ওয়াসা-ডেনমার্ক চুক্তি: সুপেয় পানি পাবেন ৪০ লাখ ঢাকাবাসী

ঢাকা: ডেনমার্কের সরকারি অর্থায়নে এবং ওয়াসার কারিগরি সহায়তায় পদ্মা (যশলদিয়া) পানি শোধনাগার প্লান্ট থেকে ঢাকা শহরের ৪০ লাখ নগরবাসী সুপেয় পানি পেতে যাচ্ছেন।

রোববার (৭ জুন) স্থানীয় সরকার মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলামের সঙ্গে ডেনমার্ক সরকারের পক্ষে বাংলাদেশে নিযুক্ত রাষ্ট্রদূত মাইকেল হেমনিটি উইনথার ডেনমার্ক থেকে এক ভিডিও কনফারেন্সে যুক্ত হয়ে এ প্রকল্পে অর্থায়নে ড্যানিশ সরকারের সম্মতির কথা জানিয়েছেন।

এর আগে, ঢাকা শহরের ক্রমবর্ধমান খাবার পানির চাহিদা মেটানোর জন্য পদ্মা নদীর উৎস হতে পানি সরবরাহের লক্ষে, পদ্মা (যশলদিয়া) পানি শোধনাগার নির্মাণ প্রকল্প (ফেজ-১) এর আওতায় ‘মেইন লাইন নির্মাণ ও শক্তিশালীকরণ’ শীর্ষক একটি প্রকল্প গ্রহণ করেছে ঢাকা ওয়াসা। ওই প্রকল্পে অর্থায়নের জন্য ঢাকা ওয়াসা বিনিয়োগের জন্য বিদেশি উন্নয়ন সহযোগীর অপেক্ষায় ছিলো ।

এদিকে, প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে ঢাকা শহরে পুরান ঢাকা, ধানমন্ডি, মোহাম্মদপুরসহ আশপাশের এলাকায় সুপেয় পানির বর্ধিত চাহিদা পূরণ করা সম্ভব হবে বলে ওয়াসা কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে। এছাড়াও এর মাধ্যমে জিডিপি বৃদ্ধি এবং উন্নত জীবন ব্যবস্থার মাধ্যমে জনস্বাস্থ্যের উপর অত্যন্ত ইতিবাচক প্রভাব পড়বে বলেও সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন।

এ ব্যাপারে স্থানীয় সরকারমন্ত্রী বলেন, প্লান্টটি দৈনিক ৪৫০ মিলিয়ন লিটার পানি পরিশোধন করতে পারবে। পুরাতন ডিস্ট্রিবিউশন লাইন সংস্কার এবং নতুন লাইন স্থাপনের মাধ্যমে নগরবাসীর চাহিদা অনুযায়ী পানি সরবরাহ করা সম্ভব হবে।

অন্যদিকে প্রকল্পটিকে লাভজনক উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, ডেনমার্ক সরকারের সহায়তায় প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে একদিকে যেমন ঢাকাবাসী সুপেয় পানি পাবে অন্যদিকে উপার্জনেরও নতুন ক্ষেত্র তৈরি হবে।

এছারাও, ঢাকা শহরে অগ্নিকাণ্ডে দ্রুততম সময়ে আগুন নেভানো এবং জানমালের ক্ষয়ক্ষতি এড়াতে রাজধানীতে মিনি ফায়ার স্টেশন স্থাপনের উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। মিনি ফায়ার স্টেশন নির্মাণে বাংলাদেশ সরকারের পাশে থাকতেও ডেনমার্ক সরকার আগ্রহ প্রকাশ করেছে বলে মন্ত্রী জানিয়েছেন।

প্রসঙ্গত, পদ্মা (যশলদিয়া) পানি শোধনাগার থেকে ঢাকায় পানি সরবরাহের জন্য ডিস্ট্রিবিউশন লাইনের দৈর্ঘ্য হবে প্রায় ১৪১ কিলোমিটার। এই প্রকল্পটি বাস্তবায়নে ব্যয় ধরা হয়েছে প্রায় ৬৩৩ কোটি টাকা।

টপ নিউজ ডেনমার্ক ঢাকা ওয়াসা স্থানীয় সরকারমন্ত্রী তাজুল ইসলাম