সবজির দাম বেড়ে দুইগুণ-তিনগুণ
৬ জুন ২০২০ ১৫:০১
ঢাকা: ঈদের আগে বাজারে কাঁচা শাক-সবজির দাম হাতের নাগালে থাকলেও কয়েকদিনের ব্যবধানে রাজধানী ঢাকায় কোনো কোনো সবজির দাম দুইগুণ-তিনগুণ বেড়েছে। বিক্রেতারা বলছেন, কয়েকদিনের বৃষ্টিপাতে কৃষকের নিচু সবজিক্ষেতগুলো ডুবে গেছে। ফলে বাজারে সবজির সরবরাহ কম। এ ছাড়া ঢাকার পার্শ্ববর্তী জেলাগুলো থেকে সবজি কম আসছে বলেও বিক্রেতারা জানান। এভাবে চলতে থাকলে সামনে দাম আরও বাড়তে পারে।
শনিবার (৬ জুন) রাজধানীর কাঁচাবাজার ও নতুনবাজার ঘুরে এই চিত্র দেখা গেছে। বাজার ঘুরে দেখা গেছে, আলু, পটল, বরবটি, ঢেঁড়স, ধুন্দল, ঝিঙে, করলা, পেঁপেসহ বেশিরভাগ সবজির দাম বেড়েছে। তবে অপরিবর্তিত রয়েছে মাছ, ডিম, মুরগি, গরু ও খাসির মাংসের দাম।
গত সপ্তাহে ৪০ টাকা কেজি বিক্রি হওয়া গাজরের দাম বেড়ে হয়েছে ৮০ টাকা, ২০ টাকা কেজি পাকা টমেটোর দাম বেড়ে হয়েছে ৪০ টাকা, ২৫ টাকা কেজি বিক্রি হওয়া চিচিঙ্গার দাম বেড়ে হয়েছে ৪০ থেকে ৫০ টাকা। এক্ষেত্রে এ সব সবজির দাম বেড়ে দ্বিগুণ হয়েছে।
এ ছাড়া ২০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হওয়া বড় সাইজের পেঁপে বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকায়। এ ক্ষেত্রে দাম বেড়ে হয়েছে তিনগুণ। এ ছাড়া মাঝারি সাইজের পেঁপে বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৫০ টাকায়। এই সবজির দাম বেড়েছে আড়াইগুণ পর্যন্ত।
এ ছাড়া ২০ টাকা কেজি বিক্রি হওয়া গোল আলুর দাম বেড়ে হয়েছে ৩০ টাকা। ৩০ টাকা কেজি পটল বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকা, ৪০ টাকা কেজি বিক্রি হওয়া করলার দাম বেড়ে হয়েছে ৫০ টাকা, ৫০ টাকা কেজি বিক্রি হওয়া বরবটি বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকা। ১০ টাকার বেশি কেজিতে বেড়ে ঝিঙে বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকা, কচুরলতি ৪০ টাকা, কচুরমুখি ৬০ টাকা, কাকরোল ৭০ টাকা, ঢেঁড়স ৪০ টাকা।
তবে কমেছে পেঁয়াজ,রসুন ও আদার দাম। ৫০ টাকায় বিক্রি হওয়া দেশি পেঁয়াজের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৪৫ টাকা, ১৫০ টাকার বেশি বিক্রি হওয়া দেশি রসুনের কেজি ১৩০ টাকা। ১৮০ টাকা কেজি বিক্রি হওয়া আদা শনিবার বিক্রি হচ্ছে ১৩০ টাকা।
সবজির দাম বাড়ার বিষয়ে নতুনবাজার কাঁচাবাজরের সবজি বিক্রেতা আল মামুন সারাবাংলাকে বলেন, রাজধানীতে সবজি আসে ঢাকার পার্শ্ববর্তী কিছু জেলা থেকে। কিন্তু ঈদের পর বিভিন্ন জেলা থেকে সবজি আসা কমে গিয়েছে। যে কারণে মূলত দামটা বেশি। এভাবে যদি বিভিন্ন জেলা থেকে সবজি আসা কমে যায় তাহলে দাম আগামী সপ্তাহে আরও বাড়বে।
সবজির দাম কেমন জানতে চাইলে একই বাজারে বাজার করতে আসা ক্রেতা হুমায়ন সারাবাংলাকে বলেন, ‘দাম গত সপ্তাহের চেয়ে বেশি। সব সবজির দাম বেশি। এভাবে দেখা যাচ্ছে প্রতি সপ্তাহে কোনো না কোন কিছুর দাম বাড়ছে। তবে আমাদের বেতন কিন্তু বাড়ছে না। তাহলে আমরা কীভাবে খেয়ে পরে বাঁচব সেটাই ভাবছি।’
অপরদিকে অপরিবর্তিত রয়েছে মুরগি, গরু ও খাসির মাংসের দাম। ব্রয়লার মুরগির কেজি ১৪০ থেকে ১৫০ টাকা, পাকিস্তানি কক মুরগি ২৪০ থেকে ২৫০ টাকা কেজি আর দেশি মুরগির কেজি বিক্রি হচ্ছে ৫০০ টাকা। গরুর মাংসের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৫৮০ টাকা। আর খাসির মাংসের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৯০০ টাকা।
মাছ বাজার ঘুরে দেখা যাচ্ছে, গত সপ্তাহের দামেই বিক্রি হচ্ছে মাছ। রুই মাছের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩০০ টাকা। তেলাপিয়া ১২০ থেকে ১৫০ টাকা, পাঙ্গাস ১৬০ টাকা কেজি, শিং মাছ ৪৫০ টাকা, টেংরা ৫০০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে।