Saturday 07 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

নমুনা নেওয়া হলেও জয়পুরহাটে ‘যায় না’ করোনা পরীক্ষার ফল


১৪ জুন ২০২০ ২১:১৮

জয়পুরহাট: গত ১০দিনেও মেলেনি জয়পুরহাট স্বাস্থ্য বিভাগ থেকে ঢাকায় পাঠানো করোনাভাইরাস শনাক্তকরণে নমুনা পরীক্ষার ফলাফল। গত ২ জুন থেকে ১২জুন পর্যন্ত পাঠানো ৮৬৪টি নমুনার ফলাফল ১৩ জুন সকাল ১১টা পর্যন্ত পাওয়া যায়নি। এছাড়া গত এপ্রিল ও মে মাসে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও বগুড়ার শজিমেক হাসপাতাল ল্যাবে পাঠানো ১৫৭টি নমুনার ফলাফল দীর্ঘদিনেও মেলেনি।

এ নিয়ে জেলার একহাজার ২১ জনের নমুনা পরীক্ষার জন্য নেওয়া হলেও ফলাফল পাওয়া যায়নি একটিরও। যে কারণে আক্রান্ত ব্যক্তির কাছ থেকে করোনা সংক্রমিত হওয়ার ঝুঁকি বাড়ছে জয়পুরহাটে।

জেলা সিভিল সার্জন অফিস সূত্র জানায়, করোনা রোগী প্রথম শনাক্ত হওয়ার পর থেকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পিসিআর ল্যাবে জয়পুরহাট থেকে পাঠানো করোনাভাইরাস শনাক্তকরণের নমুনা পরীক্ষা প্রথমে শুরু হয়। পরবর্তীতে বগুড়ার শজিমেক হাসপাতালের পিসিআর ল্যাব এবং ঢাকার শেরে বাংলা নগরের ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব ল্যাবরেটরি মেডিসিন অ্যান্ড রেফারেল সেন্টার ল্যাবে নমুনা পাঠানো হয়। তবে সেখান থেকে পরীক্ষার রেজাল্ট আর মেলে না।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে সিভিল সার্জন অফিসের দায়িত্বশীল এক কর্মকর্তা বলেন, ‘কিট সংকটের কারণে ঢাকার ওই ল্যাব গত ৫দিন বন্ধ থাকায় নমুনা পরীক্ষার ফলাফল পাঠাতে বিলম্ব হয়েছে।’

নমুনা পরীক্ষা বিলম্ব হওয়ার কারণে জেলায় করোনা আক্রান্তের ঝুঁকি বাড়ছে দাবি করে তিনি বলেন, ‘বগুড়ায় শজিমেক হাসপাতাল ল্যাবে ৯৮টি নমুনা পাঠানো হয়েছে গত মাসের ২৪ তারিখে। অথচ সেগুলোর কোনো রিপোর্ট আসেনি। বারবার তাগাদ দিয়েও কোন লাভ হচ্ছে না। আবার রাজশাহীতে জমা থাকা ৫৯টি নমুনারও কোন রিপোর্ট পাওয়া যাচ্ছে না।’

যদিও এখন পর্যন্ত জেলায় এ পর্যন্ত ২১২ জন করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছে। যাদের মধ্যে ১১৭ জন সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন।

সিভিল সার্জন ডা. সেলিম মিয়া বলেন, ‘গত ২ তারিখের পর থেকে জেলায় করোনাভাইরাস শনাক্তের নমুনা পরীক্ষার কোনো ফলাফল পাওয়া যায়নি। ঢাকায় গত ১ জুনে পাঠানো নমুনার ফলাফল এসেছিল ৬ জুন। এরপর আর কোনো নমুনা পরীক্ষার ফলাফল পাওয়া যায়নি।’ এসময় ঢাকার ল্যাবে ৮৬৪টি, রাজশাহীতে ৫৯টি এবং বগুড়ায় ৯৮টিসহ একহাজার ২১ জনের নমুনা পরীক্ষার ফলাফল না পাওয়ার কথা তিনি নিশ্চিত করেছেন।

ফলাফল বিলম্বের কারণে জেলায় করোনা সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়ছে বলেও আশংকা জানান সিভিল সার্জন। তবে কেন রিপোর্ট মিলছে না সে বিষয়ে তিনি কোনো কথা বলতে রাজি হননি।

করোনাভাইরাস জয়পুরহাট টপ নিউজ নমুনা শনাক্তকরণ


বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ
সম্পর্কিত খবর