মলিকুলার বায়োলজিস্ট পদে বায়োটেকনোলজিস্টদের অন্তর্ভুক্তির দাবি
১৫ জুন ২০২০ ০১:২৬
স্বাস্থ্য অধিদফতরে মলিকুলার বায়োলজিস্ট পদে নিয়োগে অন্যদের পাশাপাশি জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড বায়োটেকনোলজি বিভাগের স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রিধারীদের বিবেচনায় নেওয়ার দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব বায়োটেকনোলজি গ্র্যাজুয়েটস (বিএবিজি)।
সংগঠনটির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, এই পদে বায়োকেমিস্ট্রি ও মাইক্রোবায়োলজি বিভাগ থেকে উত্তীর্ণদের সুযোগ দেওয়া হচ্ছে। কিন্তু জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড বায়োটেকনোলজি বিভাগ থেকে উত্তীর্ণরাও সমান দক্ষতায় এ পদে কাজ করতে পারবেন।
রোববার (১৪ জুন) বিএবিজি সভাপতি অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ শাহেদুর রহমান ও সাধারণ সম্পাদক ড. এস এম মাহবুবুর রশিদের সই করা এক ‘প্রেস নোটে’ এসব কথা বলা হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, কোভিড-১৯ মোকাবিলায় সমন্বিত চিকিৎসা ব্যবস্থাপনায় চিকিৎসক, নার্স বা মেডিক্যাল স্টাফদের সঙ্গে বায়োলজিক্যাল সায়েন্সের অন্তর্ভুক্ত বিষয়, যেমন— জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড বায়োটেকনোলজি, মাইক্রোবায়োলজি এবং বায়োকেমিস্ট্রি অ্যান্ড মলিকুলার বায়োলজি’র দক্ষ জনশক্তিদের অবদানও খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কোভিড-১৯ মোকাবিলায় প্রায় সম্পূর্ণ স্বেচ্ছাসেবা কার্যক্রম হিসেবে জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং ও বায়োটেকনোলজি বিভাগসহ অন্য বিভাগগুলোর স্নাতকরা সারাদেশে টেস্ট সেন্টার স্থাপন, নমুনা সংগ্রহ ও পরীক্ষণে নিরলস কাজ করে যাচ্ছেন। সম্প্রতি স্বাস্থ্য অধিদফতরের জারি করা এক আদেশে কোভিড-১৯ মোকাবিলায় স্বাস্থ্যকর্মীদের পাশাপাশি মলিকুলার বায়োলজিস্ট নিয়োগের কথা বলা হয়েছে। অস্থায়ীভিত্তিতে হলেও মহামারি পরিস্থিতিতে এমন পেশাজীবীদের নিয়োগের সিদ্ধান্তকে অত্যন্ত সময়োপযোগী ও যুগান্তকারী সিদ্ধান্ত হিসেবে অভিহিত করেছে বিএজিবি।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, দেশে করোনা পরীক্ষার ল্যাব বাড়ছে। সেখানে বায়োসেফটি ও বায়োসিকিউরিটি নিশ্চিত করতে সংশ্লিষ্ট বিষয়ে তত্ত্বীয় ও প্রায়োগিকভাবে দক্ষ ও পারদর্শী লোকবল দরকার। এ ক্ষেত্রে মলিকুলার বায়োলজিস্ট পদে বায়োকেমিস্ট্রি ও মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের পাশাপাশি জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড বায়োটেকনোলজি বিভাগের স্নাতকরাও সমান দক্ষতার সঙ্গে কাজ করতে পারেন। এই বিভাগের পঞ্চাশ জনেরও বেশি স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রিধারী দেশের বিভিন্ন স্থানে ল্যাব স্থাপন ও টেস্টের সঙ্গে সরাসরি যুক্ত থেকে কোভিড-১৯ মোকাবিলায় সম্মুখ যোদ্ধা হিসেবে প্রায় সম্পূর্ণ স্বেচ্ছাশ্রমের ভিত্তিতে কাজ করে যাচ্ছে। এ ক্ষেত্রে মলিকুলার বায়োলজিস্ট হিসেবে নিয়োগের ক্ষেত্রে তারা যোগ্য বিবেচিত হতে পারতেন। কিন্তু স্বাস্থ্য অধিদফতরের বিজ্ঞপ্তিতে নিয়োগ প্রক্রিয়ায় জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড বায়োটেকনোলজি বিভাগ অন্তর্ভুক্ত না থাকায় এ বিভাগের শিক্ষার্থীদের মাঝে প্রচণ্ড হতাশা বিরাজ করছে বলে উল্লেখ করা হয় বিজ্ঞপ্তিতে।
এতে আরও বলা হয়, বেসরকারি হাসপাতালে কোভিড-১৯ টেস্ট ও চিকিৎসা বিষয়ক নির্দেশনায় ‘ট্রেইনড ল্যাবরেটরি পারসোনেল’ পদে মাইক্রোবায়োলজিস্ট, বায়োকেমিস্ট, মলিকুলার বায়োলজিস্ট, ভাইরোলজিস্ট ও মেডিক্যাল টেকনোলজিস্টসদের নাম অন্তর্ভুক্ত হলেও এখানেও জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড বায়োটেকনোলজিস্টদের নাম উপেক্ষিত থেকেছে। অথচ গত ১৫ বছরেরও বেশি সময় ধরে দেশের ওষুধ শিল্প, মলিকুলার ডায়াগনস্টিক খাত, কৃষি খাত, পাটের জিনোম রহস্য উন্মোচন, ইলিশের জীবন রহস্য উন্মোচন, ব্ল্যাক বেঙ্গল গোটের জীবন রহস্য উন্মোচনসহ অনেক গুরুত্বপূর্ণ কাজে অত্যন্ত সফলতার সঙ্গে জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড বায়োটেকনোলজি বিভাগের শিক্ষার্থীরা কাজ করে আসছে।
সার্বিক বিষয় বিবেচনায় নিয়ে স্বাস্থ্য অধিদফতরের নির্দেশনায় জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড বায়োটেকনোলজি বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত করার দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব বায়োটেকনোলজি গ্র্যাজুয়েটস। শিক্ষার্থীদের বিষয়ভিত্তিক যোগ্যতা আমলে নিয়ে এই বিষয়টি কর্তৃপক্ষের নিয়োগ বিধিমালায় দ্রুত অন্তর্ভুক্ত হবে বলে প্রত্যাশা সংগঠনটির।
বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকস বিএবিজি মলিকুলার বায়োলজিস্ট স্বাস্থ্য অধিদফতর