Monday 21 Oct 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

‘পোশাক কারখানায় শ্রমিক ছাঁটাই হলে জাতীয় দুর্যোগ আরও বাড়বে’


৫ জুন ২০২০ ১৭:৪৯

ঢাকা: বর্তমান পরিস্থিতিতে পোশাক কারখানায় শ্রমিক ছাঁটাই হলে জাতীয় দুর্যোগ আরও বাড়বে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ কনফেডারেশন অব লেবার (বিসিএল) নামের একটি সংগঠন। শ্রমিক ছাঁটাই নিয়ে বিজিএমইএ সভাপতি রুবানা হকের দেওয়া বক্তব্যও প্রত্যাহারের আহবান জানিয়েছে সংগঠনটি।

শুক্রবার (৫ জুন) সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে সংগঠনটি আয়োজিত আসন্ন ২০২০-২১ জাতীয় বাজেটে গার্মেন্টস শ্রমিকদের জন্য সামাজিক নিরাপত্তা, রেশনিং, আবাসন, স্বাস্থ্যসেবা, শিল্প অঞ্চল ভিত্তিক হাসপাতাল, কর্মসংস্থান সৃষ্টিকে অগ্রধিকারের দাবিতে অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে বক্তারা এ সব কথা বলেন। মানববন্ধনে সভাপতিত্ব করেন বিসিএল’র সভাপতি সুলতানা বেগম।

বিজ্ঞাপন

মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, করোনাভাইরাসের আক্রমণে শ্রমিকরা যখন অর্ধাহারে, অনাহারে জীবনযাপন করছে, যখন ঠিকমতো মজুরি পাচ্ছে না তখন গার্মেন্টস মালিকরা নানান অজুহাতে হাজার হাজার শ্রমিককে বেআইনিভাবে ছাঁটাই করছেন, তারপরও গতকাল বিভিন্ন গণমাধ্যমের আমরা জানতে পারলাম যে, বিজিএমইএ’র সভাপতি তার বক্তব্যের মাধমে গার্মেন্টস শ্রমিক ছাঁটাইয়ের কথা বলে দায়িত্বহীনতার পরিচয় দিয়েছেন। বর্তমান পরিস্থিতিতে শ্রমিক ছাঁটাই হলে জাতীয় দুর্যোগ আরও বাড়বে।

বক্তারা আরও বলেন, মালিকরা এখন বেতন কাটছে। অল্প শ্রমিক দিয়ে অধিক উৎপাদন ও মুনাফা লাভের জন্য শ্রমিকদের ওপর কাজের টার্গেট বাড়িয়ে নির্যাতন চালাচ্ছে। সারাবিশ্ব যখন করোনা ভাইরাসের আক্রমণে পর্যদস্ত। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা- ডব্লিউএইচও যখন আশঙ্কার কথা বলছে তখন বাংলাদেশে ২০২০-২১ অর্থ বৎসরের বাজেট প্রণয়নের প্রস্তুতি চলছে। আসন্ন বাজেটের সম্ভাব্য আকার ধরা হয়েছে ৫ লাখ ৫০ হাজার কোটি টাকা। যা চলতি অর্থ বছরের চেয়ে ৫ শতাংশ বেশি।

বিজ্ঞাপন

বক্তারা বলেন, চলমান কোভিড-১৯ মহামারির প্রেক্ষাপটে ২০২০-২১ অর্থ বছরে বিভিন্ন অর্থনৈতিক ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে বাংলাদেশের অর্থনীতি। এ অবস্থায় সামাজিক নিরাপত্তা, রেশনিং, আবাসন, স্বাস্থ্যসেবা, শিল্প অঞ্চল ভিত্তিক হাসপাতাল,কর্মসংস্থান সৃষ্টিকে অগ্রাধিকার দিয়ে ২০২০-২১ অর্থ বছরের জাতীয় বাজেট প্রণয়ন করা উচিত। দেশের গার্মেন্টস শ্রমিক ও শ্রমিক পরিবার চাকরির বেতনের ওপর নির্ভরশীল, চলমান মহামারির ফলে তারা এক বড় ধরনের অর্থনৈতিক শঙ্কার মধ্যে পড়েছেন। চাকরি হারিয়ে অনেকে কর্মহীন অবস্থায় রয়েছেন। এ পরিস্থিতিতে দেশের কর্মহীন শ্রমিকদের জন্য সরকারের একটি আর্থিক সহযোগিতা কাঠামো বাস্তবায়ন করা প্রয়োজন।

বক্তারা বলেন, বিজিএমইএর সভাপতিকে তার শ্রমিক বিরোধী বক্তব্য প্রত্যাখান করতে হবে এবং তাঁর বক্তব্য অনতিবিলম্বে প্রত্যাহারের দাবি জানান।

মানববন্ধনে বিসিএল’র সাধারণ সম্পাদক নাজিমউদ্দিন, কোষাধ্যক্ষ মাহাতাব উদ্দিন সহিদ,সদস্য শামীমা আক্তার শিরিন, আরাফাত জাকারিয়া সঞ্চয়, শামীম খান,মো. ইলিয়াছ, এইচএম বিল্লাল, সুমি আক্তারসহ আরও অনেকেই বক্তব্য রাখেন।

করোনা করোনাভাইরাস গার্মেন্ট শ্রমিক পোশাক কারখানা

বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ

১০৬ রানেই গুটিয়ে গেল বাংলাদেশ
২১ অক্টোবর ২০২৪ ১৩:২৮

সম্পর্কিত খবর