লকডাউনের প্রথম দিন: রূপগঞ্জে সতর্ক সাধারণ মানুষ
১৩ জুন ২০২০ ০২:৫৬
নারায়ণঞ্জ: করোনাভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিরোধে নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ উপজেলার রূপগঞ্জ ইউনিয়নে কঠোরভাবে লকডাউন চলছে। সাধারণ মানুষ খুব বেশি প্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকে বের হচ্ছেন না। এলাকায় রয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তৎপরতা।
বৃহস্পতিবার (১১ জুন) দিবাগত রাত ১২টা থেকে এই এলাকায় লকডাউন শুরু হচ্ছে। আগামী ২১ দিন এই লকডাউন থাকবে বলে জানানো হয়েছে।
লকডাউনের প্রথম দিন শুক্রবার (১২ জুন) রূপগঞ্জ ইউনিয়নে গিয়ে দেখা গেছে, রেড জোন ঘোষিত এলাকায় কয়েকটি স্তরের চেকপোস্ট বসানো হয়েছে। পুলিশ, সেনাবাহিনী, সাদা পোশাকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের পাশাপাশি রয়েছেন স্বেচ্ছাসেবকরাও। পাশাপাশি সবকিছু তদারকিতে রয়েছে নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসনের একাধিক নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের টিম।
রূপগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহমুদুল হাসান জানান, ‘রেড জোন’ হিসেবে চিহ্নিত এলাকাগুলো পরবর্তী ঘোষণা না দেওয়া পর্যন্ত অবরুদ্ধ থাকবে। প্রশাসনের বিশেষ অনুমতিপত্র কিংবা কাজের যথার্থতা প্রমাণ ছাড়া কোনো যানবাহন, পরিবহন বা মানুষ চলাচল করার সুযোগ নেই। করোনা মহামারি থেকে বাঁচতে রূপগঞ্জ ইউনিয়নে রেড জোন এলাকার সব মানুষকে এই নিয়ম মানতে হবে।
সরেজমিনে দেখা যায়, রূপগঞ্জ ইউনিয়নের ইছাপুরা, ভক্তবাড়ি, জাঙ্গীর, রূপগঞ্জ গ্রাম, মুশুরী, টানমুশুরী, বাগবেড়, দক্ষিণবাগ, ছনি, টেকনোয়াদ্দা, গুতিয়াবো, মধুখালী, পিতলগঞ্জ, শিমুলিয়া, ব্রাহ্মণখালী, হারারবাড়ি, পশিসহ বিভিন্ন এলাকার রাস্তাঘাট ফাঁকা পড়ে রয়েছে। বন্ধ রয়েছে প্রধান সড়কের দুই পাশসহ অলিগলির সব প্রতিষ্ঠান। পুরো দমে বন্ধ রয়েছে দোকানপাটসহ সব ব্যবসা প্রতিষ্ঠান।
রূপগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সালাউদ্দিন ভুঁইয়া জানান, রূপগঞ্জ ইউনিয়নের ‘রেড জোন’ ঘোষিত ৯টি ওয়ার্ডের চিত্র পাল্টে গেছে। প্রথম দিকে কিছু লোক লকডাউন ভেঙে রাস্তায় নানা অজুহাতে চলাচলের চেষ্টা করলেও তাদের লকডাউনের গুরুত্ব বোঝানো হয়েছে। বিশেষ প্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকে বের হচ্ছেন না।
রূপগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মমতাজ বেগম বলেন, জীবন বাঁচানোর প্রয়োজনেই রূপগঞ্জ ইউনিয়নে লকডাউন চলছে। মানুষ আগেরবার চোর-পুলিশ খেললেও এখন নিজেরাই লকডাউন পালন করছেন। এরপরও যারা বাইরে আসছেন, তাদের বুঝিয়ে ঘরে ফেরানো হচ্ছে।