৮.২ শতাংশ প্রবৃদ্ধি উচ্চাভিলাষী: বিসিআই
১৩ জুন ২০২০ ২২:১১
ঢাকা: প্রস্তাবিত ২০২০-২১ অর্থবছরের বাজেটে ৮.২ শতাংশ অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ধরাকে অনেক উচ্চাভিলাষী বলে মন্তব্য করেছে বাংলাদেশ চেম্বার অব ইন্ডাস্ট্রিজ (বিসিআই)। সংগঠনের পক্ষ থেকে ২০২০-২১ অর্থবছরের জন্য আরও বাস্তবভিত্তিক প্রবৃদ্ধি হওয়া প্রয়োজন বলেও জানানো হয়।
শনিবার (১৩ জুন) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বাজেট প্রতিক্রিয়া বিসিআই সভাপতি আনোয়ার-উল আলম চৌধুরী এসব কথা বলেন। বিবৃতিতে প্রস্তাবিত বাজেটে কালো টাকা সাদা করার প্রথা অব্যাহত রাখা মোটেই যুক্তিসঙ্গত নয় উল্লেখ করে বলা হয়, ‘কালো টাকা উপার্জন এবং এর ব্যবহার উভয়ই অন্যায় এবং অবৈধ কাজ।এতে করে বৈধ অর্থ উপার্জনকারীরা নিরুৎসাহিত হবেন।’
বিসিআই সভাপতি বলেন, ‘বৈশ্বিক করোনা পরিস্থিতির কারণে যে অর্থনৈতিক মন্দা দেখা দিয়েছে তা কাটিয়ে ওঠার জন্য যে রূপরেখা বাজেটে প্রতিফলিত হয়েছে তা যথেষ্ট নয়। বাজেটে আরও সুনির্দিষ্ট কর্মপন্থা ও বাস্তবভিত্তিক কর্মপরিকল্পনা বিস্তৃত হওয়া প্রয়োজন ছিল। শুধু পোশাকশিল্প নয় স্বল্প পুঁজির কল কারখানা সচল রাখা এবং এসব ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের আর্থিক প্রণোদনা ও দক্ষ কর্মী সৃষ্টির মাধ্যমে কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা অতি জরুরী, এই বিষয়ে বাজেটে সুনির্দিষ্ট রূপরেখা থাকা প্রয়োজন।
বেসরকারি খাতের ঋণ প্রবাহে তার নেতিবাচক প্রভাব পড়ার আশঙ্কা জানিয়ে বিসিআই সভাপতি বলেন, ‘বাজেট ঘাটতি মোকাবিলায় ১ লাখ ৯০ হাজার কোটি টাকা, এ ঘাটতি পূরণে সরকার ব্যাংক খাত থেকে ৮৪ হাজার ৯৮০ কোটি টাকা ঋণ গ্রহণ করবে। সরকার যদি ব্যাংক খাত থেকে এ পরিমাণ ঋণ গ্রহণ করে, তাহলে সংকট দেখা দিতে পারে।’
তিনি বলেন, ‘প্রস্তাবিত বাজেটে পরিবহন ও যোগাযোগ খাতে বাজেটের ১১.২ শতাংশ বরাদ্দ রাখা হয়েছে। এই মুহূর্তে এই খাতে এত অর্থ বরাদ্দ দেওয়া অতি জরুরি নয়। তাই এ খাতে বরাদ্বকৃত অর্থ গ্রামীণ অর্থনীতি সচল করে এমন সব প্রণোদনা প্যাকেজ অন্তর্ভুক্ত হলেই বেশি জনকল্যাণমুখী হতো।’
এসময় তিনি ভ্যাট রিটার্ন পদ্ধতি সম্পূর্ণ অনলাইন করা, রিফান্ড পদ্ধতি সহজিকরণ এবং মূল্য সংযোজন কর ও সম্পূরক শুল্ক আইনের ধারা অনুযায়ী ভ্যাট, শুল্ক ও অগ্রিম কর ২ মাসের মধ্যে রিফান্ড করার প্রস্তাব দেন। বিসিআই সভাপতি বলেন, ‘স্থানীয় পর্যায়ে লোকাল এলসির মাধ্যমে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্য কেনার ক্ষেত্রে উৎসে কর ২ শতাংশ প্রস্তাব করা হয়েছে, অথচ পূর্বে কোনো উৎসে কর ছিল না। আমরা সেটি ২ শতাংশ না করে ১ শতাংশ হারে নির্ধারণের আহ্বান জানাচ্ছি।’
বিসিআই সভাপতি প্রস্তাবিত বাজেটে, স্বাস্থ্য খাত কৃষি মৎস ও প্রাণিসম্পদ ও খাদ্য নিরাপত্তা খাতসহ ব্যবসা-বাণিজ্যে প্রণোদনা অনেকগুলি সংশ্লিষ্ট খাতে অর্থ বরাদ্দ বেশি রাখাকে স্বাগত জানিয়েছেস। পাশাপাশি ব্যক্তি শ্রেণির করমুক্ত আয় সীমা ৩ লাখ টাকায় উন্নীত করা করা এবং সর্বনিম্ন কর ৫ শতাংশ এবং সর্বোচ্চ করের সীমা ২৫ শতাংশ করায় অর্থমন্ত্রীকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানান।
২০২০-২১ ৮.২ শতাংশ অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি উচ্চাভিলাষী বাজেট বিসিআই