Tuesday 08 Jul 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

গলায় জুতার মালা পরিয়ে নির্যাতন, ইউপি চেয়ারম্যানসহ গ্রেফতার ৩


৫ জুন ২০২০ ১৮:৩৯
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

বরিশাল: জেলার মেহেন্দিগঞ্জে একটি মাদরাসার অফিস সহকারীকে মারধর করার পর গলায় জুতার মালা পরিয়ে নির্যাতন করা হয়েছে। এ ঘটনায় গতকাল বৃহস্পতিবার (৪ জুন) মামলা দায়েরের পর অভিযুক্ত দড়িরচর ইউনিয়নের চেয়ারম্যানসহ ৩ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

নির্যাতনের শিকার মাওলানা শহিদুল ইসলাম আলাউদ্দিন মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলার দরিচর-খাজুরিয়া দাখিল মাদরাসার অফিস সহকারী। উপবৃত্তির টাকা আত্মসাতের অভিযোগ গত বুধবার বিকেলে দরিচর-খাজুরিয়া ইউনিয়ন পরিষদে নিয়ে গিয়ে জুতার মালা পড়িয়ে তাকে অমানবিকভাবে নির্যাতন করা হয়।

এ ঘটনায় অভিযুক্ত উপজেলার দরিচর-খাজুরিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. মোস্তফা রাঢ়ী, স্থানীয় ৮ নম্বর ওয়ার্ডের মেম্বার শহীদ দেওয়ান, সাবেক মেম্বার ইউনুস বয়াতি ওরফে কামরুজ্জামান, ৭ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক মেম্বার আব্দুস ছত্তার সিকদারসহ ১০ জনসহ আরও ৫/৬ জনকে অজ্ঞাত আসামি করে মেহেন্দিগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।

বিজ্ঞাপন

মেহেন্দিগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবিদুর রহমান জানান, ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকা দরিচর-খাজুরিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. মোস্তফা রাঢ়ী এবং স্থানীয় বজলু আকনসহ ৩ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাকিদের গ্রেফতারে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

এদিকে, মাদরাসার অফিস সহকারীকে জুতার মালা পড়ানোর একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়লে সর্বত্র তোলপাড় শুরু হয়। ওই ভিডিওতে চেয়ারম্যান মোস্তফা রাঢ়ী, সাবেক মেম্বার আব্দুস ছত্তার সিকদার এবং চৌকিদারসহ কয়েকজন রয়েছে।

ঘটনার কারণ উল্লেখ করে স্বামী আলাউদ্দিনের বরাত দিয়ে স্ত্রী নাহিদা সুলতানা জানান, গত ২০১৯ সালে উপবৃত্তির তালিকা পাঠানোর সময় এক ছাত্রী মাদরাসায় উপস্থিত না থাকায় নিজের একটি মোবাইল নম্বর দিয়ে তিনি ছাত্রীর নাম অন্তর্ভূক্ত করেন। এরপর দীর্ঘদিন ওই নম্বরটি তিনি ব্যবহার করতেন না। নিয়ম অনুযায়ী একবছরের উপবৃত্তির ১ হাজার ৮০০ টাকা ওই মোবাইল নম্বরে জমা হয়। ওই টাকা ছাত্রীকে বুঝিয়ে দেওয়ার আগেই গত ৩০ মে তাকে মারধর করে সিম কার্ডটি নিয়ে যায় ছাত্রীর খালু সাবেক ইউপি মেম্বার ছত্তার সিকদার। এরপর বিষয়টি নিয়ে শিক্ষা অফিসারের কাছে বিচার দিলে এমন ঘটনা ঘটায় তারা।

তিনি আরও বলেন, ‘টাকা আত্মসাতের ইচ্ছে থাকলে আমার স্বামী গোপনে টাকা উঠিয়ে ফেলতে পারতেন, তবে তিনি তা করেননি। ওই ছাত্রীর স্বজনদের অবগত করার আগেই অভিযুক্তরা এমন অমানবিক কাজ করেছেন।’

অফিস সহকারী জুতার মালা মাদরাসা মারধর

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর