Sunday 29 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

উদ্ভাবনী চিন্তা নেই, বাজেট গতানুগতিক: সিপিডি


১২ জুন ২০২০ ১৬:০১

ঢাকা: করোনাভাইরাসের প্রভাব মোকাবিলায় বাজেটে কোনো উদ্ভাবনী চিন্তা নেই। এ কারণে প্রস্তাবিত বাজেটকে ‘গতানুগতিক’ বলছে বেসরকারি গবেষণা সংস্থা সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি)। শুক্রবার (১২ জুন) ভার্চুয়াল মিডিয়া ব্রিফিংয়ে ২০২০-২১ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট পর্যালোচনায় সংস্থাটি এমন মন্তব্য করেছে।

সিপিডির নির্বাহী পরিচালক ড. ফাহমিদা খাতুন বলেন, ‘বাজেট দেখে মনে হয়েছে এটি গতানুগতি বাজেট। এরমধ্যে তেমন কোন সৃজনশীলতা দেখা যাচ্ছে না। করোনা মোকাবিলায় যে ধরণের বহুমাত্রিক সংকট দেখা গেছে, তা উত্তরণে সে ধরণের সৃজনশীলতা দেখা যায়নি। তারা ভেবেছে করোনা সংকট দ্রুতই শেষ হয়ে যাবে। বাজেটে এ ধরণের অনুমান করা ভুল হয়েছে। কিন্তু কোভিড সংকট একটি চলমান প্রক্রিয়া।’

বিজ্ঞাপন

তিনি বলেন, ‘সরকারের যে জিডিপি প্রবৃদ্ধির মোহ তা আবারও লক্ষ্য করা গেছে। বিশ্বের বিভিন্ন দেশ কিন্তু নেতিবাচক প্রবৃদ্ধির দিকে যাচ্ছে। প্রবৃদ্ধির হার নিয়ে চিন্তার সময় এখন নয়। সরকারের লক্ষ্য প্রবৃদ্ধি কেন্দ্রিক হয়ে গেছে, বিশ্বে কোভিড ফান্ডের যে সুযোগ রয়েছে, তা থেকে আবার যেন বঞ্চিত না হই। স্বাস্থ্য খাতসহ সামাজিক নিরাপত্তা খাতে যে প্রাধিকারের কথা বলেছে কিন্তু রূপান্তরের জন্য যে কমিটমেন্ট দরকার সেটা বাজেটে দেখতে পাওয়া যায়নি।’

সিপিডির বাজেট পর্যালোচনা তুলে ধরে প্রতিষ্ঠানটির নির্বাহী পরিচালক ফাহমিদা খাতুন বলেন, ‘প্রতিবছর কালো টাকা সাদা করার সুযোগ দেওয়া হয় এবং একটা ডিসকাউন্ট রেটে। ১০ শতাংশ কর দিয়েই কালো টাকা সাদা করা যায়। কোভিড-১৯-এর প্রেক্ষিতে আরও কালো টাকা কীভাবে সিস্টেমের মধ্যে আসে, সেজন্য আরও কিছু খাতে (কালো টাকা বিনিয়োগের সুযোগ দিয়ে কালো টাকাকে উৎসাহিত করা হয়েছে।’

বিজ্ঞাপন

তিনি আরও বলেন, ‘কালো টাকা সাদা করার সুযোগ দিয়ে সৎ করদাতাদের প্রতি অন্যায় করা হচ্ছে। তাদের প্রতি সুবিবেচিত পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে না। কারণ যারা সৎ করদাতা তারা প্রচলিত হারে কর দিয়ে আসছেন। কিন্তু যারা কর ফাঁকি দিচ্ছেন বছরের পর বছর, তারা এই সুযোগে শুধুমাত্র ১০ শতাংশ কর দিয়ে টাকাটা সাদা করে ফেলতে পারছেন। এই ধরনের সুবিধা দিয়ে আসলে কোনো লাভ হয় না। স্বাধীনতার পর প্রায় প্রতিবছর কালো টাকা সাদা করার সুযোগ দেওয়া হয়েছে। কিন্তু সেখান থেকে কোনো লাভ হয়নি।’

সিপিডির ফেলো অধ্যাপক ড. মোস্তাফিজুর রহমান এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, ‘আমার কাছে সব চেয়ে হিতে বিপরীত মনে হয়েছে কোভিড মোকাবিলায় যে ধরনের পদক্ষেপ থাকা দরকার ছিল সেটা দেখিনি। আমরা এখন ঝুঁকির মধ্যে রয়েছি সেই বিষয়টি বিবেচনায় আনা হয়নি। বাজেটে দায়বদ্ধতা ও আন্তরিকতা আছে, কিন্তু উদ্ভাবনীর অভাব রয়েছে।’

রাজস্ব লক্ষ্যমাত্রা সম্পর্কে সিপিডি বলছে, অন্যান্য অর্থবছরের মতোই বিরাট লক্ষ্যমাত্রা দেওয়া হয়েছে। রাজস্ব ব্যবস্থাপনায় আরও দক্ষতা বাড়াতে হবে। এনবিআরকে অবাস্তব লক্ষ্যের দিকে ঠেলে দেওয়া হয়েছে। ফলে আমরা বাজেট কাঠামোর দিক থেকে আরও দুর্বলতার দিকে যাচ্ছি।

অনুষ্ঠানে সিপিডির গবেষণা পরিচালক খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম ও তৌফিকুল ইসলাম খান যুক্ত ছিলেন।

উদ্ভাবনী চিন্তা করোনাভাইরাস গতানুগতিক টপ নিউজ সিপিডি

বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ
সম্পর্কিত খবর