Friday 22 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

র‌্যাব কর্মকর্তার বিরুদ্ধে নির্যাতনের মামলা স্ত্রীর


৪ জুন ২০২০ ২২:৪৫

ঢাকা: র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব) সদর দফতরের সহকারী পুলিশ সুপার নাজমুস সাকিবের বিরুদ্ধে থানায় মামলা করেছেন তার স্ত্রী ইসরাত রহমান। যদিও র‌্যাব সূত্রে জানা গেছে, নাজমুস সাকিব নিজেই স্ত্রীর কাছে নির্যাতনের শিকার হয়েছিলেন— এমন অভিযোগে এর আগে একাধিক জিডি করেছেন তিনি।

বৃহস্পতিবার (৪ জুন) সন্ধ্যায় ডিএমপির রমনা থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে মামলাটি করেন তিনি। মামলায় শ্বশুর-শাশুড়িকেও আসামি করেছেন তিনি।

বিজ্ঞাপন

বৃহস্পতিবার রাত ৯টার দিকে রমনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনিরুল ইসলাম সারাবাংলাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, যৌতুকের টাকার জন্য ক্রমাগত নির্যাতন চালাতেন স্বামী নাজমুস সাকিব। টাকা না পেয়ে একবার জোর করে গর্ভপাত করিয়েছেন। এরপরও নির্যাতনের মাত্রা কমেনি, বরং সময়ের সঙ্গে সঙ্গে তা বেড়েছে। দ্বিতীয়বার গর্ভে কন্যা সন্তান আসার পর বেড়ে যায় নির্যাতনের মাত্রা। না পেরে অবশেষে পুলিশের দ্বারস্থ হয়েছেন ইসরাত।

এজাহার থেকে আরও জানা যায়, ২০১৭ সালের মার্চে সাকিবের সঙ্গে ইসরাতের বিয়ে হয়। মুক্তিযোদ্ধার সন্তান ইসরাতের অভিযোগ, বিয়ের পর থেকেই বাবার বাড়ি থেকে বিভিন্ন সময় নানা অঙ্কের টাকা এনে দেওয়ার জন্য শারীরিক নির্যাতন করতে শুরু করেন স্বামীসহ শ্বশুরবাড়ির লোকজন। বাড়ি দোতলা করার জন্য ১২ লাখ টাকা দাবি করে না পেয়ে ইসরাতের ওপর বেড়ে যায় নির্যাতন। ২০১৯ সালের জুলাইতে টাকা না পাওয়ায় তালাকের ভয় দেখিয়ে জোর করে গর্ভপাত করানো হয়।

ইসরাত অভিযোগ করেন, এরপর নানাভাবে চলতে থাকে নির্যাতন। আবারও অন্তঃসত্ত্বা হন ইসরাত। অনাগত সন্তান মেয়ে হবে— এই কারণে শশুরবাড়ি থেকে আবারও ৫ লাখ টাকা দাবি করেন নাজমুস সাকিব। গত মে মাসের শুরু থেকে নির্যাতনের কারণে দফায় দফায় হাসপাতালে ভর্তি হতে হয় ইসরাতকে। আসতে থাকে নানা হুমকি। অবশেষে আইনজীবীর মাধ্যমে তিনি রমনা থানায় মামলা করেছেন।

বিজ্ঞাপন

অভিযোগের বিষয়ে বক্তব্য জানতে র‍্যাব সদর দফতরে কর্মরত এএসপি নাজমুস সাকিবের মোবাইলে একাধিকবার কল দিলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।

তবে র‌্যাব সদর দফতরের গণমাধ্যম শাখার পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল সারওয়ার বিন কাশেম সারাবংলাকে বলেন, নাজমুস সাকিবের সঙ্গে তার স্ত্রীর অনেক দিন ধরেই ঝামেলা চলছিল। সাকিব এর আগে স্ত্রীর বিরুদ্ধে মারধরের অভিযোগে চারটি জিডিও করেছিল। স্ত্রী মারধর করায় কপাল কেটে গিয়েছিল— এরকম ছবি ও ভিডিও দিয়েছিল। র‌্যাব সদর দফতরে অনেক আগেই বিষয়টি জানিয়েছিল। তখন আমরা নিজেদের মধ্যে বিষয়টি সমাধান করতে বলেছিলাম।

সারওয়ার বিন কাশেম আরও বলেন, এখন যেহেতু মামলা হয়েছে, বিষয়টি আমরাও খতিয়ে দেখব। বিষয়টি তাদের ব্যক্তিগত ও পারিবারিক। আর মামলার বিষয়টি আইনের গতিতেই চলবে।

নারী নির্যাতন র‌্যাব কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মামলা স্ত্রীকে নির্যাতন

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর