কেরালায় অমানবিকতা: পটকাভর্তি আনারস খাইয়ে অন্তঃসত্তা হাতি হত্যা
৩ জুন ২০২০ ১৬:৫৩
ভারতের কেরালা রাজ্যের পালাক্কাদ জেলার মল্লপ্পুরম জঙ্গল থেকে লোকালয়ে আসা এক ক্ষুধার্ত হাতিকে মজা করার ছলে পটকাভর্তি আনারস খেতে দেয় সংলগ্ন গ্রামের কয়েকজন অধিবাসী। মুখের ভেতর বিস্ফোরিত পটকা নিয়ে যন্ত্রণায় ছটফট করতে স্থানীয় ভেলিয়ার নদীর মধ্যে মারা যায় হাতিটি। খবর এনডিটিভি।
স্থানীয় বন বিভাগের কর্মকর্তা মহান কৃষনান সামাজিক যোগাযোগের জনপ্রিয় মাধ্যম ফেসবুকে একটি পোস্ট দিয়ে জানিয়েছে তিনি মৃত্যুর কয়েক ঘণ্টা আগে থেকে ওই হাতিটিকে লক্ষ করে আসছিলেন। মৃত্যুর পর হাতিটির ময়নাতদন্ত করে বন বিভাগ জানতে পারে হাতিটি অন্তঃসত্তা ছিল।
বন বিভাগের ওই কর্মকর্তা জানান, আর ১৮-২০ মাসের মধ্যেই সন্তান প্রসব করতো হাতিটি।
Humans are so good??
No baby, we are monsters in disguise.
She trusted us and we betrayed her. #Elephant
let all the living beings live in peace.. mother earth is their home too… pic.twitter.com/XXfO8Cvf02— amrutha vk (@amrutha_vk) June 3, 2020
There's a natural law of karma that vindictive people, who go out of their way to hurt others, will end up broke and alone.”#Elephant pic.twitter.com/1J2epz2YDG
— Aman banka (@AmanBanka00) June 2, 2020
এক আবেগঘন ফেসবুক পোস্টে ওই কর্মকর্তা বলেন, এমন যন্ত্রণাকাতর পরিস্থিতিতেও সে কোনো মানুষকে আক্রমণ করেনি বা কোনো অবকাঠামো ভাঙচুর করেনি। মহান বলেন, খবর পেয়ে তিনি যখন ভেলিয়ার নদীতে গিয়ে পৌঁছান, তখন দেখেন হাতিটি নদী থেকে শুঁড় ডুবিয়ে পানি খাচ্ছে। পরে, যন্ত্রণাকাতর হাতিটিকে দেখে তার মনে হয় – হাতিটির অন্তিমকাল আসন্ন। তাই, বন বিভাগের কর্মীদের দিয়ে কাছাকাছি থাকা অন্য হাতিগুলোকে তার কাছে আনার ব্যবস্থা করেন।
তিনি আরও বলেন, স্থানীয়রা ফসলের ক্ষেত থেকে বন্যপ্রাণী তাড়ানোর কাজে ওই পটকা বা আতশবাজিগুলো ব্যবহার করে থাকে।
এদিকে, অন্য হাতিদের সঙ্গে পুনঃমিলনের পর ওই মা হাতিটির মৃত্যু হয়। তারপর ওই হাতির স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে একটি ট্রাকে করে মরদেহ ওই হাতির নির্দিষ্ট চলাচল ক্ষেত্রে কিছুক্ষণ রাখা হয়। পরে, বন বিভাগ ওই হাতিটির শেষকৃত্যু এবং মরদেহ সৎকারেরও ব্যবস্থা করে।
অন্যদিকে, মহান কৃষনান ২৭ মে’র এই ঘটনাটি ফেসবুকে পোস্ট আকারে দেওয়ার পর থেকেই, ভারতীয় সামাজিক যোগযোগের নেটওয়ার্কে বিষয়টি নিয়ে নিন্দার ঝড় ওঠে। ফেসবুক ও টুইটারে নেটিজেনরা মানুষের এমন অমানবিকতা নিয়ে উষ্মা প্রকাশ করেন।
সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম টুইটারে অনেকেই বলেছেন – ‘মানুষকে বিশ্বাস করেছিল হাতিটি। এইটাই ছিল তার ভুল’/ ‘এর ফলাফলে মানুষকে ভুগতে হবে। প্রকৃতি কাউকে ক্ষমা করবে না।’