ঢাকা: করোনাভাইরাস থেকে সুরক্ষা ও এই ভাইরাসে আক্রান্তদের চিকিৎসায় ব্যবহৃত মেডিকেল বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে আইনি নোটিশ পাঠিয়েছে আইনজীবী মো. জে আর খান রবিন।
মঙ্গলবার (৯ জুন) সুপ্রিম কোর্টের এই আইনজীবীর নোটিশ স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ (স্বাস্থ্যসেবা) সচিব, স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয় সচিব, পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় সচিব, ঢাকার উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র, ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা ও স্বাস্থ্যসেবা অধিদফতরের মহাপরিচালককে ইমেইলে পাঠানো হয়েছে।
নোটিশ পাওয়ার ৭২ ঘণ্টার মধ্যে করোনা সংশ্লিষ্ট মেডিকেল বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে বিশেষভাবে অনুরোধ করা হয়েছে নোটিশে। তা না হলে দেশের প্রচলিত আইন অনুযায়ী এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে উল্লেখ করা হয়েছে নোটিশে।
এতে বলা হয়, বর্তমানে করোনাভাইরাস একটি বৈশ্বিক সমস্যা। আমাদের প্রিয় মাতৃভূমি বাংলাদেশেও এই ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব ছড়িয়ে পড়েছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ও দেশীয় বিশেষজ্ঞদের মতে এ ভাইরাস ব্যক্তি থেকে ব্যক্তি এবং এক জনগোষ্ঠী থেকে অন্য জনগোষ্ঠীতে সংক্রমিত হয়। তার ওপর করোনা আক্রান্ত ব্যক্তি ও তার সংস্পর্শে আসা ব্যক্তির ব্যবহৃত ব্যক্তিগত নিরাপত্তা সরঞ্জাম থেকেও এ ভাইরাস সংক্রামিত হয়। কিন্ত দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে ব্যবহৃত ব্যক্তিগত নিরাপত্তা সরঞ্জম (পিপিই), হ্যান্ড গ্লাভস, সার্জিক্যাল মাস্ক নির্দিষ্ট কোনো ব্যবস্থাপনা ছাড়াই সাধারণ বর্জ্যের সঙ্গে যত্রতত্র ফেলায় দিন দিন স্বাস্থ্য ঝুঁকি বাড়ছে।
করোনা সংক্রমণের পর থেকে দেশে প্রায় ১৪ হাজার ৫০০ টন বর্জ্য তৈরি হয়েছে উল্লেখ করে নোটিশে আরও বলা হয়, এর মধ্যে রাজধানী ঢাকাতে ১ হাজার ৩১৪ টন সার্জিক্যাল হ্যান্ড গ্লাভস বর্জ্য ও ৪৪৭ টন সার্জিক্যাল মাস্কের বর্জ্য তৈরি হয়েছে। এ ধরনের বর্জ্যের সঠিক ও যথাযথ ব্যবস্থাপনা না থাকার ফলে পরিবেশের ক্ষতিসাধন ও পরিচ্ছন্ন কর্মীসহ দেশের জনগণ করোনাভাইরাসে সংক্রমিত হওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে, যা কোনোভাবেই কাম্য নয়। এরই মধ্যে দেশের দৈনিক পত্রিকার বেশকিছু প্রতিবেদনে এসব তথ্য প্রকাশিত হয়েছে। তা সত্ত্বেও এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা না নেওয়ায় সংশ্লিষ্টদের এ নোটিশ পাঠানো হয়েছে বলে উল্লেখ করেছেন আইনজীবী।