৩১টি স্প্যান বসেছে, পদ্মাসেতুর ৪৬৫০ মিটার দৃশ্যমান
১০ জুন ২০২০ ১৯:১৪
ঢাকা: শরীয়তপুরের জাজিরা থেকে মুন্সিগঞ্জের দিকে এখন একটানা বসে গেছে পদ্মাসেতুর ২৯টি স্প্যান। আর মাওয়া প্রান্তে বসানো আছে আরও দুটি স্প্যান। সব মিলিয়ে এখন পদ্মাসেতুতে বসে গেল ৩১টি স্প্যান। পুরো সেতুর কাজ শেষ হতে এখন বাকি মাত্র ১০টি স্প্যান।
বুধবার (১০ জুন) দুপুরে ২৫ ও ২৬ নাম্বার খুঁটিতে ৩১তম স্প্যান স্থাপন করা হয়। এই দুই খুঁটির ভেতর দিয়ে শিমুলিয়া-কাঁঠালবাড়ি নৌ রুট। এ কারণে সারাদিন নৌ চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে।
পদ্মা সেতু প্রকল্পের কর্মকর্তারা জানান, সেতু শরীয়তপুর থেকে শুরু হয় মাঝখানে মাদারীপুর হয়ে মুন্সিগঞ্জের দিকে আসছে। মাঝখানে একটি মিসিং লিঙ্ক ছিল এই ২৫ ও ২৬ নাম্বার খুঁটি। এখন সেই দুই খুঁটিতে স্প্যান বসিয়ে দেওয়া হল।
স্প্যানটি বসানোর মাধ্যমে দৃশ্যমান হল সেতুর ৪ হাজার ৬৫০ মিটার বা সাড়ে চার কিলোমিটারের বেশি। ৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটারে পৌঁছতে এখন বাকি মাওয়া প্রান্তে ১০টি স্প্যান।
পদ্মাসেতুর প্রকল্প পরিচালক শফিকুল ইসলাম জানান, করোনার মধ্যে পদ্মাসেতুর কাজ থেমে থাকেনি তার উদাহরণ প্রতিমাসে স্প্যান বসানো। এখন কাজ এগিয়ে যাচ্ছে। ৩১টি স্প্যান বসানোর পর আর বাকি থাকে মাত্র ১০টি স্প্যান। যা এ বছরের মধ্যেই শেষ হবে।
সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের পদ্মাসেতুর অগ্রগতির কথা জানিয়ে বলেছেন, ‘করোনার মধ্যে পদ্মাসেতুর এগিয়ে যাওয়া দেশবাসীকে আশায় উদ্বেলিত করেছে। সেতুর কাজ শেষের দিকে এখন বাকি আছে মাত্র ১১ শতাংশ।’
পদ্মাসেতু প্রকল্প সূত্র জানায়, আগামী দুদিন দেশের আবহাওয়া পরিস্থিতি খারাপ থাকতে পারে। সে আশঙ্কায় নির্ধারিত দিনের একদিন আগেই সেতুর ৩১তম স্প্যান খুঁটিতে স্থাপন করে বসিয়ে দেওয়া হয়েছে। আর জাজিরা থেকে স্প্যানের ওপর সড়ক ও রেলপথ নির্মাণ এগিয়ে চলছে। ৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটারের মধ্যে রোড স্ল্যাব বসানো হয়েছে দেড় কিলোমিটার। আর রেল স্ল্যাব প্রায় দুই কিলোমিটার।