Saturday 28 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

করোনাকালেও থামেনি সড়কের ‘মহামারি’, ২ মাসে ৪৩০ প্রাণহানি


৪ জুন ২০২০ ১৯:২৮

ঢাকা: সাধারণ ছুটির সময়ে গণপরিবহন চলাচল বন্ধ থাকলেও সড়কে থামেনি দুর্ঘটনার ‘মহামারি’। পরিবহন চলাচল বন্ধের সময়েও সড়কে ঝরেছে অসংখ্য প্রাণ। ছুটি যত দীর্ঘ হয়েছে, সড়কে দুর্ঘটনার সংখ্যাও বেড়েছে তত। যে কারণে দেখা যায় এপ্রিল মাসের তুলনায় মে মাসে সড়কে দুর্ঘটনার সংখ্যা ও প্রাণহানি উভয়ই বেড়েছে।

এপ্রিলে ১১৯টি সড়ক দুর্ঘটনায় ১৩৮ জনের মৃত্যু হলেও মে মাসে তা বেড়েছে প্রায় দ্বিগুণ। সবমিলিয়ে সাধারণ ছুটির দুই মাসে সড়কে মোট ৪৩০ জনের প্রাণহানি হয়েছে। এসব দুর্ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও ৩৭৩ জন।

বিজ্ঞাপন

বৃহস্পতিবার (৪ জুন) রোড সেফটি ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক সাইদুর রহমান স্বাক্ষরিত এক প্রতিবেদন থেকে এসব জানা গেছে। দেশের ৭টি দৈনিক, ৫টি অনলাইন নিউজ পোর্টাল এবং ইলেক্টনিক গণমাধ্যমের তথ্যেরভিত্তিতে প্রতিবেদনটি তৈরি করেছে সংস্থাটি।

প্রতিবেদনে মে মাসের সড়ক দুর্ঘটনার বিষয়ে বলা হয়, গত মে মাসে দেশে সড়ক দুর্ঘটনা ঘটেছে ২১৩টি। এতে ২৯২ জন নিহত এবং আহত হয়েছেন ২৬১ জন। নিহতের মধ্যে ৩৯ জন নারী ও ২৪ শিশু রয়েছে। এককভাবে ৯৭টি মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় বেশি প্রাণহানি ঘটেছে। এতে নিহত হয়েছেন ৮৯ জন, যা মোট নিহতের ৩৩.৪৭ শতাংশ।

এসময়ে ৯টি নৌ-দুর্ঘটনায় ২৮ জন নিহত, ১৭ জন নিখোঁজ হয়েছেন বলেও প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়।

মে মাসের দুর্ঘটনার বিভাগওয়ারী পরিসংখ্যান বলছে, ঢাকা বিভাগে ১৯.২৪, রাজশাহী বিভাগে ২১.৫৯, চট্টগ্রাম বিভাগে ১১.৭৩, খুলনা বিভাগে ১২.৬৭, বরিশাল বিভাগে ৭.৯৮, সিলেট বিভাগে ৯.৩৮, রংপুর বিভাগে ৭.০৪ এবং ময়মনসিংহ বিভাগে ১০.৩২ শতাংশ দুর্ঘটনা ঘটেছে।

এদিকে, রোড সেফটি ফাউন্ডেশনের এপ্রিল মাসের প্রতিবেদনে দেশে ১১৯টি সড়ক দুর্ঘটনার কথা বলে হয়। এতে ১৩৮ জন নিহত এবং ১১২ জন আহত হয়েছেন। এ মাসেও এককভাবে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় সবচেয়ে বেশি প্রাণহানি ঘটেছে। এছাড়া দুর্ঘটনায় ৪১ জন পথচারী নিহত হয়েছেন, যা মোট নিহতের ২৯.৭১ শতাংশ।

বিজ্ঞাপন

একই সময়ে ৮টি নৌ দুর্ঘটনায় ৮ জন নিহত ও ২ জন আহত এবং ২ জন নিখোঁজ রয়েছেন।

প্রতিবেদনে সড়ক দুর্ঘটনার কারণ হিসেবে ত্রুটিপূর্ণ যানবাহন, বেপরোয়া গতি, চালকদের অদক্ষতা ও শারীরিক-মানসিক অসুস্থতা, বেতন-কর্মঘণ্টা নির্দিষ্ট না থাকা, মহাসড়কে স্বল্পগতির যানবাহন চলাচল, তরুণ-যুবদের বেপরোয়া মোটরসাইকেল চালানো, জনসাধারণের মধ্যে ট্রাফিক আইন না জানা ও না মানার প্রবণতা, দুর্বল ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা, বিআরটিএ’র সক্ষমতার ঘাটতি ও গণপরিবহন খাতে চাঁদাবাজির কথা বলা হয়েছে।

সড়ক দুর্ঘটনারোধে সংগঠনের পক্ষ থেকে বেশ কিছু সুপারিশও করা হয়েছে। সেগুলো হচ্ছে- দক্ষ চালক তৈরির উদ্যোগ নেওয়া, চালকদের বেতন-কর্মঘণ্টা নির্দিষ্ট করা, বিআরটিএ’র সক্ষমতা বাড়ানো, পরিবহন মালিক-শ্রমিক, যাত্রী ও পথচারীদের প্রতি ট্রাফিক আইনের বাধাহীন প্রয়োগ নিশ্চিত, পর্যায়ক্রমে সব মহাসড়কে রোড ডিভাইডার নির্মাণ, গণপরিবহনে চাঁদাবাজি বন্ধসহ ইত্যাদি।

গণপরিবহন দুর্ঘটনার মহামারি পরিবহন চলাচল বন্ধ রোড সেফটি ফাউন্ডেশন সড়ক দুর্ঘটনা সাধারণ ছুটি

বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ

ইনজুরিতে মৌসুম শেষ রদ্রির
২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১০:২৮

সম্পর্কিত খবর