Friday 27 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

চাকরিতে কোটা সরকারের পলিসি, এটি আদালতের বিষয় নয় : হাইকোর্ট


৫ মার্চ ২০১৮ ১৩:০৯

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: সরকারি চাকরিতে কোটা প্রথা সংস্কার চেয়ে করা রিট খারিজ করে দিয়েছেন হাইকোর্ট।

সোমবার বিচারপতি সৈয়দ দস্তগীর হোসেন ও বিচারপতি অাতাউর রহমান খানের হাইকোর্ট বেঞ্চ রিটটি যথাযথভাবে উপস্থাপিত হয়নি মর্মে খারিজ করে দেন।

সরকারি চাকরিতে কোটা প্রথা সংস্কার চেয়ে হাইকোর্টে গত ৩১ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আনিসুর রহমান মীর, কুমিল্লা সাংবাদিক সমিতি ঢাকার সাধারণ সম্পাদক মো: দিদারুল আলম ও দৈনিক আমাদের অর্থনীতির সিনিয়র সাব-এডিটর রিট দায়ের করেন।

রিটে মন্ত্রিপরিষদ সচিব, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সিনিয়র সচিব, আইন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব ও সংস্হাপন মন্ত্রণালয়ের সচিব এবং পাবলিক সার্ভিস কমিশনের চেয়ারম্যানকে বিবাদী করা হয়।

রিটের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী এখলাছ উদ্দিন ভূঁইয়া।

রিটের শুনানি চলাকালে আদালত বলেন, ‘চাকরিতে কোটা সংরক্ষণের বিষয়টি সরকারের পলিসি। এটা আদালতের বিষয় নয়। তবে এক্ষেত্রে আইনের ব্যত্যয় ঘটেছে কি না আমাদের জানান।’

এখলাছ উদ্দিন ভূঁইয়া আদালতকে বলেন, ‘রিটে কোটা প্রথা কেন সংস্কার করা হবে না তার নির্দেশনা চেয়েছি।’ তখন আদালত বলেন, ‘এগুলো (কোটা পদ্ধতি প্রণয়ন) হয়েছে ১৯৯৭ ও ২০১১ সালে। এসব এখন বলছেন কেন?’

অাইনজীবী বলেন, ‘যখন কোটা নির্ধারণ হয়, তারপরও কয়েকবার তা সংস্কার হয়। বুদ্ধিজীবীরা সহ অনেকেই এই কোটার বিরুদ্ধে মত দিয়েছেন। নারী. মুক্তিযোদ্ধা, উপজাতিসহ অনেক কোটা হয়েছে। তখন আদালত বলেন, এসব সরকারের পলিসি। এগুলো কি সরকারের নজরে নেই?’

তখন এখলাছ উদ্দিন বলেন, ‘আমি শুধু রুল চাচ্ছি (কোটা সংস্কার চেয়ে)। কেননা, এ কোটার কারণে মুক্তিযোদ্ধাদের নাতি-নাতনিরাও কোটা সুবিধা পাচ্ছে।’ তখন আদালত বলেন, ‘কোটার কারণে কোনো ভায়োলেশন (সংবিধান লঙ্ঘন) হয়েছে কি না।’

বিজ্ঞাপন

এখলাছ উদ্দিন তখন আদালতকে বলেন,  কোটা ব্যবস্থার কারণে সংবিধানের ১৯ অনুচ্ছেদের ভায়োলেশন হয়েছে। একটি ছেলে এ কারণে আত্মহত্যাও করেছে। তাই এ বিষয়ে একটি রুল চাচ্ছি। রুল দিয়ে বিষয়টি সংস্কারের আদেশ দিন।’

এ সময় আদালত রিটকারীদের এই আইনজীবীকে জিজ্ঞাসা করেন, যারা রিট করেছেন তারা কি কোটা নিয়ে সমস্যায় পড়েছিল? ঢাকা বিশ্বাবদ্যিালয়ের যে শিক্ষার্থী রিট করেছেন তিনি কি পরীক্ষা দিয়ে সুযোগ পাননি? আর অন্যরাও এই কোটার বিষয়ে সংক্ষুব্ধ কিনা?

জবাবে এখলাছ উদ্দিন বলেন, ‘রিটকারী শিক্ষার্থী এখনও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী। অন্য দুজন রিটকারী সাংবাদিক। তবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ওই শিক্ষার্থী সামনে চাকরির পরীক্ষা দেবেন।’

আদালত তখন এ আইনজীবীকে উদ্দেশ্য করে বলেন, ‘আপনি বলতে চান, আমি আইনে পাশ করেছি এখন ডাক্তার হতে চাই? তিনি তো এখনো সংক্ষুব্ধ হননি।এটা ভবিষ্যতের বিষয়। এখনো তিনি পরীক্ষা দেননি। তার আগেই তিনি রিট করেছেন? কোটা আছে কি আছে না সেটা সরকারের পলিসি। আপনি সংক্ষুব্ধ কিনা, ক্ষতিগ্রস্ত কিনা, তা হওয়ার আগেই আদালতে এসেছেন? আপনি তো সাংঘাতিক লোক ‘

এরপর আদালত আদেশ দিয়ে রিট আবেদনটি সরাসরি খারিজ করে দেন।

 

রিট খারিজের বিরুদ্ধে অাপিল করা হবে বলে জানিয়েছেন রিটকারীর অাইনজীবী এখলাস উদ্দিন ভূঁইয়া।

সারাবাংলা/এজেডকে/টিএম

বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ
সম্পর্কিত খবর