Sunday 08 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

মশা নিধনে আগের কার্যক্রম ছিল লোক দেখানো: তাপস


১৪ জুন ২০২০ ১৯:২৩

ঢাকা: মশা নিধনে আগের কার্যক্রমের প্রসঙ্গ টেনে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস বলেছেন, ‘আগে সকাল ৮টার দিকে এক ঘণ্টা লার্ভিসাইডিং করা হতো এখন থেকে সেখানে ৪ ঘণ্টা করা হচ্ছে। বিকেলে যেখানে মাগরিবের দিকে এক ঘণ্টা ধোঁয়া দেওয়া হতো এখন সেটা দুপুর আড়াইটা থেকে ৪ ঘণ্টা করা হয়েছে। আমি মনে করি আগের কার্যক্রম যেটা ছিল সেটা লোক দেখানো কার্যক্রম ছিল। আসতে যেতেই সময় শেষ হয়ে যেতো। শুধু ফাঁকি আর ফাঁকি। যেমনি ধোঁয়ায় ফাঁকি তেমনি মশার ওষুধে ফাঁকি, তেমনি ছিল কর্মে ফাঁকি। ফলে জনগণ সেটার সুবিধা পেতো না। এখন থেকে আর ফাঁকি দেওয়ার সুযোগ নেই।

রোববার (১৪ জুন) দুপুরে গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের মালিকানাধীন খিলগাঁওয়ের সিপাহীবাগ ঝিল ও রমনা পার্কে মাছ ও হাঁস চাষের উদ্বোধনকালে মেয়র এসব কথা বলেন।

মেয়র তাপস বলেন, ‘ঢাকা শহরে এত দখল হওয়ার পরেও এখনো যে পরিমাণ জলাশয় ও উন্মুক্ত স্থান রয়েছে সেটা শুনলে আপনারাও অবাক হবেন। আমি নিজেও হতভম্ব হয়েছি। খিলগাঁওয়ের এখানে পরিত্যক্ত অবস্থায় ৩৩ বিঘার একটি জলাশয় রয়েছে। এটা সরকার থেকে গণপূর্ত নিয়েছিল। আমরা এই জলাশয় শুধু পরিষ্কার করছি না, এখানে বিশেষ একটি প্রকল্প নিয়ে নানন্দনিক একটা পার্ক করে দেব। আমরা আর কোনো দখল করতে দেবো না। আমরা কার্যক্রম শেষ না করা পর্যন্ত ঘরে ফিরবো না।’

মশান নিধনে নিজের কার্যক্রমের কথা তুলে ধরে মেয়র বলেন, ‘আমরা এই পুকুরে তেলাপিয়া মাছ এবং হাঁস চাষ করবো। কারণ তেলাপিয়া মাছ মশার লার্ভা ধ্বংস করে। আমি এলাকাভিত্তিক যেসব তরুণ সংগঠন রয়েছে তাদেরকে অনুরোধ করবো আপনারা এই হাঁস ও মাছগুলো দেখভাল করবেন। আমরা যেখানেই হাত দেবো নতুন করে কিছু চিন্তা করবো। আগামী রোববার থেকে আমরা ঢাকা দক্ষিণের সকল নর্দমা পরিষ্কার করবো। আমাদের এভাবে বছরব্যাপী কার্যক্রম আরম্ভ করেছি। আমরা আশাবাদি এই বছর থেকে ঢাকাবাসীকে আর মশার প্রকোপে পড়তে দেবো না।’

করোনাভাইরাস প্রসঙ্গে মেয়র বলেন, ‘যেসব এলাকায় সংক্রমণের হার বেশি সেসব স্থান চিহ্নিত করে লকডাউনের কাজ শুরু করেছে সরকার। আমরাও নির্দেশনা অনুযায়ী সবাইকে নিয়ে সেটা বাস্তবায়ন করবো। সবাইকে বলবো, নিরাপদ থাকতে হবে। নিজেদেরকে আরও সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে। জীবিকা অর্জন করতে হবে। সারাবিশ্ব আজ খুলে দেওয়া হয়েছে। বাংলাদেশও খুলে দেওয়া হয়েছে। আগে কিন্তু জীবন, জীবন থাকলে জীবিকা হবে।’

মশার ওষুধ প্রসঙ্গে মেয়র বলেন, ‘আমরা আগের গতানুগতিক কার্যক্রম থেকে বেরিয়ে এসেছি। আগে মশার প্রকোপ বাড়লেই কার্যক্রম হাতে নেওয়া হতো। এখন সেটা বছরব্যাপী করা হবে। আমি এরই মধ্যে দু’টি কারখানা পরিদর্শন করেছি। তাদের সক্ষমতা নিজ চোখে দেখেছি। আমারা সারাবছরের মূল ওষুধ আমদানি করে ফেলেছি।’

মেয়র আরও বলেন, ‘লার্ভিসাইডিং এর কিছু ঘাটটি ছিলো বলে আমরা উত্তর সিটি করপোরেশন থেকে কিছু এনেছি। হয়তো আরও কিছু আনতে হবে। নতুন যন্ত্র আনা হচ্ছে। আমাদের কোনো ধরণের কোন কিছু ঘাটতি থাকবে না। সারাবছর ব্যাপী কার্যক্রমের জন্য ওষুধের পর্যাপ্ত মজুদ রয়েছে। আর মশক নিধনের জন্য পর্যাপ্ত জনবল দেওয়া হয়েছে। আমরা ঢাকাবাসীকে ডেঙ্গু মুক্ত নগরী উপহার দিতে পারবো।’

এডিস করোনা টপ নিউজ ডেঙ্গু মশা


বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ
সম্পর্কিত খবর