এই বাজেট মানবিক: অর্থমন্ত্রী
১৫ জুন ২০২০ ১৪:৩৯
ঢাকা: অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেছেন, আমরা বাজেট তৈরি করেছি দেশের মানুষকে সামনে রেখে। এবার বাজেটে দেশের সকল মানুষ প্রাধিকার পাচ্ছে। মানুষকে বাঁচাতে হবে। তাদের করোনাভাইরাসের থেকে রক্ষার চেষ্টা থাকবে। তাই ঐক্যমত্যের ভিত্তিতে এই বাজেট ঘোষণা করা হয়েছে। এটা মানবিক বাজেট।
সোমবার (১৫ জুন) ২০১৯-২০২০ অর্থবছরের সম্পূরক বাজেটের ওপর সমাপণী বক্তব্যে অর্থমন্ত্রী এসব কথা বলেন। সকালে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে একাদশ জাতীয় সংসদের ৮ম অধিবেশন শুরু হয়।
অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘এখন যদি খরচ না করি মানুষ বাঁচবে কেমন করে? আর মানুষকে যদি বাঁচাতে না পারি দেশ কার জন্য? দেশের বাজেট কার জন্য। এবারের বাজেট ব্যয়ের ধারণা থেকে করা হয়েছে। আমরা এই বাজেটটি একটা এক্সেপেন্ডিসারের পাসপেকটিভ থেকে দিয়েছি। যদি বাজেট তৈরি না করি তাহলে অর্থ রাষ্ট্রীয় কোষাগার থেকে তোলার কোনো ব্যবস্থা নেই। সুতরাং এই বিবেচনাটি মাথায় রেখে আসুন সবাই ঐক্যমত করি। দুর্যোগ মোকাবিলা করতে হলে সবাইকে লাগবে, সবাইকে নিয়েই এই কাজটি করতে হবে।’
অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘এবারের বাজেটে সবার বাজেট। সাধারণত আমরা অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য বাজেট করে থাকি। তাই বাজেটে অর্থনৈতিক উন্নয়নের বিভিন্ন উপাদানগুলো প্রাধিকার পায়, এবার আমরা সেটা করিনি। এবার মানুষকে প্রাধিকার দিয়েছি। অর্থনীতির পাশাপাশি এটা মানবিক বাজেট। অন্যবার রাজস্ব অর্জন করি এবং রাজস্ব খরচ করি। এবার রাজস্ব খরচ করব তারপর রাজস্ব অর্জন করব। পে অ্যাজ ইউ আর্ন।’
প্রধানমন্ত্রী আমাদের গ্রামে যাওয়ার জন্য বলেছেন, গ্রামীণ অর্থনীতি শক্তিশালী করার কথা বলেছেন জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘যারা গ্রামীণ মানুষ পান দোকানদার, মুদি দোকানদার সবাইকে রক্ষা করতে হবে। তাদের দায়িত্ব নিয়েই এই বাজেট করেছি। প্রতি বাজেটেই সরকারের উন্নয়নের অভিষ্ঠ লক্ষ্য অর্জনের উদ্দেশে সামষ্টিক অর্থনীতির সূচকসমূহ সরকারের আয়-ব্যয়ের হিসাব প্রক্কলন করে থাকি। পরবর্তীতে বাজেট বাস্তবায়ন পর্যায়ে বিভিন্ন যৌক্তিক কারণে বাজেটে কিছুটা সংশোধন ও সমন্বয়ের প্রয়োজন হয়।’
মন্ত্রী জানান, ২০১৯-২০২০ অর্থ বছরের সংশোধিত বাজেটে ৬ লাখ ৭০ হাজার ৬৪০ কোটি টাকা থেকে নিট বরাদ্দ ৫ লাখ ১ হাজার ৫০০ কোটি টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। করোনা দুর্যোগ মোকাবিলার জন্য স্বাস্থ্যসেবা খাত স্বাস্থ্য চিকিৎসা বিভাগ, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয়, সুরক্ষা সেবা বিভাগ এবং প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়কে অতিরিক্ত ৩ হাজার ৫০৬ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে।