উচ্চ দক্ষতার ফিল্টারিং ডিভাইস এবং ফ্লাইটের লোড ফ্যাক্টর থাকা প্রয়োজন। ফ্লাইটের মহামারি প্রতিরোধক অবস্থাকে তিনটি স্তরে ভাগ করা যায়: উচ্চ ঝুঁকি, মাঝারি ঝুঁকি এবং নিম্ন ঝুঁকি। এছাড়া উড্ডয়নের পরিস্থিতি অনুযায়ী বিমানবন্দরের মহামারী প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণের স্তরকে উচ্চ ঝুঁকি এবং অন্যান্য ঝুঁকির স্তরে বিভক্ত করা যেতে পারে যা মহামারি পরিস্থিতির ক্রমবর্ধমান অবস্থার সাথে বাস্তবিক অর্থে সমন্বয় করা যাবে।

২। বিমানের বায়ুপ্রবাহ বাড়ান। বিমান উড্ডয়নের সময় সুরক্ষা সুনিশ্চিত করার লক্ষ্যে সর্বাধিক বায়ুপ্রবাহ নিশ্চিত করুন। বিমানটি উড়ার সময় মাটিতে থাকাকালীন ব্রিজ লোড সিস্টেমটি ব্যবহার না করা যেতে পারে এবং বিমানের সহায়ক শক্তি ব্যবস্থা বায়ুচলাচলের জন্য ব্যবহার করা যায়।

৩। বিমান পরিষ্কার ও জীবাণুমুক্ত করার বিষয়ে জোর; বিমানে ব্যবহার উপযোগী জীবাণুনাশক পণ্য নির্বাচন করে বিমান পরিষ্কার এবং জীবাণুমুক্তকরণ প্রক্রিয়া চালাতে হবে। প্রতিদিনের পরিষ্কার করার এলাকা এবং প্রতিরোধমূলক জীবাণুনাশকরণের হার ফ্লাইটের ঝুঁকি স্তর এবং বিমান পরিচালনার ভিত্তিতে ঠিক করতে হবে। বিমানটি যখন সন্দেহজনক যাত্রী বহন করে তখন এটি সম্পূর্ণরুপে জীবাণুমুক্ত করা উচিত।

৪। ফ্লাইট চলাকালীন সময় পরিষেবাগুলো সহজলভ্য করুন। যাত্রীদের স্বাভাবিকভাবে বা পৃথকভাবে বা একটি আসন পর পর বসার ব্যবস্থা করুন। বিমানে কোয়ারেনটাইনের জন্য স্থান নির্ধারণ করুন এবং সন্দেহজনক যাত্রীদের জন্য জরুরি অবস্থায় যাত্রীর অবতরণ প্রক্রিয়া স্পষ্টভাবে ঠিক করুন।

৫। বিমানবন্দরের টার্মিনাল কাঠামো, বিন্যাস এবং স্থানীয় জলবায়ুর সাথে সমন্বয় করে বায়ুপ্রবাহ বাড়াতে কার্যকর ব্যবস্থা নিতে হবে। সঠিক তাপমাত্রায় দরজা এবং জানালা খুলুন; যথাযথভাবে সমস্ত বিশুদ্ধ বাতাস ব্যবহার করুন এবং বায়ু পরিষ্কার রাখুন।

৬। বিমানবন্দরের জনসাধারণের চলাচলের এলাকাগুলোর পরিষ্কার এবং জীবাণুনাশ করার বিষয়ে জোর দিতে হবে। বিমানবন্দরে যদি কোন নিশ্চিত রোগী বা সন্দেহভাজন যাত্রী পাওয়া যায় তবে পেশাদার কর্মীর সাহায্যে চূড়ান্তভাবে জীবাণুমুক্ত করতে হবে। বিমানবন্দরগুলোর আবর্জনা সরানোর জন্য এবং মাস্ক ব্যবহারের ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট ব্যবস্থা নেওয়া এবং সেগুলো সংগ্রহ এবং সময়মতো পরিষ্কার করতে হবে।

৭। ফ্লাইটের জন্য অপেক্ষা করা যাত্রীদের স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনায় মনোযোগ দিতে হবে। বিমানবন্দরে প্রবেশ বা বন্দর ত্যাগ করা সমস্ত যাত্রীর তাপমাত্রা পরিমাপ করুন। টার্মিনাল বিল্ডিংয়েকোয়ারেন্টাইন অঞ্চল স্থাপন করুন এবং জ্বরাক্রান্ত যাত্রীদের নিয়ন্ত্রণে নিতে স্থানীয় স্বাস্থ্য বিভাগকে সহযোগিতা করুন।

৮। মারাত্মক মহামারি পরিস্থিতিতে আক্রান্ত দেশ/অঞ্চল থেকে আগত বিমানগুলোর জন্য বিমানবন্দরগুলোর একটি বিশেষ পার্কিং এলাকা স্থাপন করা উচিত। যতদূর সম্ভব দূরবর্তী স্ট্যান্ডগুলোতে পার্কিং করা উচিত। মারাত্মক মহামারি পরিস্থিতিযুক্ত দেশ/অঞ্চলগুলো থেকে আনা যাত্রীদের থেকে বিমানবন্দরে ক্রস সংক্রমণ শক্তভাবে প্রতিরোধের জন্য কোয়ারেনটাইন ওয়েটিং এলাকা স্থাপন, চেক-ইন পদ্ধতিগুলো সহজ করা, স্পর্শবিহীন বোর্ডিং পদ্ধতি অবলম্বন, বিশেষ প্যাসেজ স্থাপন করতে হবে।

৯। ফ্রন্টলাইনে কাজ করা বেসামরিক বিমান চলাচলের কর্মীদের স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনাকে শক্তিশালী করুন, প্রতিদিন তাপমাত্রা মাপুন এবং যারা অসুস্থ বোধ করেন তাদের উচিত সময়মতো চিকিৎসা নেওয়া।

১০। জরুরি স্থান, দরকারি লিংক এবং বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের মূল কর্মীদের কোভিড-১৯ প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণের ব্যবস্থার জন্য প্রযুক্তিগত নির্দেশিকার (Technical guidelines for Epidemic Prevention and Control in Airlines Transport) সর্বশেষ সংস্করণটি অনুসরণ করা।

আকাশপথ কোভিড-১৯ বিমানবন্দর সাধারণ ছুটি সীমিত পরিসর


বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ
সম্পর্কিত খবর