Tuesday 08 Jul 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

ভার্চুয়াল কোর্টে জামিন জালিয়াতি, ৫ আসামিকে গ্রেফতারের নির্দেশ


১০ জুন ২০২০ ১৯:০৫ | আপডেট: ১০ জুন ২০২০ ১৯:০৬
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

ঢাকা: ভার্চুয়াল কোর্ট থেকে জালিয়াতি করে জামিন নেওয়ার অভিযোগে খুলনার দিঘলিয়ার টিপু শেখ হত্যা মামলার পাঁচ আসামিকে গ্রেফতারের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত আইনজীবীকে শো’কজ করেছেন আদালত।

তথ্য গোপন করে জালিয়াতির মাধ্যমে জামিন নেওয়ার ঘটনাটি জানার পরে হাইকোর্টের একই বেঞ্চ তাদের জামিন বাতিল করে দেন। এ সময় আদালত বলেন, তারা যদি জামিনে বেরিয়ে যান তাহলে সাতদিনের মধ্যে ৫ আসামিকে আত্মসমর্পণ করতে হবে। তা না হলে আসামিদের গ্রেফতারের জন্য খুলনার এসপিকে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

পাঁচ আসামি হলেন সোহাগ শেখ, সেলিম শেখ, জুয়েল শেখ, লুৎফর শেখ ও আব্দুল্লাহ মোল্লা।

বিজ্ঞাপন

বুধবার (১০ জুন) বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেনের ভার্চুয়াল হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন। জামিন জালিয়াতির বিষয়টি আদালতের নজরে আনেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ড. বশির উল্লাহ।

এ ছাড়াও জামিন নেওয়া ওই পাচঁ আসামির আইনজীবী আবু হেনা মোস্তফা কামালকে ভার্চুয়াল কোর্টে মামলা পরিচালনা করা থেকে বিরত থাকার নির্দেশ দিয়েছেন।

ঘটনার বিবরণে জানা যায়, গত বছরের ৬ সেপ্টেম্বর খুলনার দিঘলিয়া উপজেলর পদ্মবিলার টিপু শেখকে অতর্কিত হামলা করে খুন করা হয়। পরে তার ছেলে আলমগীর শেখ থানায় মামলা দায়ের করেন।

আলমগীর শেখের এজাহার অনুসারে জানা যায়, ৬ সেপ্টেম্বর বিকেল সাড়ে ৫টায় খুলনার দিঘলিয়া থানার পরবিলার টিপু শেখকে গাজীরহাট বাজারের পাশে কাঁঠালতলা ভ্যান স্ট্যান্ডে দিনের বেলায় ৩২ আসামিসহ অজ্ঞাতনামা ৮/১০ জন আসামি অতর্কিত হামলা করে। আসামিরা তার পিতার মৃত্যু নিশ্চিত ভেবে উল্লাস করে চলে যান। পরে চিকিৎসার জন্য খুলনা মেডিকেলে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত বলে ঘোষণা দেন।

এ ঘটনায় এজাহারনামীয় ৩২ আসামির মধ্যে পাঁচ আসামি হাইকোর্টে জামিন আবেদন করেন। তারা হলেন সোহাগ শেখ, সেলিম শেখ, জুয়েল শেখ, লুৎফর শেখ ও আব্দুল্লাহ মোল্লা। গত ১৮ মে বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেনের ভার্চুয়াল আদালত তাদের নিয়মিত আদালত খোলা পর্যন্ত জামিন দেন। তাদের আইনজীবী ছিলেন আবু হেনা মোস্তফা কামাল।

রাষ্ট্রপক্ষে বুধবার বিষয়টি আদালতের নজরে নেওয়ার পর আদালত আদেশ দেন। পরে ড. মো.বশির উল্লাহ বলেন, ‘১৮ মে তারা জামিন পান। এরমধ্যে এ মামলার বাদী ক্ষের আইনজীবী সুলতান মাহমুদ জানতে পারেন তারা জালিয়াতি করেছে। তিনি বিষয়টি আমাদের অবহিত করেন। এরপর খবর নিয়ে দেখলাম ভুয়া এজাহার বানিয়ে অভিযোগ বদল করে তারা জামিন নেন। এ ছাড়া এ মামলার চার্জশিট হয়েছে ২১ ডিসেম্বর। অথচ তারা বলেছে মামলা তদন্তনাধীন। বুধবার বিষয়টি আবেদন আকারে আদালতের নজরে আনা হয়েছে।

আদালত তাদের জামিন বাতিল করেছেন, যদি তারা কারাগার থেকে বেরিয়ে যান তাহলে সাতদিনের মধ্যে আত্মসমর্পণ করতে বলেছেন। যদি আত্মসমর্পণ না করেন তাহলে তাদেরকে গ্রেফতার করতে খুলনার এসপিকে নির্দেশ দিয়েছেন। তাদের আইনজীবীকেও শো’কজ করেছেন। এ ছাড়া আপাতত তাদের পক্ষের ওই আইনজীবী আর ভার্চুয়াল আদালতে মামলা পরিচালনা করতে পারবেন না বলে আদালত আদেশ দিয়েছেন।

আদালত খুনের মামলা জামিন জালিয়াতি জালিয়াত হত্যা মামলা

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর