হাট-বাজারে লোক সমাগম দেখে মনে হয় না যে মহামারি আছে: হাইকোর্ট
১৪ জুন ২০২০ ১৫:৪২
ঢাকা: বৈশ্বিক মহামারি করোনা থেকে মানুষকে রক্ষায় পুরো ঢাকা শহরকে লকডাউন ঘোষণার নির্দেশনা চেয়ে দায়ের করা রিটের শুনানি শেষে আদেশের জন্য আগামীকাল সোমবার দিন ঠিক করেছেন হাইকোর্ট। এ সময় আদালত বলেন, ‘হাট-বাজারে লোক সমাগম দেখে তো মনে হয় না যে, মহামারি আছে। আর ঢাকা লকডাউনের বিষয়ে সরকারের নীতিনির্ধারণী সিদ্ধান্ত হবে বলেও মন্তব্য করেন আদালত।’ পরে এ বিষয়ে আদেশের জন্য সোমবার দিন ঠিক করে দেন।
রোববার (১৪ জুন) বিচারপতি এম, ইনায়েতুর রহিমের ভার্চুয়াল হাইকোর্ট বেঞ্চ আদেশ দেওয়ার ওই দিন ঠিক করেন। রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী অ্যাডভোকেট মনজিল মোরসেদ। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল মুরাদ রেজা।
শুনানিতে আইনজীবী মনজিল মোরসেদ বলেন, বিশ্বের বিভিন্ন দেশে কভিট-১৯ প্রতিরোধে বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুসারে ব্যবস্থা নেওয়া হয় এবং আমাদের দেশের সংক্রামক প্রতিরোধ আইন ২০১৮ তে এ ধরনের মহামারির সময় সিদ্বান্ত নেওয়ার জন্য স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়কে ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে।
স্বাস্থ্য মন্ত্রনালয় আদালতের নির্দেশে একটি উপদেষ্টা কমিটি গঠন করেছে এবং ১৭ সদস্য বিশিষ্ট একটি জাতীয় টেকনিক্যাল কমিটি গঠন করেছেন। জাতীয় টেকনিক্যাল বিশেষজ্ঞ কমিটি বর্তমান করোনা ভাইরাস পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ঢাকা শহর লক ডাউন ঘোষণার সুপারিশ করেছে কিন্তু সে ব্যাপারে পদক্ষেপ না নেওয়ায় অনেক মানুষের মধ্যে ভাইরাস সংক্রমণ হতে পারে, যার প্রেক্ষিতে মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে যেতে পারে।
অন্যদিকে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল মুরাদ রেজা বলেন, সরকার কাজ করছে এবং বুঝে বুঝে প্রয়োজন অনুযায়ী এলাকা ভিত্তিক লকডাউন করছে, তিনি এ বিষয় চীনের উদাহরণ দেন। তিনি আরও বলেন যে, এ পর্যায়ে রিট পিটিশন চলে না।
এ সময় আদালত বলেন, ‘হাট-বাজারে লোক সমাগম দেখে তো মনে হয় না যে, মহামারি আছে। আর ঢাকা লকডাউনের বিষয়ে সরকারের নীতিনির্ধারণী সিদ্ধান্ত হবে বলেও মন্তব্য করেন আদালত।’ পরে এ বিষয়ে আদেশের জন্য সোমবার দিন ঠিক করে দেন।
ঢাকা শহর লকডাউন ও নেজাল অক্সিজেন ক্যানুলা সংগ্রহের নির্দেশনা চেয়ে গত বৃহস্পতিবার (১১ জুন) জসস্বার্থে আইনজীবী মো. মাহবুবুল ইসলাম রিট দায়ের করেন।
রিটে মন্ত্রিপরিষদ সচিব, প্রধানমন্ত্রী কার্যালয় সচিব, স্বাস্থ্য সচিব, অর্থ সচিব, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (হাসপাতাল), অতিরিক্ত সচিব(প্রশাসন), পুলিশ কমিশনার, ডিজি র্যাব, ও ঢাকার ২ সিটি কর্পোরেশনের মেয়রকে বিবাদী করা হয়।