ঢাবি শিক্ষার্থীদের জন্য স্বাস্থ্যবীমা, অনলাইনে ক্লাসের চিন্তা
৩ জুন ২০২০ ১৪:৪১
ঢাবি করেসপন্ডেন্ট: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্যবীমার আওতায় আনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। এ ছাড়া সীমিত সামর্থ্য যা আছে, তা নিয়ে আপাতত অনলাইন ক্লাস কার্যক্রমে যাওয়ার চিন্তা করছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
মঙ্গলবার (২জুন) উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামানের সভাপতিত্বে ডিনস কমিটির এক সভায় এইসব সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় বলে জনসংযোগ দফতর থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।
সভায় ন্যূনতম প্রিমিয়ামে শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা সেবা প্রাপ্তির লক্ষ্যে নীতিমালা প্রণয়নের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ মো. এনামউজ্জামানকে সভাপতি করে গঠিত ৬ সদস্য বিশিষ্ট একটি কমিটি গঠন করা হয়। কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. তোফায়েল আহমদ চৌধুরী, ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদের ভারপ্রাপ্ত ডিন অধ্যাপক ড. মুহাম্মাদ আব্দুল মঈন, চিকিৎসা অনুষদের ডিন অধ্যাপক ডা. শাহরিয়ার নবী, স্বাস্থ্য অর্থনীতি ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক ড. সৈয়দ আব্দুল হামিদ ও ব্যাংকিং অ্যান্ড ইন্স্যুরেন্স বিভাগের অধ্যাপক ড. হাসিনা শেখ।
সভায় অনলাইনে শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনার উদ্যোগ গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্টদেরকে অনুরোধ জানানো হয়। এ ক্ষেত্রে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের দাবি, অনলাইন ক্লাসের ক্ষেত্রে সীমিত সামর্থ্য যা আছে, তা দিয়ে সম্ভাব্য ক্ষেত্রে অনলাইন শিক্ষা কার্যক্রম শুরু করলেই প্রতিষ্ঠান ও শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের ঘাটতি-চাহিদা চিহ্নিত ও নিরূপণ করা দ্রুত ও সহজ হবে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, `বাস্তবতার নিরিখে অনলাইনে শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনার উদ্যোগ গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্টদেরকে অনুরোধ জানানো হয়েছে। এ লক্ষ্যে প্রাতিষ্ঠানিক অবকাঠামো ও সুযোগ সুবিধা তৈরির লক্ষ্যে প্রতিষ্ঠান ও শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের চাহিদা ও ঘাটতিসমূহ সুনির্দিষ্টভাবে নিরূপণ করে সংশ্লিষ্ট ডিন/পরিচালকের মাধ্যমে রেজিস্ট্রারের কাছে প্রেরণের জন্য অনুরোধ জানানো হয়।’
স্বাস্থ্যবিধি ও সামাজিক দূরত্ব অনুসরণ করে বিশ্ববিদ্যালয়ের নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনে অনুষ্ঠিত ওই সভায় শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্যবীমা, টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জন এবং শিক্ষা কারিকুলাম উন্নয়নসহ বিভিন্ন বিষয়ে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করা হয় বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়। সভায় টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রার গোল ও টার্গেটসমূহ বিশ্ববিদ্যালয়ের কোন বিভাগ/ইনস্টিটিউট কীভাবে অর্জন করবে তার একটি ডাটাবেজ তৈরির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ডাটাবেজ প্রণয়নে অনুষদের ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট ডিন এবং ইনস্টিটিউটের ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট পরিচালক সমন্বয় করবেন। আগামী ৩০ জুন এর মধ্যে রেজিস্ট্রারের দফতরে এ ডাটাবেজ জমা দেওয়ার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে।