লকডাউন ও হাই-ফ্লো অক্সিজেন থেরাপি চালুর আহ্বান পরামর্শক কমিটির
১১ জুন ২০২০ ১২:০২
ঢাকা: দেশে নভেল করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) বিস্তার রোধে আক্রান্ত ও ঝুঁকির মাত্রার ওপর এলাকাভিত্তিক পূর্ণ লকডাউন জরুরি বলে মনে করে কোভিড-১৯ জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটি। সেইসঙ্গে এই কমিটির বিশেষজ্ঞরা জরুরিভিত্তিতে সব হাসপাতালে হাই-ফ্লো অক্সিজেন থেরাপির প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি সংগ্রহ করে সেগুলো চালুর দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ করেছে। এছাড়াও স্বাস্থ্যসেবা কর্মীদের জন্য আলাদা হাসপাতাল চালু করা প্রয়োজন বলেও মনে করে এই কমিটি।
বুধবার (১০ জুন) কোভিড-১৯ জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটির নবম সভায় পাঁচটি সুপারিশ করা হয়েছে বলে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।
কমিটির সভাপতি অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ সহিদুল্লা’র সই করা বিজ্ঞপ্তিতে প্রথম সুপারিশের কথা উল্লেখ করে বলা হয়, রোগের বিস্তার রোধে সামাজিক বিচ্ছিন্নকরণ নিশ্চিত করার জন্য পূর্ণ লকডাউন প্রয়োজন। কারিগরি পরামর্শক কমিটি জীবন এবং জীবিকার সামঞ্জস্যের গুরুত্ব উপলব্ধি করে সারাদেশে আক্রান্ত ও ঝুঁকির মাত্রার ভিত্তিতে যতটা বড় এলাকায় সম্ভব জরুরিভাবে লকডাউনের জন্য কর্তৃপক্ষের কাছে দৃঢ় অভিমত ব্যক্ত করে।
দ্বিতীয় সুপারিশে বলা হয়, অত্যন্ত জরুরিভিত্তিতে সব হাসপাতালে হাই-ফ্লো অক্সিজেন থেরাপির প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি সংগ্রহ করে সেগুলো চালুর দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটি ইতোমধ্যে পরামর্শ দিয়েছে। সেই লক্ষ্যে হাই-ফ্লো অক্সিজেন থেরাপির ব্যবস্থা সব হাসপাতালে চালু ও সম্প্রসারণের জন্য স্বাস্থ্য অধিদফতর ও মন্ত্রণালয়কে ফের জানানো হয়।
তৃতীয় সুপারিশে বলা হয়, চিকিৎসকসহ স্বাস্থ্যসেবা কর্মীরা ব্যাপক হারে কোভিড-১৯-এ আক্রান্ত হচ্ছেন এবং এ পর্যন্ত বেশ কয়েকজন স্বাস্থ্যসেবা কর্মীর জীবনাবসান হয়েছে। এ হারে আক্রান্ত হতে থাকলে এবং স্বাস্থ্যসেবা কর্মীদের সুষ্ঠু চিকিৎসার ব্যবস্থা না থাকলে জনগণের স্বাস্থ্যসেবা প্রবলভাবে ব্যাহত হবে। অবিলম্বে হাই-ফ্লো অক্সিজেনসহ চিকিৎসার জন্য অন্যান্য প্রয়োজনীয় উপাদানসহ স্বাস্থ্যসেবা কর্মীদের জন্য আলাদা হাসপাতাল চালু করা প্রয়োজন।
বিজ্ঞপ্তির চতুর্থ সুপারিশে বলা হয়, কোভিড-১৯ এর জন্য নির্ধারিত হাসপাতালগুলো সবসময় পূর্ণ থাকছে। জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটির পরামর্শক্রমে ইতোমধ্যে সব হাসপাতালে পৃথক এলাকা ঠিক করে কোভিড ও নন-কোভিড রোগীর চিকিৎসা করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। যেসব হাসপাতালে এ সিদ্ধান্ত এখনও বাস্তবায়ন হয়নি সেসব হাসপাতালে সিদ্ধান্ত কার্যকরের পাশাপাশি কোভিড-১৯ রোগীদের চিকিৎসা ব্যবস্থা আরও বাড়ানো দরকার। এজন্য বক্ষব্যাধি হাসপাতাল বা এরকম অন্য যেকোনো উপযুক্ত হাসপাতাল দ্রুত চালু করতে হবে।
শেষ সুপারিশে বলা হয়, সরকার টেস্টের সংখ্যা দ্রুত বৃদ্ধিতে সফলতা দেখিয়েছে। এখন প্রয়োজন পরীক্ষার মান্নোয়ন ও দ্রুততম সময়ের মধ্যে পরীক্ষার ফলাফল নিশ্চিত করার ব্যবস্থা নেওয়া। যতদিন সময় কমানো সম্ভব না হয়, পরীক্ষার ফলাফলের জন্য অপেক্ষা না করে সন্দেহজনক রোগীর চিকিৎসা বা আইসোলেশন নিশ্চিতের ব্যবস্থা করতে হবে।