আবরার হত্যা: ৪ আসামির জামিন নামঞ্জুর
৮ জুন ২০২০ ০৩:০০
ঢাকা: বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় দায়ের করা মামলায় চার আসামির জামিনের আবেদন নামঞ্জুর করেছেন আদালত।
রোববার (৭ জুন) ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-১-এর (ভার্চুয়াল) বিচারক আবু জাফর মো. কামরুজ্জামানের আদালতে আসামিদের পক্ষে ফারুক আহমেদসহ কয়েকজন আইনজীবী জামিন শুনানি করেন। শুনানি শেষে বিচারক তা নামঞ্জুরের আদেশ দেন।
জামিন নামঞ্জুর হওয়া আসামিরা হলেন— বহিষ্কৃত বুয়েট ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান রাসেল, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মুহতামিম ফুয়াদ, মোর্শেদ অমত্য ইসলাম ও এস এম মাহমুদ সেতু।
এদিন রাষ্ট্রপক্ষে সংশ্লিষ্ট আদালতের প্রসিকিউটর আবু আব্দুল্লাহ ভূইঞা জামিনের বিরোধিতা করেন। উভয়পক্ষের শুনানি শেষে আদালত জামিনের আবেদন নামঞ্জুর করেন। প্রসিকিউটর আবু আব্দুল্লাহ ভূইঞা এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে, গত ২ জুন বহিষ্কৃত বুয়েট ছাত্রলীগের ক্রীড়া সম্পাদক মেফতাহুল ইসলাম জিয়নের জামিনের আবেদন নামঞ্জুর করেন আদালত।
গত বছর ৬ অক্টোবর রাতে বুয়েটের শেরে বাংলা হলের দ্বিতীয় তলার সিঁড়ি থেকে অচেতন অবস্থায় আবরার ফাহাদকে উদ্ধার করা হয়। পরে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা তাকে পিটিয়ে হত্যা করেছে বলে অভিযোগ ওঠে।
জানা যায়, শিবির সন্দেহে তাকে ডেকে নিয়ে বন্ধ ঘরে পিটিয়ে মেরেছেন বুয়েট শাখা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। এ ঘটনায় আবরারের বাবা বরকত উল্লাহ চকবাজার থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলায় ১৯ জনের নাম উল্লেখ করা হয় গত বছর ১৩ নভেম্বর মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের পরিদর্শক (নিরস্ত্র) ওয়াহিদুজ্জামান ২৫ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন।
অভিযুক্ত আসামিরা হলেন— বহিষ্কৃত বুয়েট ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান রাসেল, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মুহতামিম ফুয়াদ, তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক অনিক সরকার ওরফে অপু, সাংগঠনিক সম্পাদক মেহেদী হাসান রবিন ওরফে শান্ত, আইন বিষয়ক উপসম্পাদক অমিত সাহা, উপসমাজসেবা বিষয়ক সম্পাদক ইফতি মোশাররফ সকাল, ক্রীড়া সম্পাদক মেফতাহুল ইসলাম জিয়ন, গ্রন্থ ও প্রকাশনা বিষয়ক সম্পাদক ইশতিয়াক আহম্মেদ মুন্না, কর্মী মুনতাসির আল জেমি, খন্দকার তাবাখখারুল ইসলাম তানভীর, মুজাহিদুর রহমান, মনিরুজ্জামান মনির, আকাশ হোসেন, হোসেন মোহাম্মদ তোহা, মাজেদুর রহমান মাজেদ, শামীম বিল্লাহ, মুয়াজ ওরফে আবু হুরায়রা, এ এস এম নাজমুস সাদাত, আবরারের রুমমেট মিজানুর রহমান, শামসুল আরেফিন রাফাত, মোর্শেদ অমত্য ইসলাম, এস এম মাহমুদ সেতু, মুহাম্মদ মোর্শেদ-উজ-জামান মন্ডল ওরফে জিসান, এহতেশামুল রাব্বি ওরফে তানিম ও মুজতবা রাফিদ। আসামিদের মধ্যে প্রথম ২২ জন কারাগারে ও তিন জন পলাতক রয়েছেন।