বাজেটে প্রত্যাশার প্রতিফলন ঘটেনি: বেসিস
১২ জুন ২০২০ ০২:৫১
ঢাকা: ২০২০-২১ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে প্রত্যাশার প্রতিফলন ঘটেনি বলে মনে করছে তথ্যপ্রযুক্তি খাতের শীর্ষ সংগঠন বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেস (বেসিস)। বৃহস্পতিবার (১১ জুন) জাতীয় সংসদে প্রস্তাবিত বাজেট উত্থাপন করেন অর্থমন্ত্রী আ হ মুস্তফা কামাল। পরে মন্তব্য জানতে চাইলে সারাবাংলার কাছে বেসিস সভাপতি সৈয়দ আলমাস কবীর এমন মন্তব্য করেন।
তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় বেসিস সভাপতি বলেন, আমরা যা চেয়েছিলাম, তার কোনো প্রতিফলন দেখছি না। আমরা একটি পাঁচ হাজার কোটি টাকার ফান্ড চেয়েছিলাম, যেখান থেকে উদ্যোক্তাদের ঋণ দেওয়া যাবে। বাজেট বক্তৃতার কোথাও তা চোখে পড়েনি। বাজেটে আমাদের প্রত্যাশার প্রতিফলন ঘটেনি।
আরও পড়ুন- বরাদ্দ কমেছে ডাক-আইসিটিতে, বেড়েছে বিজ্ঞান-প্রযুক্তিতে
এদিকে, এক ভিডিও বার্তায় বেসিস সভাপতি বলেন, বেসিসের পক্ষ থেকে সরকারকে ধন্যবাদ জানাই, এই দুর্যোগ চলাকালে তারা এত বড় একটি বাজেট উপস্থাপন করেছেন। বিশেষ করে ধন্যবাদ জানাই প্রযুক্তির গুরুত্ব তারা উপলব্ধি করেছেন। সে কারণেই আইসিটি বিভাগের বরাদ্দ, গতবছরের সংশোধিত বরাদ্দের চেয়ে বাড়ানো হয়েছে। একইভাবে সংশোধিত বরাদ্দের তুলনায় ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের বরাদ্দ বেড়েছে। তথ্যপ্রযুক্তিতে স্বয়ংসম্পূর্ণ হলে যেকোনো দুর্যোগ আমরা মোকাবিলা করতে পারব, সরকার সেটি বুঝতে পেরেছে।
বেসিস সভাপতি ভিডিও বার্তাতেও বলেন, আমাদের প্রস্তাবনায় পাঁচ হাজার কোটি টাকার একটি তহবিল গঠন করতে বলেছিলাম, যে তহবিল থেকে আইসিটি কোম্পানিগুলোকে সরল সুদে বিনা জামানতে এক বছরের গ্রেস পিরিয়ডসহ লোন দেওয়া হবে। তার কারণ হচ্ছে গতানুগতিক যে ব্যাংকিং সুবিধা, সেই প্রথায় আমরা আইসিটি কোম্পানিগুলো লোন পাই না। তার কারণ আমাদের আইসিটি কোম্পানিগুলোর যে সম্পদ, তার ভ্যালু অ্যাডিশন তারা করতে পারে না। সে কারণে আমরা এই বিশেষ তহবিল গঠন করতে বলেছিলাম। সরকার যদি এই তহবিল এ অধিবেশনেই অ্যাপ্রুভ করে দেয়, তাহলে খুব ভালো হয়।
আরও পড়ুন- মোবাইল কলে খরচ বাড়ছে, ১০০ টাকায় সরকার নেবে বাড়তি ৩ টাকা
আলমাস কবীর বলেন, মোবাইল সেবায় সম্পূরক শুল্ক ১০ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ১৫ শতাংশ করেছে, এতে কিছুটা হলেও মোবাইল সেবা ব্যহত হবে। মোবাইল ইন্টারনেট দামেও কিছুটা প্রভাব পড়তে পারে। তবে দেশে উৎপাদিত রাউটারের ওপর ৫ শতাংশ ভ্যাট আরোপ করা হয়েছে, একইসঙ্গে বিদেশ থেকে আমদানি করা রাউটারের ওপর অনেক বেশি শুল্ক রয়েছে— এগুলো কমানো দরকার। কারণ এখন অবকাঠামো গড়ার সময়। এছাড়া ডিজিটাল ট্রানজাকশন ও ই-কমার্সকে করের আওতামুক্ত রাখার প্রস্তাব দিয়েছিলাম। আমরা যদি ক্যাশলেস সোসাইটির দিকে যেতে চাই, ডিজিটাল ট্রানজাকশন বাড়াতে চাই— তাহলে এই ধরণের প্রণোদনা আমাদের প্রয়োজন রয়েছে।
তিনি বলেন, আমরা আইটি এনাবলড সার্ভিসেসের সংজ্ঞার মধ্যে ইন্টারনেট সার্ভিসকে যুক্ত করতে বলেছিলাম। আমরা জানি ইন্টারনেট সার্ভিস একটি কাঁচামাল, সব ধরনের সার্ভিসের জন্য এটি প্রযোজ্য। এটির জন্য আমরা এনবিআরের কাছে আবেদন জানাচ্ছি। ভিডিওবার্তায় তিনি বাজটকে তথ্যপ্রযুক্তিবান্ধব বাজেট বলেও উল্লেখ করেন।
আরও পড়ুন-
মোবাইল সেবায় সম্পূরক শুল্ক গ্রাহকের ওপর চাপ বাড়াবে
২০২০-২১ অর্থবছরের বাজেট আলমাস কবীর তথ্যপ্রযুক্তি বাজেট ২০২০-২১ বেসিস বেসিস সভাপতি