সাধারণ রোগীদের চিকিৎসা নিশ্চিতে রিটের আদেশ সোমবার
১৪ জুন ২০২০ ১৬:০৬
ঢাকা: করোনা পরিস্থিতির মধ্যেও সব হাসপাতাল ও ক্লিনিকে আগত সাধারণ রোগীদের চিকিৎসা নিশ্চিতে সরকারি নির্দেশনার বাস্তবায়ন চেয়ে দায়ের করা রিটের শুনানি শেষ হয়েছে। এ বিষয়ে আদেশের জন্য সোমবার (১৫ জুন) দিন ঠিক করে দিয়েছেন হাইকোর্ট। রোববার (১৪ জুন) বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিমের ভার্চুয়াল হাইকোর্ট বেঞ্চ এ দিন ঠিক করে দেন।
এদিন রিটের পক্ষে শুনানি করেছে রিটকারি আইনজীবীরা। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেছেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল মুরাদ রেজা ও ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অমিত তালুকদার।
এর আগে শনিবার (১৩ জুন) ই-মেইলের মাধ্যমে সুপ্রিম কোর্টের চার আইনজীবী অ্যাডভোকেট এএম জামিউল হক, মো. নাজমুল হুদা, মোহাম্মাদ মেহেদী হাসান এবং ব্যারিস্টার একেএম এহসানুর রহমান জনস্বার্থে এ রিট দায়ের করেন।
রিটে সরকারি নির্দেশনা না মেনে করোনা পরিস্থিতির মধ্যে সাধারণ রোগীদের চিকিৎসা না দিয়ে ফেরত পাঠানোর ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে কি ধরণের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে, তা জানতে নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে।
আবেদনে বলা হয়ে, করোনা পরিস্থিতির মধ্যে করোনা বা অন্যান্য রোগের উপসর্গ নিয়ে দেশের সরকার-বেসরকারি হাসাপাতাল ও ক্লিনিক ঘুরে ঘুরে মানুষ চিকিৎসার অভাবে মারা যাচ্ছে। ওই পরিস্থিতি উপলব্ধি করতে পেরে গত ১১ মে দেশের সকল হাসপাতাল ও ক্লিনিকে আগত রোগীদের ফেরত না পাঠিয়ে চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করতে নির্দেশনা জারি করে সরকারের স্বাস্থ্য অধিদফতর। ওই নির্দেশনা অমান্য করলে তাদের বিরুদ্ধে লাইসেন্স বাতিলসহ প্রয়োজনীয় শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও স্বাস্থ্য অধিদফতর থেকে জানানো হয়।
আবেদনে আরও বলা হয়, অথচ সরকারের সেসব নির্দেশনা উপেক্ষা করে সরকারি-বেসরকারি হাসপাতাল-ক্লিনিক সাধারণ রোগীদের করোনা সার্টিফিকেট ছাড়া ভর্তি নিচ্ছে না। দেখা যাচ্ছে, কোনো রোগীর করোনা টেস্ট করাতে ৪ থেকে ৫দিন সময় লাগতে পারে। অথচ গুরুতর অসুস্থ্য রোগীর ক্ষেত্রে টেস্ট করানো এবং সে রিপোর্ট পাওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করাটা অসম্ভব হয়ে থাকে। তাই প্রতিদিনই চিকিৎসা না পেয়ে মৃত্যুর ঘটনা সংবাদ মাধ্যমে উঠে আসছে।
রিটে সরকারের নির্দেশনা সত্ত্বেও কেন সাধারণ রোগীদের চিকিৎসা ছাড়াই ফেরত পাঠানো হয়েছে, তা জানতে চেয়ে রুল জারির আরজি জানানো হয়েছে। এছাড়াও ওই নির্দেশনা বাস্তবায়নে বিবাদীর ব্যর্থতা কেন বেআইনি ও আইনগত কর্তৃত্ববহির্ভুত হবে না সে মর্মে রুল জারির আবেদনও জানানো হয়েছে। সেইসঙ্গে সরকারের নির্দেশনা মেনে সকল হাসপাতাল-ক্লিনিকে সাধারণ রোগীদের চিকিৎসা নিশ্চিতে নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে।
রিটে স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয় সচিব, অতিরিক্ত সচিব (হাসপাতাল) ও উপ-সচিব এবং স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক ও পরিচালককে বিবাদী করা হয়েছে।