ঢাকা: ভবিষ্যৎ প্রজন্মের পুষ্টি চাহিদা পূরণে সমুদ্র সম্পদের যথাযথ ব্যবহার নিশ্চিত করতে ব্লু ইকোনমি বিষয়ক কার্যকর নীতিমালা প্রয়োজন বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বিশ্ব সম্প্রদায়কে এ সংক্রান্ত নতুন নীতি প্রণয়নের উদ্যোগ নিতে আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। একইসঙ্গে সমুদ্র সম্পদের টেকসই ব্যবহার ও বাজারজাত নিশ্চিত করতে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে তিন দফা প্রস্তাবও তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী।
বুধবার (৩ জুন) রাতে ভিডিও কনফারেন্সে সুইজারল্যান্ডের জেনেভোয় চলমান ওয়ার্ল্ড ইকনোমিক ফোরাম আয়োজিত ‘ভার্চুয়াল ওশান’ ডায়লগে যোগ দেন প্রধানমন্ত্রী। শেখ হাসিনা। ‘ওশান অ্যাকশন ভবিষ্যতের প্রজন্মকে সবল করে গড়ে তোলার জন্য গুরুত্বপূর্ণ; আসুন আমরা হাতে হাত রেখে সমুদ্র অ্যাকশনের জন্য আমাদের প্রতিশ্রতির নবায়ন করি’— সংলাপের আজকের অধিবেশনটির শিরোনাম ছিল ‘শতকোটির পুষ্টি’।
অধিবেশনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, মহাসাগরের এবং অন্যান্য জলজ সম্পদের টেকসই ব্যবহার নিশ্চিতের জন্য, বিশেষ করে আমাদের সম্পদ ও পণ্যের বাজারে প্রবেশ এবং প্রযুক্তি সুরক্ষায় আন্তর্জাতিক সহযোগিতা বাড়াতে হবে।
প্রধানমন্ত্রী তার প্রথম প্রস্তাবে সামুদ্রিক সম্পদের পরিপূর্ণ সম্ভাবনাকে কাজে লাগানোর জন্য গুরুত্বপূর্ণ প্রয়োজনীয় সম্পদ, সক্ষমতা ও প্রযুক্তিসহ উন্নয়নশীল দেশগুলোকে সহায়তা করার আহ্বান জানান।
দ্বিতীয় প্রস্তাবে তিনি আঞ্চলিক মাছের উৎপাদন উল্লেখযোগ্যভাবে বাড়ানো এবং অবৈধ, অননুমোদিত ও অনিয়ন্ত্রিত মাছ নির্মূল বন্ধের দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে মৎস্য উন্নয়ন বিষয়ে যৌথ গবেষণা পরিচালনার ওপর জোর দেন।
তৃতীয় প্রস্তাবে শেখ হাসিনা উপকূলীয় বাসস্থান ও জীববৈচিত্র্য রক্ষায় মাছের উৎস চিহ্নিতকরণ এবং এর ব্যবস্থাপনার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
‘ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরাম’ এবং ফ্রেন্ডস অব ওশান অ্যাকশন’র ব্যবস্থানায় জেনেভোয় পাঁচ দিনব্যাপী এই সংলাপ গত ১ জুন শুরু হয়েছে। সংলাপের এবারের প্রতিপাদ্য বিষয় ‘মহাসাগরীয় স্থিতিস্থাপকতা, উদ্ভাবন ও কর্মের জন্য জনগোষ্ঠীগুলোকে সংযুক্ত করা।’
গত ১ জুন ফিজির প্রধানমন্ত্রী জসায়া ভোরিগ বাইনিমারামা’র ভিডিও বার্তা প্রচারের মাধ্যমে সম্মেলন শুরু হয়। মহাসাগর সংলাপে জর্ডানের রানি রানিয়া আল-আব্দুল্লাহসহ সুইডেনের উপপ্রধানমন্ত্রী এবং পরিবেশ ও জলবায়ু বিষয়ক মন্ত্রী ইসাবেলা লোভিন, বিভিন্ন দেশের উল্লেখযোগ্য সংখ্যক সাবেক ও বর্তমান মন্ত্রী, জাতিসংঘ মহাসচিবের মহাসগর বিষয়ক বিশেষ দূত এবং ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরাম, ওশান ইউনাইট, ফ্রেন্ডস অব ওশান অ্যাকশনের কর্মকর্তারা অংশ নিচ্ছেন।