সারাদেশে ওএমএস চাল বিক্রি শুরু
৫ মার্চ ২০১৮ ০৯:১৫
স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট
ঢাকা : রাজধানীসহ সারাদেশে রোববার থেকে খোলা বাজারে (ওএমএস) চাল বিক্রি করার কথা থাকলেও শেষ পর্যন্ত তা হয়নি। রোববারের পরিবর্তে আজ থেকে সারাদেশে খোলা বাজারে চাল ও আটা বিক্রি করা হচ্ছে। আর এ ক্ষেত্রে প্রতি কেজি চাল ৩০ টাকা এবং আটা ১৭ টাকা দরে বিক্রি করা হবে। তবে গত বৃহস্পতিবার থেকে অতি দরিদ্র পরিবারের মাঝে ১০ টাকা কেজি দরে চাল বিক্রি শুরু হয়েছে।
এ ব্যাপারে খাদ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক আরিফুর রহমান অপু সারাবাংলাকে বলেন, শুক্র ও শনিবার দুইদিন ছুটি থাকায় ডিলাররা ব্যাংকে টাকা জমা দিতে পারেনি। ফলে তাদের অনুকূলে চাল ও আটা জমা দেওয়া সম্ভব হয়নি।
এ কারণে পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী রোববার থেকে খোলা বাজারে তা বিক্রি করা সম্ভব হয়নি। তবে সোমবার থেকে পুরোদমে চাল ও আটা বিক্রি শুরু হবে।
তিনি বলেন, ডিলাররা রোববার ব্যাংকে টাকা জমা দিয়ে চাল ও আটা নেওয়া শুরু করেছেন।
অতিরিক্ত মহাপরিচালক আরো বলেন, আগের মতোই প্রতি কেজি ৩০ টাকা করে রাজধানীসহ বিভিন্ন এলাকায় ট্রাকে করে এই চাল বিক্রি করা হবে।
এ ছাড়াও খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির আওতায় গত বৃহস্পতিবার থেকে অতিদরিদ্র ৫০ লাখ পরিবারকে ১০ টাকা করে প্রতি মাসে ৩০ কেজি চাল দেওয়া হচ্ছে।
মার্চ, এপ্রিল, সেপ্টেম্বর, অক্টোবর ও নভেম্বর এই পাঁচ মাস অতিদরিদ্র পরিবারের মাঝে এ চাল বিতরণ করা হবে। এ কর্মসূচির জন্য বছরে ৭ লাখ ৫০ হাজার টন চাল দরকার হবে।
সূত্র জানায়, খাদ্য অধিদপ্তর থেকে প্রত্যেক ডিলার ১ টন করে চাল বরাদ্দ পাবেন। একজন ব্যক্তি সর্বোচ্চ ৫ কেজি চাল কিনতে পারবেন। প্রতি কেজি চালের দাম ঠিক করা হয়েছে ৩০ টাকা। ওএমএসে ১৭ টাকা কেজি দরে আটা বিক্রি করা হবে।
এর আগে গত বৃহস্পতিবার খাদ্যমন্ত্রী অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম নতুন করে খোলা বাজারে সিদ্ধ চাল বিক্রির ঘোষণা দেন। খাদ্যমন্ত্রী জানান, ৪ মার্চ থেকে শুরু হয়ে বোরো ধান সংগ্রহ পর্যন্ত খোলা বাজারে চাল বিক্রি চলবে।
বাজারে চালের দামের ঊর্ধ্বগতির মধ্যে গত বছরের ১৭ সেপ্টেম্বর থেকে ওএমএসে আতপ চাল বিক্রি শুরু করে সরকার। তখন প্রতি কেজি চাল ১৫ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৩০ টাকা করা হয়। পরে ২০ সেপ্টেম্বর থেকে চাল বিক্রি কার্যক্রম উপজেলা পর্যায়ে সম্প্রসারণ করা হয়। তবে ওএমএসে সিদ্ধ চালের পরিবর্তে আতপ চাল ও দাম দ্বিগুণ হওয়ায় ক্রেতাদের তেমন সাড়া মেলেনি। এর ওপর সরকারি খাদ্য মজুদের পরিমাণ কমে যাওয়ায় গত ডিসেম্বরে আতপ চাল বিক্রিও বন্ধ হয়ে যায়। বর্তমানে সরকারের গোডাউনে প্রায় ১১ লাখ ১৩ হাজার মেট্রিক টন চাল এবং ৩ লাখ ৬৮ হাজার টন গম মজুদ আছে বলেও খাদ্য মন্ত্রণালয় থেকে জানানো হয়েছে।
সারাবাংলা/জিএস/জেডএফ