‘শেখ হাসিনা গণতন্ত্রের প্রতীক, মুক্তিযুদ্ধের প্রতীক’
১১ জুন ২০২০ ১২:৫৪
ঢাকা: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে গণতন্ত্র ও মুক্তিযুদ্ধের প্রতীক হিসেবে অভিহিত করেছেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এসএম কামাল হোসেন। তিনি মনে করেন, জাতীয়-আন্তর্জাতিক বিভিন্ন মহলসহ গণতন্ত্রকামী মানুষের চাপে তৎকালীন সরকার শেখ হাসিনাকে মুক্তি দিতে বাধ্য হয়েছিল। আর এর মাধ্যমে দেশের গণতন্ত্র মুক্তি পেয়েছিল এবং মানুষ আবার ভোটের অধিকার ফিরে পেয়েছিল।
বৃহস্পতিবার (১১ জুন) আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা কারামুক্তি দিবস উপলক্ষে সারাবাংলার কাছে মোবাইল ফোনে এমন প্রতিক্রিয়া জানান বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের এই সাংগঠনিক সম্পাদক।
এস এম কামাল হোসেন বলেন, বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার মুক্তির মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের গণতন্ত্রের মুক্তি হয়েছে। দেশের সুশীল সমাজের কিছু ব্যক্তি, কিছু সুবিধাবাদী রাজনীতিবিদ এবং জাতীয় ও আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্রকারীরা বাংলাদেশের গণতন্ত্রকে হত্যা করার ষড়যন্ত্রে মেতে উঠৈছিল। তারাই ২০০১ সাল থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত দেশে গুম, খুন ও হত্যার রাজনীতি করেছে। তারাই দেশকে টানা পাঁচ থেকে ছয় বার দুর্নীতিতে চ্যাম্পিয়ন করেছে। যারা নির্বাচন নিয়ে টালবাহানা করেছিল, তারাই আবার নির্বাচনে বৈতরণী পার হওয়ার জন্য মানুষের কাছে তত্ত্বাবধায়ক সরকারকে বিতর্কিত করে নিজেদের পছন্দমতো ইয়াজউদ্দিন মার্কা সরকার গঠন করে আবার ক্ষমতায় যাওয়ার স্বপ্ন দেখেছিল। বাংলার মানুষকে অত্যাচার নির্যাতন করে বাংলাদেশকে বার বার যারা দুর্নীতিতে চ্যাম্পিয়ন করে, সেই সরকারের প্রধানকে গ্রেফতার করা হয়নি। অথচ যিনি গণতন্ত্রের জন্য, মানুষের ভাত ও কাপড়ের জন্য, মানুষের ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য লড়াই-সংগ্রাম করেছেন, সেই শেখ হাসিনাকে গ্রেফতার করে তারা বাংলাদেশের গণতন্ত্রকেই গ্রেফতার করে।
তবে শেষ পর্যন্ত সাধারণ জনগণের পাশাপাশি জাতীয় ও আন্তর্জাতিক চাপের মুখে শেখ হাসিনাকে আটকে রাখা সম্ভব হয়নি বলে মনে করেন এস এম কামাল। তিনি বলেন, বাংলাদেশের জনগণের চাপে, জাতীয়-আন্তর্জাতিক চাপে, গণতন্ত্রকামী মানুষের চাপে ১১ জুন জননেত্রী শেখ হাসিনাকে মুক্তি দিতে বাধ্য হয় সেই তত্ত্বাবধায়ক সরকার। এর মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের গণতন্ত্র মুক্তি পেয়েছিল, দেশের মানুষ আবার ভোটের অধিকার ফিরে পেয়েছিল।
সেই থেকেই বাংলাদেশ ঘুরে দাঁড়িয়েছে এবং সমৃদ্ধ একটি দেশের পথে এগিয়ে যাচ্ছে বলে মন্তব্য করেন এসএম কামাল হোসেন। তিনি বলেন, জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে, এগিয়ে যাবে। বাংলাদেশ আজ বহির্বিশ্বে আত্মমর্যাদাশীল জাতি হিসাবে মাথা উঁচু করে দাড়িয়েছে, সামনের দিনেও এগিয়ে যাবে। বাংলাদেশের মানুষ স্বপ্ন দেখে বঙ্গবন্ধুকন্যার হাত ধরেই জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের ক্ষুধামুক্ত, দারিদ্র্যমুক্ত সোনার বাংলাদেশ বিনির্মাণ হবে।
সেনা সমর্থিত ওয়ান-ইলেভেন হিসেবে পরিচিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় ২০০৭ সালের ১৬ জুলাই গ্রেফতার হন তৎকালীন বিরোধী দলীয় নেতা শেখ হাসিনা। কারারুদ্ধ অবস্থায় অসুস্থও হয়ে পড়েন তিনি। তাকে চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠাতে মুক্তি দেওয়ার দাবি ওঠে বিভিন্ন মহল থেকে। শেষ পর্যন্ত আওয়ামী লীগ এবং এর অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের অব্যাহত আন্দোলন এবং জাতীয় ও আন্তর্জাতিক চাপের মুখে শেখ হাসিনাকে মুক্তি দিতে বাধ্য হয় তৎকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকার। দীর্ঘ ১১ মাস কারাভোগ করে সংসদ ভবন চত্বরে স্থাপিত বিশেষ কারাগার থেকে মুক্তি পান শেখ হাসিনা।
প্রতিবছর এই দিনটি নানা আয়োজনে উদযাপন করে থাকে আওয়ামী লীগ এবং এর অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনগুলো। তবে বৈশ্বিক মহামারি করোনাভাইরাসের কারণে এ বছর কোনো ধরনর জনসমাগমপূর্ণ রাজনৈতিক কর্মসূচি থাকছে দিনটিতে। স্বাস্থ্যবিধি মেনে যার যার জায়গা থেকে আওয়ামী লীগ সভাপতি বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ু কামনা করে পরম করুণাময়ের নিকট দেশবাসীকে প্রার্থনা করার আহ্বান জানিয়েছে আওয়ামী লীগ।
এসএম কামাল কারামুক্তি গণতন্ত্রের প্রতীক মুক্তিযুদ্ধের প্রতীক শেখ হাসিনা