‘আমাদের দেশে করোনায় মৃত্যুহার উন্নত দেশ থেকে কম’
১৩ জুন ২০২০ ২১:৩১
চট্টগ্রাম ব্যুরো: করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে বাংলাদেশে মৃত্যুহার উন্নত দেশের চেয়ে কম বলে মন্তব্য করেছেন তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। নিজের সুরক্ষা নিজে না নিলে হসপিটাল-আইসোলেশন সেন্টার বানিয়েও করোনাভাইরাসের হাত থেকে মানুষকে রক্ষা করা যাবে না বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
শনিবার (১৩ জুন) বিকেলে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের কোভিড-১৯ আইসোলেশন সেন্টারের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য তথ্যমন্ত্রী এসব কথা বলেন। নগরীর আগ্রাবাদ এক্সেস রোডে সীকম গ্রুপের মালিকানাধীন একটি কমিউনিটি সেন্টারে সেনাবাহিনী এই আইসোলেশন সেন্টার গড়ে তুলেছে, যা পরিচালনার দায়িত্ব পেয়েছে সিটি করপোরেশন।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের সম্পদের সীমাবদ্ধতা আছে। আমাদের দেশ উন্নত দেশ নয়। কিন্তু উন্নত দেশ না হওয়া সত্ত্বেও আমাদের দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্তদের মধ্যে মৃত্যুর হার উন্নত দেশ থেকে কম। এই মহামারি সামাল দেওয়ার জন্য উন্নত দেশগুলোও আগে থেকে প্রস্তুত ছিল না। যে কারণে সেখানে হাজার হাজার মানুষের মৃত্যু ঘটেছে।’
চট্টগ্রামে চিকিৎসা সুবিধা বাড়ানোর চেষ্টা চলছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘পৌনে এক কোটি মানুষের শহর চট্টগ্রাম। প্রতিদিন আরও ২০ লাখ মানুষ আসা-যাওয়া করেন। চার হাজারের বেশি করোনা রোগী ইতোমধ্যে চট্টগ্রামে শনাক্ত হয়েছে। শুরুতে চিকিৎসায় অনেক বেশি সংকট ছিল। এখনও যে সংকট কেটে গেছে, তা নয়। আমরা চেষ্টা করছি সরকারিভাবে চিকিৎসা সুবিধা বাড়ানোর জন্য। কিন্তু করোনাভাইরাসের প্রার্দুভাব শুরুর আগে আমরা যেভাবে চলতাম এখনও যদি সেভাবে চলি, নিজের সুরক্ষা যদি নিজে না নিই, তাহলে হাসপাতাল ও আইসোলেশন সেন্টার বানিয়েও আমরা মানুষকে রক্ষা করতে পারব না।’
অনুষ্ঠানে সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন জনসাধারণের উদ্দেশে বলেন, ‘আপনারা আতঙ্কিত হবেন না। পরিসংখ্যন বোঝার চেষ্টা করলে আতঙ্কিত হওয়ার যৌক্তিক কোনো কারণ নেই। আপনাদের অনুরোধ করব- অহেতুক ঘোরাঘুরি করবেন না। প্রয়োজনে বের হলে মাস্ক পড়তে হবে। মুহুর্তের জন্যও নাক মুখ থেকে মাস্ক সরাবেন না। যেকোনো সময় আপনি আক্রান্ত হতে পারেন। সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখলে নিরাপদ থাকবেন।’
এতে আরও বক্তব্য রাখেন- চট্টগ্রামের বিভাগীয় কমিশনার এবিএম আজাদ, বিভাগীয় ভারপ্রাপ্ত স্বাস্থ্য পরিচালক ডা. মোস্তফা খালেদ আহমদ, সিভিল সার্জন সেখ ফজলে রাব্বি।
অনুষ্ঠানে জানানো হয়, আইসোলেশন সেন্টারে ২১০টি শয্যা রাখা হয়েছে পুরুষদের জন্য। এছাড়া আরও ৪০টি শয্যা নারী রোগীর জন্য দোতলায় আলাদাভাবে রাখা হয়েছে।