‘যারা ৭ জুন পালন করে না মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় তাদের বিশ্বাস নেই’
৭ জুন ২০২০ ১৫:৪৫
ঢাকা: আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ৭ জুন হচ্ছে স্বাধীনতার ইতিহাসে বাঁক পরিবর্তনকারী ঘটনা। এই ৭ জুনের ৬ দফার ভিত্তিতে ১৯৬৯ সালে ১১ দফার ঘোষণা আসে। আর ১১ দফা আন্দোলনে সারাদেশে গণঅভ্যুত্থান সংগঠিত হয়। যারা এই ৭ জুন ও ঐতিহাসিক ৭ মার্চ যারা পালন করে না, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা এবং স্বাধীনতার আর্দশে তাদের বিশ্বাস নেই। এটাই আজ কালের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছে।
রোববার (৭ জুন) ঐতিহাসিক ৭ জুন উপলক্ষে তার সরকারি বাসভবনে ব্রিফিংকালে তিনি একথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘এবার ৬ দফা দিবস আমাদের জীবনে এসেছে এক ভিন্নতর প্রেক্ষাপটে। এবার ৭ জুন বর্ণাঢ্য উৎসবমুখর পরিবেশের মধ্য দিয়ে পালন করার কথা ছিল। যেহেতু এবার মুজিববর্ষের মধ্যে পড়েছে ৭ জুন; কাজেই এবারকার ৭ জুনের তাৎপর্য এবং ব্যঞ্জনা অনেক গভীর। আমরা চেয়েছিলাম এই দিবসটিকে উৎসবের সঙ্গে পালন করার জন্য। কিন্তু বর্তমান বাস্তবতার পরিস্থিতিতে তা সম্ভব হয়নি।’
তিনি বলেন, ‘বিশ্বব্যাপী করোনা মহামারি ছড়িয়ে পড়েছে। বাংলাদেশেও করোনা সংকটে নিপতিত। প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা করোনা সংকটে জাতির নেতৃত্বে দিয়ে যাচ্ছেন। তিনি সংকটে সাহসী ও সফল এবং ইতিহাসের অনেক সংকট দুর্যোগের পরীক্ষিত নেতা। দেশরত্ন জননেত্রী শেখ হাসিনা আজকে এই করোনা পরিস্থিতি সামাল দিয়ে যাচ্ছেন। গোটা জাতিকে সঙ্গে নিয়ে সমন্বয় করছেন, পরিকল্পনা নিচ্ছেন। প্রণোদনা প্যাকেজ দিচ্ছেন। একদিকে মানুষকে বাঁচানো, অন্যদিকে করোনাকে প্রতিরোধ করা- দুটি লড়াই করতে হচ্ছে। এই দুই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে শেখ হাসিনা অগ্রসর হচ্ছেন।’
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘এখন রাজনীতি নয়, রাজনীতির করার অনেক সময় আছে, করা যাবে। দলে দলে মত পার্থক্য থাকতে পারে, কিন্তু করোনা আমাদের অভিন্ন শত্রু। এই অভিন্ন শত্রু মোকাবিলায় আমরা যেন বিভেদেরে ভাইরাস না ছড়িয়ে দেই। করোনা ভাইরাস আমাদের সংক্রমিত করছেল আমরা যেন জাতিকে বিভ্রান্তি না করি। আসুন আমরা সংকটের পরীক্ষিত নেতা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ হয়ে করোনা প্রতিরোধ করি।’