মানবপাচারে জড়িত কাউকেই ছাড় দেওয়া হবে না: র্যাব ডিজি
৮ জুন ২০২০ ১৭:০২
ঢাকা: গত ২৮ মে লিবিয়ায় পাচারের শিকার ২৬ বাংলাদেশিকে নৃশংসভাবে হত্যা করা ও ১১ জন আহত হয়েছে। ওই ঘটনায় জড়িত ও মানবপাচারে যুক্ত কাউকেই ছাড় দেওয়া হবে না। তাদের বিরুদ্ধে যথাযথ আইনগত পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) মহাপরিচালক চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন।
সোমবার (৮ জুন) রাজধানীর কারওয়ান বাজারে মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে এ হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন তিনি। র্যাবের করোনা আক্রান্ত সদস্যের চিকিৎসা মনিটরিংয়ের জন্য তৈরি এপ্লিকেশন সফটওয়্যার উদ্বোধন এবং র্যাবের পক্ষ থেকে ক্র্যাবকে চিকিৎসাসামগ্রী ও করোনায় মারা যাওয়া সাংবাদিকদের পরিবারের সদস্যদের আর্থিক সহযোগিতার জন্য এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
র্যাব মহাপরিচালক বলেন, ‘আমরা স্বাভাবিক সময়ে যেসব কার্যক্রম করে থাকি এই করোনাকালেও তা করছি। আমাদের বাহিনীর সদস্যরা এই সময়ে মাদক, জঙ্গি, সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে ক্রমাগতভাবে কাজ করে যাচ্ছে।’
ডিজি বলেন, ‘লিবিয়ায় যে ঘটনাটি ঘটেছে তা মর্মান্তিক। আমরা ইতিমধ্যে এর মূলহোতাকে গ্রেফতার করেছি। আমরা কাউকে ছাড় দেবো না। এই মুহূর্তেও আমাদের অভিযান চলছে।;
সাংবাদিক পরিবারগুলোকে অর্থ সহায়তার বিষয়ে তিনি বলেন, ‘কেউ এভাবে স্বজন হারাক কেউ আমরা তা চাই না। আমাদের যাতে এমন অনুষ্ঠান আর করতে না হয় সেটাই আমরা চাই। আমরা অন্যকোন অনুষ্ঠান করে মিলিত হবো, এমন অনুষ্ঠান করতে চাই না। আমরা সাংবাদিকদের সকল ধরনের সহযোগিতায় পাশে থাকবো।’
র্যাবের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (অপারেশনস) কর্নেল তোফায়েল মোস্তফা সরোয়ার বলেন, ‘আমরা কোভিড -১৯ চিকিৎসায় একটি মডেল করার চেষ্টা করেছি। সারাদেশে যাতে হাসপাতালে চাপ না বাড়ে সেজন্য কিছু উদ্যোগ নিয়েছি। দেশের কমিউনিটি সেন্টার ভাড়া করে আমরা আক্রান্তদের চিকিৎসার জন্য অস্থায়ী হাসপাতাল করেছি। সেখানে রোগীরা ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিচ্ছে। সেখানে অক্সিজেনসহ সব ধরণের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।’
র্যাব তাদের বাহিনীর আক্রান্ত সদস্যদের আপডেট জানার জন্য একটি অ্যাপস তৈরি করেছে। বাহিনীতে কর্মরত কোনো বাহিনীর সদস্য কতজন আক্রান্ত তা অ্যাপসের মাধ্যমে জানা যাবে। একই অনুষ্ঠানে ক্র্যাবকে দুটি অত্যাধুনিক অক্সিজেন কনসেন্টেটর উপহার দেয় র্যাব। যাতে করোনা আক্রান্ত ক্রাইম রিপোর্টারা প্রয়োজনের সময় দ্রুত অক্সিজেন পান।
এসময় উপস্থিত ছিলেন ক্রাইম রিপোর্টাস অ্যাসোসিয়শেন অব বাংলাদেশের (ক্র্যাব) সভাপতি আবুল খায়ের এবং সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান বিকু, র্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক লে. কর্নেল সারোয়ার-বিন-কাশেম।